বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষই এখন ফ্যাশনেবল। কাপড়ে ক্ষেত্রে সবাই চায় উন্নতমানের,স্টাইলিশ ও কম্ফোর্টেবল।বাংলাদেশের সমস্ত ফ্যাশন হাউজ ডিজাইনার ক্রমাগতভাবে কাস্টমারকে নতুন নতুন ডিজাইন দিয়ে যাচ্ছেন।
দেশে বিভিন্ন ধরনের পোশাকের ব্র্যান্ডের উদ্ভব হওয়ায়, কোনটি সেরা তা নির্ধারণ করা কঠিন। ঐতিহ্যবাহী পোশাকের ব্র্যান্ড থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড, বাংলাদেশে বেছে নেওয়ার জন্য পোশাকের ব্র্যান্ডের বিস্তৃত নির্বাচন রয়েছে।
আপনার সিদ্ধান্ত নিতে আপনাকে সাহায্য করার জন্য, এই ব্লগ পোস্টটি বাংলাদেশের সেরা পোশাকের ব্র্যান্ড এবং কেন তারা আলাদা তা নিয়ে আলোচনা করবে। আজকে আমি আপনাদেরকে দেশ সেরা ১০ কাপড়ের ব্র্যান্ড সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু ধারণা দিব।
ব্র্যাক কর্তৃক পরিচালিত দেশ সেরা কাপড়ের ব্র্যান্ড Arong (আড়ং) ১৯৭৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিলো। Arong আড়ংয়ের প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন আয়েশা আবেদ।
Aarong (আড়ং) মূলত পুরুষদের ঐতিহ্যবাহী পোশাক যেমন, পাঞ্জাবি, পাজামা, ফতুয়া এবং নারীদের শাড়ি কাপড়ের ব্র্যান্ডকে প্রাধান্য দেয়।
বর্তমানে পাঞ্জাবির ব্র্যান্ডের জগতে Aarong আড়ংয়ের নাম না নিলেই নয়। Aarong (আড়ং) বাংলাদেশের ৯টি মহানগরে তাদের মোট ২১টি শপিংমল পরিচালনা করছে।
Arong (আড়ং) তাদের নিজস্ব ওয়েবসাইটের মাধ্যমেও বাংলাদেশের যেকোনো প্রান্ত তাদের পন্য সেল করে থাকে।
Bibiana (বিবিয়ানা) এই ব্র্যান্ডটি ছোট শিশু থেকে শুরু করে সবার জন্য ফ্যাশন ডিজাইন করে থাকে।
এটি বাংলাদেশের অন্যতম একটি জনপ্রিয় পোশাকের ব্র্যান্ড। যেটি ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।
এটি প্রতিষ্ঠা করেন লিপি খন্দকার নামের একজন মহিলা উদ্যোক্তা ।
বাংলাদেশি কাপড়ের ফ্যাশান ব্র্যান্ড গুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি ব্র্যান্ড হলো Richman (রিচম্যান)।
পুরুষদের পোশাকের ফ্যাশান ব্র্যান্ডের কথা যদি বলাহয়, তাহলে
Richman (রিচম্যান) সবার অগ্রভাগে থাকবে।
Richman (রিচম্যান) ব্র্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা মোঃ জুনায়েদ।
বাংলাদেশের সেরা ফ্যাশান কাপড়ের ব্র্যান্ড গুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি হলো Dorjibari (দর্জিবাড়ি)।
মোঃ ফজলুর রহমান ২০০৭ সালে Dorjibari (দর্জিবাড়ি) ফ্যাশান ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন।
Dorjibari (দর্জিবাড়ি) ফ্যাশান ব্র্যান্ডের বেশিরভাগ কাপড়ই বিদেশে রপ্তানি হয়।
Rang Bangladesh (রং বাংলাদেশ) মূলত ছেলে এবং মেয়েদের কাপড়ের ব্র্যান্ড নিয়ে কাজ করে।
