Bangla courses
September 5, 2022

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কী? এর গুরুত্ব ও করার উপায়

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, Social media marketing or SMM হল ডিজিটাল মার্কেটিং এবং ই-মার্কেটিং —যা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম নেটওয়ার্ক তৈরি করে এবং তথ্য শেয়ার করা, ব্র্যান্ড তৈরি, কাস্টমারের সাথে যোগাযোগ, বিক্রয় এবং ওয়েবসাইট ট্রাফিক বাড়ানোর কাজে ব্যবহার করা হয়।

সোশ্যাল মিডিয়া এবং নেটওয়ার্কগুলি ব্যবহার করে – যেমন Facebook, Twitter, এবং Instagram – পণ্য এবং সার্ভিস বিক্রি করতে ও গ্রাহকদের সাথে যুক্ত হওয়া এবং নতুন গ্রাহকদের কাছে পৌঁছানর উপায়৷ আবার, সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করা যায়।

80% এরও বেশি ভোক্তারা মনে করেন যে সোশ্যাল মিডিয়া তাদের পণ্য ও সার্ভিস কেনার সিদ্ধান্ত প্রভাবিত করে। তাই সোশ্যাল মিডিয়ার মার্কেটিং খুব জনপ্রিয়, বিশেষ করে বিপণনকারীদের কাছে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কী?

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং বলতে বুঝায়- সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, টুঁইটার -এর ব্যবহার করে পন্য বা সার্ভিস এর মার্কেটিং করা। এর মূল উদ্দেশ্য হল গ্রাহক এর সাথে সরাসরি সম্পর্ক বা যোগাযোগ স্থাপন করা এবং ভালো সম্পর্ক বজায় করা। দর্শক যাতে আরও ভালোভাবে ব্র্যান্ডকে জানতে সাহায্য করে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং হল ইন্টারনেট ব্যবহার করে পণ্য, সার্ভিস বা ব্র্যান্ডের বিজ্ঞাপন দেওয়ার পদ্ধতি, যার উদ্দেশ্য হল অনলাইনে তাদের সম্পর্কে মানুষেকে আকর্ষণ করা, পন্যের সম্পর্কে মানুষকে জানানো, পরামর্শ দেয়া ও বিক্রি বৃদ্ধি করা।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং আসলে ডিজিটাল মার্কেটিং এর একটি পার্ট। অফলাইন মার্কেটিং এর সাথে তুলনা করলে, এর কিছু সুবিধা ও অসুবিধা আছে।

তবে সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শক্তি তিনটি:

  1. গ্রাহকের সাথে তাৎক্ষণিক সংযোগ,
  2. সম্পর্ক তৈরি ও মার্কেটিং এর সুবিধা, এবং
  3. গ্রাহক ডেটা অ্যানালাইসিস।

কোম্পানিগুলিকে বিদ্যমান গ্রাহকদের সাথে যুক্ত হওয়ার এবং নতুনদের কাছে পৌঁছানোর উপায় প্রদান করার পাশাপাশি, SMM এর ডেটা অ্যানালিটিক্স রয়েছে যা মার্কেটারদের মার্কেটিং এর সাফল্য ট্র্যাক করতে এবং ও সুনির্দিষ্ট গ্রাহকদের সম্পর্কে আরও জানতে দেয়৷

সোশ্যাল মার্কেটিং জন্য লক্ষ্যগুলির একটি বিকশিত কৌশল প্রয়োজন এবং এতে যে সুবিধা রয়েছে:

  • আপনার ব্যক্তিগত বা কোম্পানি প্রোফাইল রক্ষণাবেক্ষণ এবং অপ্টিমাইজ করা।
  • ছবি, ভিডিও, গল্প, এবং লাইভ ভিডিও পোস্ট করা যা আপনার ব্র্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করে এবং একটি দর্শকদের আকর্ষণ করা।
  • মন্তব্য, শেয়ার, এবং লাইক এর প্রতিক্রিয়া অনুসরণকারীদের আপনার সাথে যুক্ত হতে দেয় ও ক্রেতাদের লয়্যাল করে।
  • আপনার ব্র্যান্ডের জন্য গ্রুপ তৈরি করতে অনুসরণকারী ও ক্রেতাদের আপনার প্যন্যের গুনগতমান জানতে দেয়।
  • সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং-এর মধ্যে পেইড সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপনও রয়েছে, যেখানে আপনি আপনার ব্যবসাকে অনেক বেশি টার্গেটেড ব্যবহারকারীদের সামনে প্রমোট করতে পারেন।

