Bangla courses
October 7, 2022

ইংরেজিতে দুর্বল: একজন ফ্রিলান্সারের ইংরেজী জানা কতোটা প্রয়োজন?

আমরা অনেকেই আছি যারা ইংরেজি খুব কম জানি, এটা নিয়ে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে যে ইংরেজি কম পারি আমার দ্বারা কি অনলাইনে কাজ করা সম্ভব বা ইংরেজি কম পারি গ্রাফিক্স ডিজাইন কি শিখে কিছু করতে পারবো কি না?

এমন অনেক প্রশ্ন মাথায় ঘুরপাক খেতে থাকে তাই আমি আজকের আর্টিকেলে দেখাব ইংরেজি কম জানলেও কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইনার হয়ে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে কাজ করতে পারবেন।

একজন ফ্রিলান্সারের ইংরেজী জানা কতোটা প্রয়োজন?

ফ্রিলান্সারের কাজ করতে হলে আপনাকে বেশি ইংরেজি জানার প্রয়োজন নেই। আপনি মোটামোটি বোঝার মতো ইংরেজি জানলেই চলবে।আপনি যদি ইংরেজি কনটেন্ট রাইটিং কিংবা কাস্টমার এক্সিকিউটিভ হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং করে থাকেন, অথবা ইংরেজি ভাষা আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগে ইংরেজি ভাষায় ন্যাটিভ লেভেলের দক্ষতা থাকতে হবে।

ইংরেজি বলার সাথে সাথে নির্ভল ও শুদ্ধভাবে ইংরেজিতে লিখতে পারতে হবে।কাজের প্রয়োজনে পাঠকদের মনোযোগ ধরে রাখার জন্য পড়ার মতো করে লিখার সক্ষমতা অর্জন করা জরুরি একজন ইংরেজি কনটেন্ট রাইটারের। 

আবার কাস্টমার সার্ভিস ডিপার্টমেন্টে ফ্রিল্যান্সিং জব করতে হলেও ইংরেজিতেও ভালো হতে হবে।

একজন আন্তর্জিাতিক  কাস্টমারের সাথে কাজ করতে ও কথা বলার জন্য মোটমুটি  ভালো লেভেলে ইংরেজিতে কথা বলতে হবে। এতে করে আপনার ভাষাগত জ্ঞানের চেয়ে টেকনিক্যাল স্কিল একটু বেশি প্রাধান্য পাবে।

আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হলে আপনার ক্লায়েন্টের সাথে ইংরেজিতে কথা বলতে হয়। যদি আপনি ক্লায়েন্টের কথা বলতে ও বুঝতে না পারেন, তাহলে আপনি কাজটি ভালোভাবে করতে পারবেন না।এর জন্য আপনাকে খুব ভালো মানের ইংরেজি পারার দরকার নেই। মোটামুটি কাজ করার মতো ইংরেজি পারলেই চলবে।আর যদি ইংরেজি বুঝতে ‍ও কথা বলতে না পারলে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে বেশ সমস্যায় পড়বেন।

ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ারে ইংরেজি জানার সুবিধা

ফ্রিল্যান্সার ক্যারিয়ার গড়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি শেখার গুরুত্ব অপরিসীম। চলুন জেনে নেওয়া ফ্রিল্যান্সারের ইংরেজি জানার সুবিধা সম্পর্কে। 

যোগাযোগ

বিশ্বে ৬,৫০০ এর অধিক ভাষার প্রচলন থাকলেও ইংরেজি সবথেকে অধিক ব্যবহৃত ভাষা।বিশ্বে প্রায় ৪০০ মিলিয়নের অধিক মানুষের আসল ভাষা ইংরেজি। এছাড়া আন্তর্জাতিক ভাষা হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ হওয়ার ফলে বিশ্বজুরে ২ বিলিয়নের মানুষ ইংরেজি ভাষা শিখে থাকে।আন্তর্জাতিক ক্লায়েন্টের সাথ যোগাযোগ করতে হলে অবশ্যই ইংরেজি ভাষা জানতে হবে।ইংরেজিতে ভালো না হলে আপনি ক্লায়েন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন না যার ফলে কাজে ব্যাঘাত ঘটবে। তাই যোগাযোগের সুবিধার্থে একজন ফ্রিল্যান্সারের ইংরেজি জানা জরুরি।

কাজ 

আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হন, তাহলে অনেক ধরণের ফ্রিল্যান্সিং জব খুজে পাবেন খুব সহজে। বর্তমানে কটেন্ট রাইটারের প্রচুর চাহিদা রয়েছে, আপনি যদি ইংরেজিতে দক্ষ হন তাহলে খুব সহজে এ কাজটি করতে পারেন। একজন কটেন্ট রাইটার ইংরেজিতে দক্ষ হওয়ার ফলে ব্লগ, আর্টিকেল, রিচার্চ পেপার, এমনকি ইন্টরভিউ স্ক্রিপটস ও লিখতে পারেন। এছাড়া কপিটাইটার হিসেবে কাজ করে সেলস কপি, প্রিন্ট, প্রোডাক্ট ডেসক্রিপমন, ইত্যাদি কাজ ও করতে পারবেন।