বর্তমান ছেলে মেয়েদের পছন্দের তালিকায় Rang Bangladesh (রং বাংলাদেশ) ফ্যাশান ব্র্যান্ডটি অন্যতম।
সৌমিক দাস ১৯৯৪ সালে Rang Bangladesh (রং বাংলাদেশ)প্রতিষ্ঠা করেন।
বাংলাদেশের একটি অন্যতম শীর্ষস্থানিয় শিল্প প্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো ২০০৪ সালে একটি কাপড়ের ফ্যাশান ব্র্যান্ড প্রতিষ্ঠা করে যেটি Yellow (ইয়েলো) ফ্যাশান ব্র্যান্ড নামে পরিচিত। এটি খুবই জনপ্রিয় একটি ফ্যাশন ব্র্যান্ড।
নব্বই দশকের কোনো কাপড়ের ফ্যাশান ব্র্যান্ডের কথা যদি বলতেই হয়। তাহলে শুরুতেই আসবে এই
Cat's Eye (ক্যাটস আই) ফ্যাশান ব্র্যান্ডের নাম। ১৯৮০ সালে আশরাফুন সিদ্দিকী ডোরা এবং সাঈদ সিদ্দিকী রুমী Cat's Eye (ক্যাটস আই) প্রতিষ্ঠা করেন।
সেই থেকে Cat's Eye (ক্যাটস আই) আজ অবধি সকলের পছন্দের ফ্যাশন ব্র্যান্ডে রয়েছে।
এইতো মাত্র কয়েক বছর আগের কথা ২০১৫ সালের দিকে Sailor (সেইলর) ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয়। কম দামে উন্নত মানের পোশাক দিতে পারায় Sailor (সেইলর) ব্র্যান্ডটি মাত্র কয়েক বছরের মধ্যেই বাংলাদেশের মার্কেটে শীর্ষস্থানে জায়গা দখল করে নিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি সব রকমের কাপড় বিক্রি করে থাকে।
বাংলাদেশের জনপ্রিয় কাপড় ব্র্যান্ডের মধ্যে আরেকটি হলো এই Grameen Uniqlo (গ্রামীণ ইউনিক্লো)। গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠিতা অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইউনুস স্যার ২০১১ সালে Grameen Uniqlo (গ্রামীণ ইউনিক্লো) ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই এটি বেশ জনপ্রিয় একটি পোশাক ব্র্যান্ডের তালিকায় রয়েছে।
ইয়াং স্টারদের কাছে বেশ জনপ্রিয় যে ব্র্যান্ডটি তা হলো এই Ecstasy (এক্সটেসি)। যে কোনো পরিশীলিত সমাজে Ecstasy (এক্সটেসি) ব্র্যান্ডের পোশাক মানান সই। তাই ইয়াং জেনারেশনের বেশি পছন্দ এই Ecstasy (এক্সটেসি) ব্র্যান্ডের পোশাক। ১৯৯৭ সালের দিকে তানজিম হক নামের একজন উদ্যোক্তা Ecstasy (এক্সটেসি) ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠা করেন। Ecstasy এক্সটেসিতে আপনি ছোট বড় সব ধরনের ব্র্যান্ড কাপড় পেয়ে যাবেন।
শেষ কথা
বাংলাদেশ বিশ্বের সেরা পোশাকের ব্র্যান্ডের কাপড় তৈরি করে তবুও দেশের শিল্প ও ঐতিহ্য ধরে রাখতে উপরের ব্র্যান্ড সমূহ । আধুনিক প্রযুক্তির সাহায্যে এবং উপলব্ধ কাপড়ের বিস্তৃত পরিসরে, এই ব্র্যান্ডগুলি উন্নত মানের পোশাক তৈরি করছে।
স্থানীয় ডিজাইনারদের সৃজনশীলতা শৈলী, ডিজাইন এবং রঙের বিস্তৃত পরিসরের দিকে পরিচালিত করেছে যা বিশ্বব্যাপী ফ্যাশন দৃশ্যে আপীল করার জন্য নিশ্চিত। আপনি ঐতিহ্যগত বা আধুনিক কিছু খুঁজছেন কিনা, আপনি এটি বাংলাদেশে খুঁজে পেতে পারেন।