এছাড়াও সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজমেন্ট অনেক টুলস রয়েছে যা প্ল্যাটফর্মগুলি থেকে সুবিধা পেতে সহায়তা করে৷

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর গুরুত্ব

কোন কোম্পানির সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ব্যবহার করার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কারণগুলির তালিকা নিচে দেওয়া হল।

  • ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
  • লিড তৈরি করা এবং কনভার্সন (বিক্রি) বৃদ্ধি করা।
  • গ্রাহকদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তুলতে।
  • আপনার competitors থেকে শিখতে পারবেন।

সোশ্যাল মিডিয়া সবচেয়ে প্রভাবশালী ও গুরুত্বপূর্ণ ভার্চুয়াল স্পেস হয়ে উঠেছে। এখন এই প্ল্যাটফর্মগুলি শুধুমাত্র নেটওয়ার্কীং-এর জন্যই ব্যবহৃত হয় না বরং এটি ব্র্যান্ড এবং পণ্যের ডিজিটালি বিজ্ঞাপন দেওয়ার দুর্দান্ত উপায়।

এই সোশ্যাল মিডিয়া বিজ্ঞাপন সম্ভাব্য দর্শকদের কাছে পৌঁছাতে সাহায্য করে৷ আপনি একটি বিজ্ঞাপন পোস্ট করার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বিপুল সংখ্যক লোকের কাছে পৌঁছাতে পারেন। প্রিন্ট বা টেলিভিশন মিডিয়া মার্কেটিংয়ের তুলনায় কম খরচে এমনকী বিনামুল্যে ক্রেতা টার্গেট করে মার্কেটিং করতে দেয়।

ইমেজ, ভিডিও, টেক্সট কন্টেন্ট ব্যবহার করে ক্রেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারবেন। সুতরাং, খুব সহজে স্টোরি টেলিং- এর মত আধুনিক ও কার্যকরী কৌশল বা স্ট্রাটিজি ব্যবহার করা যাবে।

বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় 59% ব্যবসা, ডিজিটাল মিডিয়া ব্যবহার করে। বিপণনের এই সুযোগটি হাতছাড়া করা উচিত নয়।

Facebook বা Instagram এর মত যেকোন সোশ্যাল মিডিয়াতে অনলাইনে উপস্থিতি থাকা আপনার দর্শকদের সাথে যোগাযোগ, ব্যক্তিগতভাবে সংযুক্ত হওয়া যায়।

সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্কে সকল ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের প্রোফাইল সবার জন্য অ্যাক্সেসযোগ্য। একজন উদ্যোক্তা হিসাবে আপনার প্রতিযোগীকে আরও ভালভাবে জানার এবং তাদের শ্রোতাদের আকর্ষণ করার জন্য তারা যে কৌশলগুলি বাস্তবায়ন করছে তা বোঝার সুযোগ পাবেন।

এটি বিপণনকারীদের তাদের ক্রেতাদের পছন্দ, অপছন্দ এবং আগ্রহ সম্পর্কে আরও অবগত হতে পারেন, ফলে এই ধরনের গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য একটি ভাল বিপণন কৌশল তৈরি করতে পারবেন।

সেরা সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং প্ল্যাটফর্ম বা ওয়েবসাইট

ফেসবুক

  • ব্যবহারকারী: বিশ্বব্যাপী 1.9 বিলিয়ন দৈনিক ব্যবহারকারী
  • শ্রোতা: জেনারেশন X এবং সহস্রাব্দের একটি সমান বিস্তার
  • সেরা: ব্র্যান্ড সচেতনতা; বিজ্ঞাপন

ফেসবুক হল বৃহত্তম ও প্রতিষ্ঠিত সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম 2004 সালে এটি চালু হওয়ার পর থেকে, এটি B2C ব্যবসার জন্য একটি অমূল্য হাতিয়ার হয়ে উঠেছে। আর বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এটি অনলাইনে সবচেয়ে জনপ্রিয় কেনাবেচার প্লাটফর্ম

টিক টক

  • ব্যবহারকারী: 1 বিলিয়ন মাসিক বিশ্বব্যাপী ব্যবহারকারী
  • শ্রোতা: প্রাথমিকভাবে Gen Z এর পরে Millennials
  • সেরা: শর্ট-ফর্ম সৃজনশীল ভিডিও; ব্যবহারকারীদের তৈরি করা ভিডিও;