আর্টিকেল, ওয়েবসাইট কপি, অফলাইন কনটেন্ট, ই-বুক, ম্যানুয়াল, গাইড, ইত্যাদি লিখে আয করতে পারেন। ক্রিয়েটিভ আইটি ইনস্টিটিউট কথ্য এবং যোগাযোগমূলক ইংরেজি, লেখা এবং ধ্বনিতত্ত্বের উপর কোর্স অফার করছে। আপনি যদি একটি ফ্রিল্যান্সিং পেশা হিসাবে গ্রহণ করার জন্য একটি উন্নত স্তরের ভাষা শিখতে চান তবে এই কোর্সগুলি যথেষ্ট।

অন্যান্য সুযোগসমূহ

ফ্রিল্যান্সার এর পাশাপাশি বর্তমানে যেকোন কাজের ক্ষেত্রে ইংরেজি ভাষায় যোগাযোগ দক্ষতা আছে কিনা তা গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে। বিভিন্ন সংস্থা এবং সংস্থার জন্য পূর্ণ-সময়ের কর্মচারী প্রয়োজন যাদের আমরা উপরে উল্লেখ করেছি সেই ক্ষেত্রগুলির বিষয়ে দক্ষতা রয়েছে। ক্যারিয়ার বাছাই করার সময় প্রত্যেকের একই পছন্দ থাকে না। যে ব্যক্তিরা একটি নির্দিষ্ট আয়ের সাথে একটি সংগঠিত জীবন পছন্দ করেন তারা ভালো ইংরেজি ভাষার দক্ষতার সাথে ফুল-টাইম চাকরি বেছে নিতে পারেন। এই ক্ষেত্রে কিছু সাধারণ কাজের শিরোনাম হল বিষয়বস্তু লেখক, ভূত লেখক, কপিরাইটার, প্রুফরিডার, সংবাদপত্র এবং ম্যাগাজিনের জন্য নিবন্ধ লেখক এবং আরও অনেক কিছু হওয়ার সুযোগ রয়েছে।

ইংরেজিতে অনেক দুর্বল-আপনি কি পারবেন ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে?

ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে চান বা না চান, আধুনিক সমাজে নিজেকে দার করার জন্য আপনার অন্তত কিছু মৌলিক ধারণা থাকা প্রয়োজন। ইংরেজি একটি আন্তর্জাতিক ভাষা। বিশ্বের জনসংখ্যার একটি বিশাল অংশ প্রথম বা দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজিতে কথা বলছে। তাই ফ্রিল্যান্সার হিসাবে ইংরেজি শেখার গুরুত্ব অপরিসীম।

বলা চলে, ফুলটাইম ক্যারিয়ার হিসেবে ফ্রীলাঞ্চিং নিলে আপনাকে অবশ্যই, ইংরেজি পড়ে বুঝা, লেখা ও টুকটাক কথা বলতে জানতে হবে। তবে, হ্যাঁ google translator এর মত টুলস ব্যবহার করে আপনি ক্লাইন্টের সাথে যোগাযোগ করতে পারবেন। তবে কথা বলতে পারবেন না।

সমস্যা হয়- যখন

  • ক্লাইন্ট ফোনে বা স্কাইপ-এ কথা বলতে চায় - এটা এড়াতে ফাইভার মার্কেটপ্লেসে কাজ করুন।
  • ক্লাইন্টের ম্যাসেজের অর্থ বুঝা - অন্য কারো থেকে এটা বুঝে নিতে হবে।

সুতরাং, আপনাকে আসলে ইংরেজি শেখা শুরু করতে হবে। খুব বেশি যে জানতে হবে তাও না। মোটামুটি ৩-৫ মাস দৈনিক ১ ঘণ্টা সময় দিলে আপনি ইংরেজিতে ভাল করতে পারবেন।

আরও পড়ুন

March 12, 2023
ডাটা এন্ট্রির কাজ কিভাবে পাবো? ডাটা এন্ট্রি জব করার ১০টি ওয়েবসাইট
ডেটা এন্ট্রি হল বিভিন্ন উৎস থেকে কম্পিউটার সিস্টেমে ডেটা ইনপুট করা। যাারা এই কাজটি করে…
March 12, 2023
সেরা সাতটি ওয়াইফাই রাউটার (৪০০০ টাকার মধ্যে মার্চ ২০২৩)
WiFi router রাউটার হলো ইন্টারনেট নেটওয়ার্ক এর এমন একটি যন্ত্র যার সাহায্য খুব সহজে ইন্টারনেটের…
March 1, 2023
সৌদি আরবের ভিসা চেক করার উপায়
বর্তমানে আধুনিকতার যুগ পিছিয়ে নেই, সাথে সাথে উন্নত হয়েছে তথ্য প্রযুক্তিও, বর্তমানে চাইলে আপনি অনলাইনেই…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

দুঃখিত এই কন্টেন্টটি কপি করা যাচ্ছে না। অনুগ্রহ করে শেয়ার করুন।

linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram
Share via
Copy link
Powered by Social Snap