ইলন মাস্ক (Elon mask) কারো কাছে খুব পছন্দের আবার কারো কাছে না। কীন্তু তার সম্বন্ধে সবার জানার কৌতূহল ও আগ্রহ লক্ষণীয়। বর্তমান সময়ে ঘোটে যাওয়া আলোচিত ঘটনার অনেকগুলির সাথে ইলন মাস্ক এর নাম জড়িত। এবং আপনি তাকে ঈর্ষা করেন বা ভয় পান না কেন, এই বিলিয়নিয়ারের মস্তিষ্ক কীভাবে কাজ করে তার পিছনে কৌতূহল থাকবেই।
বর্তমান বিশ্বে তরুণ তরুণীরদের মাঝে উদ্যক্তা হওয়ার প্রবনতা বেশি। আর আজ আমরা যে ইলন মাস্ক এর কথা বলবো তিনি হলে বর্তমান বিশ্বের তরুণ উদ্যক্তাদের আইডল।
বিশ্বের ধনীদের তালিকার কথা বললেই আমাদের মনে ভেসে আসে বিল গেটস, মার্ক জুকারবার্গ, জেফ বেজোস সহ আরো অনেকেই। কীন্তু তিনি ফোর্বসের তালিকা অনুসারে ৪ জানুয়ারী ২০২১ এর বিশ্ব সেরা ধনী হয়েছেন। তাদের তথ্য মতে তার বর্তমান সম্পদের পরিমান ১৮৪ বিলিয়ন মার্কীন ডলার। আজ আমরা আলোচনা করব এই ইলন মাস্ক এর জীবনী নিয়ে, পরিবার, সফল্য, ব্যর্থতা কথা।
বর্তমান বিশ্বে উদ্যোক্তার নাম বললেই ইলন মাস্ক এর নাম সবার মনে প্রথমে আসে। তিনি হলে দক্ষিন আফ্রিকার প্রকৌশলী ও প্রযুক্তিবিদ। মহাকাশ ভ্রমন সংস্থা স্পেসএক্সের নির্বাহী কর্মকর্তা, টেসলা মোটরসের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সোলারসিটির চেয়ারম্যান, নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের প্রতিষ্ঠাকারীন চেয়ারম্যান, কল্পিত উচ্চ গতিসম্পন্ন পরিবহন হাইপারলুপ এর উদ্ধাবক এছাড়াও আমাদের সবার জনপ্রিয় পেমেন্ট মেথড পেপ্যাল এর একজন প্রতিষ্ঠাতা।
ইলন মাস্ক এর ছোট বেলা থেকেই কম্পিউটারের প্রতি ছিলো একটু আলাদা রকমের ঝোক। যার ফলে তিনি কম বয়সেই কম্পিউটার প্রোগ্রামিং শিখে নেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই সবাইকে তাক লাগিয়ে তিনি আবিষ্কার করেন তার প্রথম কম্পিউটার গেম ব্লাস্টারস। তিনি পিসি এন্ড অফিস টেকনোলজি ম্যাগাজিনের নিকট গেমটিকে বিক্রি করেন ৫০০ ডলারের বিনিময়ে।
পুরো নাম | এলন রিভ মাস্ক (Elon Reeve Musk) |
ডাক নাম | আয়রন ম্যান |
পেশা | উদ্যোক্তা, বিনিয়োগকারী |
কেন বিখ্যাত | টেসলা এবং স্পেস এক্স-এর সিইও, পৃথিবীর সবচেয়ে ধনি বাক্তি |
উচ্চতা | সেন্টিমিটারে- 180 সেমি মিটারে - 1.80 মি ফুট ইঞ্চি- 5’ 11” |
চোখের রঙ | মস সবুজ |
চুলের রঙ | হালকা অ্যাশ স্বর্ণকেশী |
জন্ম তারিখ | 28 জুন, 1971 |
বয়স (2022 অনুযায়ী) | 51 বছর |
জন্মস্থান | প্রিটোরিয়া, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা |
রাশি | কর্কট |
জাতীয়তা | আমেরিকান |
হোমটাউন | প্রিটোরিয়া, ট্রান্সভাল, দক্ষিণ আফ্রিকা |
স্কুল | ওয়াটারক্লুফ হাউস প্রিপারেটরি স্কুল ব্রায়ানস্টন হাই স্কুল প্রিটোরিয়া বয়েজ হাই স্কুল |
কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয় | • কুইন্স ইউনিভার্সিটি • পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় • স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ক্যালিফোর্নিয়া |