আপনি যখন শর্ট-ফর্ম ভিডিওর কথা ভাবেন, আপনি সম্ভবত TikTok এর কথা ভাবেন। প্ল্যাটফর্মটি 2020 সালে জনপ্রিয়তা বেড়েছে। বিপণনকারীরা এটিকে YouTube-এর পরে দ্বিতীয় স্থানে রেখেছেন৷

ইনস্টাগ্রাম

  • ব্যবহারকারী: 1 বিলিয়ন মাসিক ব্যবহারকারী
  • শ্রোতা: প্রাথমিকভাবে সহস্রাব্দ
  • সেরা: উচ্চ-মানের ছবি এবং ভিডিও; ব্যবহারকারীদের তৈরি করা সামগ্রী; বিজ্ঞাপন

যদিও ইনস্টাগ্রাম মাত্র 12 বছর আগে চালু হয়েছিল, দৃশ্যত ইমেজ ও ভিডিও শেয়ার করার কথা আসে, তখন ইনস্টাগ্রাম প্ল্যাটফর্মটিকে আলাদা করে তা হল এর উন্নত ইকমার্স টুল।

টুইটার

  • ব্যবহারকারী: বিশ্বব্যাপী 211 মিলিয়ন দৈনিক ব্যবহারকারী
  • শ্রোতা: প্রাথমিকভাবে সহস্রাব্দ
  • সেরা: জনসংযোগ; গ্রাহক সেবা; কমিউনিটি বিল্ডিং

ইনস্টাগ্রাম ভিজ্যুয়ালে ফোকাস করে, টুইটার শব্দের উপর ফোকাস করে। টুইটার হল ব্যবসার জন্য একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্ম যাতে নতুন লোকেদের সাথে যোগাযোগ করা যায়। এই লোকেদের মধ্যে কেউ কেউ ব্যবসায়িক পরিচিতি, সম্ভাব্য অংশীদার, কেউ বা এমনকী কর্মচারী হতে পারে।

লিঙ্কডইন

  • ব্যবহারকারী: বিশ্বব্যাপী 774 মিলিয়ন ব্যবহারকারী
  • শ্রোতা: বেবি বুমারস, জেনারেশন এক্স, এবং মিলেনিয়ালস
  • সেরা: B2B, ব্যবসায়িক উন্নয়ন এবং সার্ভিস বিক্রয়

লিঙ্কডইন ফেসবুকের মতো কীন্তু পেশাদারদের জন্য। এটি সম্ভবত একমাত্র প্ল্যাটফর্ম যেখানে এর দর্শকদের স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে। এটি এমন পেশাদারদের জন্য যারা ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক তৈরি করতে এবং নতুন সুযোগ সন্ধান করতে চান।

YouTube

  • ব্যবহারকারী: বিশ্বব্যাপী 315 মিলিয়নেরও বেশি দৈনিক ব্যবহারকারী
  • শ্রোতা: বলতে গেলে সব ধরনের মানুষ
  • সেরা: ব্রান্ডিং; দীর্ঘ ভিডিও, গান মুভি ও বিনোদন, এবং ভিডিও

ইউটিউব বিশ্বের দ্বিতীয় সর্বাধিক পরিদর্শন করা ওয়েবসাইট। একটি অবিশ্বাস্যভাবে জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম হওয়ার এটিকে শিক্ষামূলক কন্টেন্ট জন্য একটি আদর্শ প্ল্যাটফর্ম। ইউটিউব মার্কেটিং হল একটি কোম্পানির ইউটিউব চ্যানেলে মূল্যবান ভিডিও আপলোড করে বা ইউটিউব বিজ্ঞাপন ব্যবহার করে YouTube এর প্ল্যাটফর্মে ব্যবসা এবং পণ্যের প্রচার করা।

Pinterest

  • ব্যবহারকারী: বিশ্বব্যাপী 444 মিলিয়ন মাসিক ব্যবহারকারী
  • শ্রোতা: মুলত এই প্লাটফর্মটি USA তে খুব জনপ্রিয়
  • সেরা: ভিজ্যুয়াল বিজ্ঞাপন; অনুপ্রেরণা মূলক ছবি ও ভিডিও, ও আইডিয়া