শিক্ষাগত যোগ্যতা | • পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে বিজ্ঞানে স্নাতক • পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক • স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি, ক্যালিফোর্নিয়া থেকে এনার্জি ফিজিক্সে পিএইচডি (ড্রপ আউট) |
ধর্ম | নাস্তিক |
জাতি | • দক্ষিণ আফ্রিকান (তার বাবার দিক থেকে) • কানাডিয়ান (তার মায়ের দিক থেকে) • ব্রিটিশ (তার দাদীর দিক থেকে) • তার পেনসিলভানিয়া ডাচ বংশও রয়েছে |
খাদ্য অভ্যাস | আমিষ, নিরামিষ উভয় |
শখ | বই পড়া, ভিডিও গেম খেলা, ভ্রমণ (ইলনের বই পড়ার প্রতি ছিলো খুবই ভালবাসা বলতে গেলে নেশার মত। এই বই নিয়ে মস্কের একটি প্রসিদ্ধ উক্তি আছে- ‘‘আমি পিতা মাতার হাত ধরে বড় হয়নি, বড় হয়েছি বই পড়ে পড়ে’’।) |
সহধর্মিণী | • জাস্টিন উইলসন মাস্ক (2000-2008) (কানাডিয়ান লেখক) • তালুলাহ রিলে (2010-2012 এবং 2013-2016) (অভিনেত্রী) |
সন্তান | এলন মাস্কের দশটি সন্তান রয়েছে। কানাডিয়ান লেখক জাস্টিন উইলসনের সাথে তার ছয় সন্তান ছিল; তাদের প্রথম সন্তান সাডেন ইনফ্যান্ট ডেথ সিনড্রোম বা SIDS-এ মারা গিয়েছিল, যখন তার বয়স ছিল 10 সপ্তাহ। এই দম্পতির তখন যমজ সন্তানের পর তিন সন্তানের জন্ম হয়। সংগীতশিল্পী গ্রিমসের সাথে তার দুটি সন্তান রয়েছে। 2021 সালের নভেম্বরে নিউরালিংকের শীর্ষ নির্বাহী শিভন জিলিসের সাথে মাস্কের যমজ সন্তান ছিল। |
ইলন মাস্ক দক্ষিণ আফ্রিকার প্রোটোরিয়ায়, ২৮ শে জুন ১৯৭১ সালে জন্ম গ্রহন করেন। তার পুরো নাম ইলন রেভ মাস্ক। ইলন মাস্ক একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্ম গ্রহন করেছিলেন, তাদের আর্থিক অবস্থা স্বচ্ছল ছিলো না।
এলন মাস্ক একটি মধ্যবিত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। 1995 সালে, যখন X.com প্রতিষ্ঠা করেন, তখন তার কাছে $100,000-এর বেশি ছাত্র ঋণ ছিল এবং ভাড়া দিতে সংগ্রাম করতে হয়েছিল।
ইলন মাস্ক এর পিতার নাম এরোল মাস্ক। এরোল মাস্ক ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার, নাবিক, পাইলট এছাড়াও ছিলেন বৈদ্যুতিক প্রকৌশলী। তার মায়ের নাম মেই মাস্ক। তিনি একজন কানাডিয়ান। তিনি পেশায় ছিলেন একজন মডেল ও ডায়েটিশিয়ান। এলনের ছোট ভাইয়ের নাম কীম্বল এবং ছোট বোনের নাম টসকা।
ইলন মাস্ক বইকে খুব ভালবাসতেন, তার পড়ার প্রতি ছিলো অতি আগ্রহ। এমনটা শোনা যায় যে , তিনি ১২ বছর বয়সে এতটা বই পড়েছিলেন যে যতটা একজন স্নাতক স্তরের শিক্ষার্থীরা পড়তে পারে। প্রিটোরিয়া বয়েজ হাই স্কুল থেকে তিনি পড়া শেষ করেন। এর আগে তিনি ওয়াটারক্লুফ হাইজ প্রিপারেটরি স্কুল এবং ব্লাইস্টন হাই স্কুলে পেড়েছিলেন। তিনি ছয় মাস প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেছিলেন।
১৯৯০ সালে তিনি কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং দুই বছর পর পেন্সিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রান্সপার হন। ১৯৯৭ সালে তিনি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়ার্টন স্কুল খেকে অর্থনীতিতে এবং ইউপ্যান স্কুল থেকে পদার্থ বিজ্ঞানের উপর স্নাতক লাভ করেন।এরপর্ জ্বালানী পদার্থ বিজ্ঞান নিয়ে পি.এস.ডি ডিগ্রির জন্য স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন কীন্তু মাত্র দুই দিন থাকেন।
ইলন মাস্ক একজন উদ্যক্ত হওয়াতে তিনি বিভিন্ন সময় বিভিন্ন কাজকর্ম করেছেন। তিনি নানা ঝুঁকী নিয়ে আজ বিশ্বের ধনীদের তালিকায় প্রথম হতে পেরেছেন। তার উল্লেখযোগ্য কর্ম গুলো হলো- জিপ২, এক্স.কম এবং পেপাল, স্পেসএক্স, টেসলা, সোলারটিসি, নিউরালিংক, দ্যা বোরিং কোম্পানি, স্টারলিংক, হাইপারলুপ ইত্যাদি।
জিপ২:
১৯৯৫ সালে ইলনের ভাই কীম্বল এবং গ্লেগ কৌরি এর তহবিলে সফটওয়্যার কোম্পানি জিপ২ প্রতিষ্ঠা করেন। এটাই ছিল তার প্রথম প্রতিষ্ঠান। উক্ত কোম্পানিতে তার শেয়ার ছিলো ০৭ শতাংশ। কোম্পানিটি চালু করার পর থেকে ব্যাপক সাড়া পেতে থাকেন এবং ১৯৯৯ সালে কমপ্যাক কম্পিউটার্স এর নিকট ৩০৭ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে জিপ২ বিক্রয় করেন। তিনি তার শেয়ারের ০৭ শতাংশে ২২ মিলিয়ন ডলার পেয়েছিলেন।
স্পেসএক্স:
নতুন চিন্তা ধারার জন্যই এলন মাস্ক সবার থেকে আলাদা। সবাই যখন তার অনলাইন সাফল্য নিয়ে চিন্তা করছে তিনি তখন নিজেকে অন্য রুপে উপস্থাপন করার জন্য স্পেসএক্স প্রতিষ্ঠা করলেন। তিনি মঙ্গল গ্রহে যা্ওয়ার জন্য ২০০৩ সালে রাশিয়া যান তিনটি ICBM রকেট ক্রয় করতে। কীন্তু তিনি ৪ মিলিয়ন ডলার ব্যায়ে মাত্র একটি রকেট পেয়েছিল। তখন তিনি ভাবলেন এতটাকা দিয়ে রকেট না কীনে এর চেয়ে ভাল রকেট তৈরি করাই উত্তম। এরপর তিনি দেশে ফিরে রকেট সায়েন্স নিয়ে অধ্যায়ন করে নিজেই রকেট তৈরি শুরু করলেন এবং এক বছরের মাথায় নিজের রকেট তৈরি শেষ হলো। যার নামই স্পেসএক্স। আর পরাপর দুই বার ব্যার্থ হয়ে তৃতীয় বার সফলতা পেয়েছিলেন।
টেসলা:
গাড়ির কথা যখন ভাবা হয় টেসলার কথা কে না ভাবে। টেসলা মূলত ইলেকট্রিক চালিত গাড়ি নির্মান কোম্পানী। ইলন মাস্ক টেসলা কোম্পানিতে আসার পূর্বে টেসলার ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি করতে খরচ বেশি হত। ফলে তার গাড়ি বাজারে বিক্রি হত না। ইলন মাস্ক টেসলা কোম্পানিতে যোগদানের পর থেকে গাড়ী তৈরির থরচ অনেক কমে যায় এবং তাদের গাড়ী বাজারের প্রচুর চলতে থাকে। এখন টেসলা MI এর সাহায্যে চালোক বিহিত গাড়ী তৈরির করছে।
সোলারটিসি:
ইলন মাস্ককে একজন পরিবেশবীদ বলা ভূল হবে না। কারণ তিনি পরিবেশের কথা চিন্তা করে উদ্ভাবন করেছেন সোলার বিদ্যুৎ। ২০০৬ সালে ইলন তার চাচাতো ভাই লিন্ডন এবং পিটার রিভ এর কাছ থেকে মূলধন নিয়েছিলেন। ২০১৩ সালের মধ্যে সোলারসিটি আমেরিকার দ্বিতীয় বৃহত্তম সোলার বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান হয়ে দাড়ায়। ২০১৩ সাল থেকে সোলারসিটি এবং টেসলা একই সাথে কাজ করেছে। তারা এখন দুই প্রযুক্তি একত্রিত করে তৈরি করছে ইলেকট্রিক গাড়ী। যা আমাদের আর্থিক খরচ হ্রাস এবং পরিবেশ বান্ধব ।
এক্স.কম এবং পেপাল:
ইলন মাস্ক ১৯৯৯ সালে এক্স.কম প্রতিষ্ঠা করেন। উক্ত কোম্পানিতে ইলন ১০ মিলিয়ন বিনিয়োগ করেছিলেন। ২০০১ সালে কনফিনিটি কোম্পানির সাথে মিলিত হয় এবং নতুন ভাবে নাম করন করেন আমাদের অতি পরিচিত পেপাল। ২০০২ সালে ইবাই এর কাছে পেপাল বিক্রি করে দেয়। এতে ইলন মাস্ক তার শেয়ারের বিনিময়ে ১৬৫ মিলিয়ন ডলার আয় করেন।
স্টারলিংক:
২০১৫ সাল থেকে ইলন মাস্কের কোম্পানী স্পেসএক্স স্টারলিংক এর কাজ শুরু করে। স্টারলিংক এর উদ্দেশ্য গ্রামীন পর্যায়ে যে সব স্থানে ইন্টারনেট সুবিধা নেই সেখানে ইন্টারনেট সুবিধা পৌছে দেওয়া। ২০১৮ সালে প্রথম পৃথীবির কক্ষপথে পাঠানো হয় প্রোটোটাইপ স্যাটেলাইট। পরে পর্যায়ক্রমে ১০০০ এর অধিক স্যাটেলাইট কক্ষপথে পাঠিয়েছে স্টারলিংক কোম্পানি।
দ্যা বোরিং কোম্পানি:
ইলন মাস্ক এর হাত ধরে ২০১৭ সালে “দ্যা বোরিং কোম্পানির” যাত্রা শুরু করে।দ্যা রোরিং কোম্পনি একটি মাটি খননকারী প্রতিষ্ঠান। শহরের যানযট নিরসনের জন্য একট বিভিন্ন ক্যানের তৈরির জন্য উক্ত কোম্পানী কাজ করে। ২০১৮ সাল অবধী উক্ত দ্যা বোরিং কোম্পনী ২০০০টির বেশি কাজ সম্পন্ন করেছে।
হাইপারলুপ:
২০১৩ সাল থেকে হাইপালুপ এর যাত্রা শুরু হয়। হাইপারলুপ এর মাধ্যমে এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজে এবং স্বল্প ব্যায়ে যাতায়াত করা সম্ভব হবে। বলে রাখা ভাল এটা একটা ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা যা এখনো বাস্তবে রুপ নেয়নি।
টুইটারঃ
সোমবার, সিকীউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের কাছে একটি নিয়ন্ত্রক ফাইলিং প্রকাশ করেছে যে মিঃ মাস্ক, টেসলা এবং স্পেসএক্সের বিলিয়নেয়ার প্রধান নির্বাহী এবং বিশ্বের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি, টুইটারে 9.2 শতাংশ শেয়ার কীনেছেন
ইলন মাস্ক তার বিবাহীত জীবনে কখনোই সুখি ছিলেন না। তিনি প্রথম বিবাহে আবদ্ধ হন ২০০০ সালে। তার প্রথম স্ত্রীর নাম ছিলো জাস্টিন উইলসন। জাস্টিন উইলসন পেশায় ছিলেন একজন রাইটার। ২০০৮ সালে তাদের ছাড়াছাড়ি হয়ে যায়। ২০১০ সালে তিনি ইংরেজ অভিনেত্রী তালুলাহ রেলিকে বিবাহ করেন এবং ২০১২ সালে তাদের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় এবং ২০১৩ সালে পুনরায় তারা বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৪ সালে পুরনায় বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন করা হয় কীন্তু সেটা বাতিল করা হয়। কীন্তু ২০১৬ সালে তাদের দ্বিতীয় বিবাহ বিচ্ছেদ সম্পন্ন হয়েছিলো। ২০১৮ সালে এলন এবং সংঙ্গীত শিল্পী গ্রিমস ডেটিং করছে এছাড়াও ২০২০ সালের মে মাসে তাদের পুত্র সন্তান জন্ম হয়। বর্তমানে ইলম মাস্ক ছয় সন্তানের পিতা। ইলন মাস্ক এর প্রথম পুত্র সন্তান দশ মাস বয়সে মারা যান।
ইলন মাস্ক এর ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা গুলো ব্যাপক। তিনি ২০৫০ সালের মধ্যে এক মিলিয়ন মানুষকে মঙ্গল গ্রহে প্রেরন করতে চান (স্পেসএক্স এর সিইও)। স্কেপশীপ গুলো এখনো নির্মান করা হয়নী তবে নির্মান করজ চলমান।