একটি ভিজ্যুয়াল স্টোরিবোর্ডের মতো Pinterest এর কথা চিন্তা করুন যা ব্যবহারকারীদের ফ্যাশন থেকে শুরু করে বাড়ির সাজসজ্জার সবকিছুর জন্য অনুপ্রেরণা পেতে দেয়।

আর, এটি শিখে সহজেই নতুনরা ফ্রিলান্সিং করে টাকা আয় করতে পারে। এই কাজগুলি খুব একটা কঠিন না। আসুন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর কাজ সম্পর্কে বিস্তারিত যেনে নেই।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়

সোশ্যাল মিডিয়া ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে, কীন্তু সফল হওয়ার জন্য মৌলিক (basic) পদক্ষেপগুলি একই থাকে। আপনি একটি বিপণন কৌশল তৈরি করতে পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন।

যদিও সোশ্যাল মিডিয়া ক্রমাগত বিকশিত হচ্ছে, সফল হওয়ার জন্য আপনার প্রয়োজনীয় বেশিরভাগ মৌলিক পদক্ষেপগুলি একই থাকে। আপনি একটি বিপণন কৌশল তৈরি করতে পদক্ষেপগুলি অনুসরণ করতে পারেন।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করার উপায়

নিচে বিস্তারিতভাবে এই সম্পর্কে আলোচনা করা হল৷

ধাপ 1: ক্রেতাদের ব্যক্তিত্ব এবং শ্রোতাদের নিয়ে গবেষণা করুন।

একটি সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং কৌশল তৈরি করার প্রথম ধাপ হল আদর্শ ক্রেতার ব্যক্তিত্ব (Buyers Persona) এবং শ্রোতা কারা তা নির্ধারণ করা।

এটি করার জন্য, যাদের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করছেন এবং কেন, এবং কীভাবে আপনি তাদের একটি সাধারন গোষ্ঠীতে শ্রেণীবদ্ধ করবেন, সে সম্পর্কে চিন্তা করুন।

একটি সাধারন গোষ্ঠীতে শ্রেণীবদ্ধ করতে, এই ধাপে আপনার পণ্যের আদর্শ বায়ার সম্পর্কে যে বিষয়গুলি বের করবেন তা হল-

  • জেন্ডারঃ কত পারসেন্ট ছেলে বা মেয়ে।
  • বয়সঃ গড় বয়স কত। এর মাধ্যমে আপনি তাদের জন্য কন্টেন্ট তৈরি করতে পারবেন।
  • লোকেশনঃ কাস্টমারা কোথায় অবস্থান করেন।
  • শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পেশাঃ এখানে আপনি কাদের কাছে পন্য ও সেবা বিক্রি করবেন তাদের জ্ঞান, আয় ও ফ্রি টাইম সম্পর্কে ধারনা পাবেন।
  • কমন সমস্যাঃ আপনার কাস্টমার বেজ কী কী ধরনের সমস্যা ফেস করে, যেমন, সময়, ট্রাফিক জ্যাম, সঞ্চয় ইত্যাদি।
  • কমন আগ্রহঃ যেমনঃ সবাই ক্রিকেট খেলতে ও দেখতে ভালবাসতে পারে, চাকরির স্ট্রেস, নতুন কিছু জানতে, শিখতে আগ্রহ, চা খাওয়া, আড্ডা দেওয়া ইত্যাদি।

ক্রেতা এবং শ্রোতাদের টাইপ বিবেচনা করে, আপনি নির্ধারণ করতে সক্ষম হবেন যে কোন টাইপের কন্টেন্ট তারা পছন্দ করে। এবং এর মাধ্যমে গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার একটি ভাল উপায় হয়।

ধাপ 2: কোন সামাজিক প্ল্যাটফর্মে ব্যবহার করবেন তা নির্ধারণ করুন।

একজন সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হিসেবে, আপনি কোন প্ল্যাটফর্মে আপনার কন্টেন্ট শেয়ার করতে যাচ্ছেন তা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ।

বায়ার পারসনা ক্রিয়েট করার পরেই আপনি বুঝতে পারবেন, কোন কোন সোশ্যাল মিডিয়াতে ফোকাস করতে হবে।

সব সোশ্যাল মিডিয়া সব ব্যবসার জন্য না, উপরের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম সম্পর্কে ডাটাগুলি দেখতে পারেন।

ধাপ 3: মার্কেটিং এর মেট্রিক্স এবং কেপিআই স্থির করুন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ডাটা ড্রিভেন মার্কেটিং করতে হয়। আপনার লক্ষ্য যাই হোক না কেন, সামাজিক মিডিয়া কৌশল ডেটা এনালাইসিস ও তা থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহন করার ক্ষমতা অর্জন করতে হবে।

মেট্রিক্স বা ডাটা যে গুলি আপনি কেপিআই হিসেবে নিতে পারেন।

  • পোস্ট Reach
  • ক্লিক
  • Engagement ( লাইক, কমেন্ট, শেয়ারের সংখ্যা )
  • Sentiment ইত্যাদি

ধাপ 4: আপনার প্রতিযোগীদের এনালাইসিস করুন

একটি প্রতিযোগিতামূলক বিশ্লেষণ করলে বুঝতে পারবেন – তারা কেন ভাল করছে এবং কেন ভাল করছে না। আবার, যেহেতু আপনার ও তাদের টার্গেট অডিয়েন্স যেহেতু একই সুতরাং আপনি সহজেই বুঝতে পারবেন অডিয়েন্স কী ধরনের কন্টেন্ট পছন্দ করে।

যা আপনাকে গোল নির্ধারণ করতে সহায়তা করবে। এটি আপনাকে সুযোগগুলি চিহ্নিত করতেও সহায়তা করবে।

ধাপ 5: ইউনিক এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করুন

সৃজনশীল হতে , আপনার প্রতিযোগীরা যে কন্টেন্ট তৈরি করছে এবং আপনি কীভাবে আপনার পণ্যগুলিকে অনন্যভাবে প্রচার করতে পারেন তা বিবেচনা করুন।

ইউনিক এবং আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরি করুন

এই কারণেই আপনার অবশ্যই আকর্ষণীয় সোশ্যাল মিডিয়া সামগ্রী কন্টেন্ট তৈরি করতে হবে – যেন মানুষ আপনার পোস্ট অনুসরণ, লাইক কমেন্ট করে এবং আপনার ব্র্যান্ডের সাথে ইন্টারঅ্যাক্ট করার জন্য উৎসাহিত হয়৷

আপনি কার সাথে কথা বলছি? আপনার টার্গেট শ্রোতাদের চিহ্নিত করুন এবং ম্যাপ করুন: তাদের কী আগ্রহ আছে? তারা ইতিমধ্যে কী সম্পর্কে অনেক জানেন?

নিজেকে এমনভাবে প্রকাশ করুন যাতে আপনার টার্গেট শ্রোতা বুঝতে পারে – খুব বেশি পরিশীলিত বা খুব সাধারণ ভাবে নয়। মাঝামাঝি থাকুন।

সম্ভাব্য গ্রাহক বা অংশীদারদের হারিয়ে যাওয়া এড়াতে, তাদের নেক্সট কী পদক্ষেপ নিতে হবে সেটা বলে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ৷ যেমনঃ কমেন্ট করা, প্রডাক্ট কেনা, লিংকে ক্লিক করা ইত্যাদি।

শেষ মন্তব্য

আশাকরি আপনার সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং ও এর গুরুত্ব এবং কীভাবে করতে হয় তার সম্পর্কে একটি ধারনা তৈরি হয়েছে।

একজন সফল সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটার হতে হলে শেখা থামাতে পারবেন না। সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিংয়ে সাফল্যের জন্য, সময় এবং অর্থ দুটোই প্রয়োজন হবে।

সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং শুরুতে কঠিন বলে মনে হতে পারে, কীন্তু সঠিকভাবে শুরু করলে এটি কম সময়ে শিখে ফেলা সম্ভব।

আরও পড়ুন

April 2, 2023
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস কি? কিভাবে ফেসবুক মার্কেটপ্লেসে প্রোডাক্ট সেল করবেন 
ফেসবুক মার্কেটপ্লেস অনেকটা ক্লাসিফাইড মার্কেটপ্লেসের মতো কাজ করে। যেমন বিক্রয় ডট কমে আপনি নতুন হোক…
January 31, 2023
সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং করে আয় করার উপায়
সোশ্যাল মিডিয়া আজ অনেক ব্যবসার মার্কেটিং কৌশলগুলোর একটি অংশ। এটি একটি শক্তিশালী টুল যা আপনার…
January 29, 2023
Likee থেকে টাকা ইনকাম করার ১০টি সহজ উপায়
আপনি যদি Likee অ্যাপ থেকে কীভাবে অর্থ উপার্জন করবেন তা জানতে চান, তাহলে সঠিক যায়গায়…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram
Share via
Copy link