ফ্রিলান্সিং মার্কেটপ্লেস, ইউটিউব, ফেসবুক-এর মতো প্লাটফর্মের জন্য ভিডিও এডিটিং এর জনপ্রিয়তা বাড়ছে দিনে দিনে। আপনি যদি ভিডিও এডিটিং কী ও কীভাবে ভিডিও এডিটিং করা যায় সে সম্পর্কে জানতে চান, তাহলে সঠিক যায়গায় এসেছেন।
ভিডিও বলতে আমরা বুঝি কোন বিষয়ের উপরে সাময়িক কিছু সময়ের জন্য ক্যামেরার মাধ্যমে ফুটেজ তৈরি করাকে। আর আমরা যারা মুভি দেখি তারা জানি এডিটিং একটা ভিডিও কে কতটা সুন্দর করে তোলে।
ভিডিওগুলো এতটা সুন্দর করে এডিট করা হয় যে, এর স্পেশাল ইফেক্টস,ভিএফএক্স,গ্রাফিক্স দেখে কল্পনাকে বাস্তবের মতো মনে হয়। ইউটিউব খুললেই আমরা দেখতে পাই এক এক ভিডিওর ফুটেজ এক এক রকম। যার ইফেক্ট ও দৃষ্টিনন্দন।
অনুভূতি প্রকাশের অন্যতম মাধ্যম হচ্ছে ভিডিও। আর সেই ভিডিওকে ভালো মানের করতে হলে আমাদের ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে ধারোনা রাখতে হবে। আমার এই আর্টিকেলটা আপনাকে কিছুটা হলেও ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারোনা প্রদান করবে।
চলুন এর সম্পর্কে কিছুটা ধারোনা নিয়ে আসি।
ভিডিও এডিটিং হল মোশন ভিডিও প্রোডাকশন ফুটেজ, স্পেশাল এফেক্ট এবং সাউন্ড রেকর্ডিং-এর এডিট বা মেন্যুপুলেট করার প্রক্রিয়া।
ভিডিও এডিটিং কাকে বলে! এক কথায় বলতে গেলে বলা যায়,কোনো বিষয়ের উপরে সাধারন ভাবে ভিডিও করে আবার সেই ভিডিও কে সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করে নতুন্ত প্রদান করে একটু আকর্ষনীয় করাকে ভিডিও এডিটিং বলে।
যিনি ভিডিও এডিট করেন তাকে ভিডিও এডিটর বলা হয়। ভিডিও এডিটররা কোন ভিডিও থেকে অবাঞ্ছিত অংশগুলিকে কেটে বাদ দেয়, ভিডিওতে আলো ও কালার ব্যালেন্স করেন, সাউন্ড ঠিক করে বা টেক্সট অ্যাড করেন৷
আপনি একটা সাধারন Video Record থেকে একটি Edit করা Video এর অনেক পার্থক্য রয়েছে। কেননা, আপনি যখন কোনো কিছুকে ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে ধারন করবেন কিছুটা হলে ও পার্থক্য থাকবে।তখসন সেই ভিডিওতে সাধারন ভাবে শুধুমাত্র ভিডিওতে ধারন করা অবজেক্ট গুলোকেই দেখা যাবে।
যখন এই সাধারন ভিডিও গুলোকে এডিট করা হয়, তখন এর কিছুটা হলেও পরিবর্তন হবে। ভিডিও আগের তুলনায় অনেক বেশি সুন্দর ও আকর্ষনীয় হবে।যা দেখতে আগের থেকে অনেক বেশি ভালো লাগবেে। এতে করে অন্যকেউ কেউ আপনার ভিডিও দেখতে আগ্রহ প্রকাশ করবে।
বর্তমানের ভিডিওগুলোর চিত্র এবং শব্দের সংমিশ্রনের মূল চাবিকাঠি এতে করে ভিডিও এডিটিং এর গুরুত্ব আপরিসীম।
বর্তমানে আমরা আমাদের সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোকে আমাদের সৃতি হিসেবে ধরে রাখার জন্য ভিডিও করে থাকী। আর এ কাজ যারা করে থাকে তারা খুব দক্ষতার সাথে কাজ করে থাকে।
তবে বর্তমান সময়ে একজন এডিটরের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা।
এই সময়ে সব শ্রেণীর মানুষ ভিডিও দেখতে পচ্ছন্দ করে। আপনি যদি শতকরা হিসাব করেন তাহলে দেখবে ১০০ জনের মধ্যে ৯০ জনই ভিডিও দেখতে পচ্ছন্দ করে। সব ভিডিও আবার সকলে পচ্ছন্দ করেনা এজন্য যা করলে ভিডিও অনেক আকর্ষনীয় হবে অনেক সুন্দর হবে সেই ভাবে ভিডিও কে মান সম্মত করে এডিট করতে হবে।
এছাড়াও আপনি বর্তমান সময়ের অনেক ভিডিও শেয়ারিং সাইড থেকে আপনাের প্রতিভা দেখিয়ে প্রচুর পরিমান টাকা অনলাইন থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
একজন ইউটিউবার ভিডিও এডিটিং এ মাধ্যমে থেকেই বিপুল পরিমান টাকা আয় করতে পারেন।
আপনি যদি ভালো মানের ও দক্ষতার সাথে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তাহলে আমার এই আর্টিকেলটা আপনাকে কিছুট হলেও সাহায্য করবে।ভিডিও এডিটিং এর কাজগুলো মূলত বিভিন্ন এডিটিং সফটওয়্যারের মাধ্যমে করা হযে থাকে।
এখন আপনি যদি সেই সফটওয়্যার গুলোকে ঠিকমতো বুঝতে না পারেন, তাহলে আপনি কোনো ভাবেই ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন না।
আমাদের মধ্যে এমন অনেকেই আছেন, যারা ভিডিও এডিটিং এর কাজকে অনেক সহজ মনে করে থাকে।এটা ভাবার কারণ হচ্ছে তারা তাদের ফোনে যে সব অ্যাপ ব্যবহার করে ভিডিও এডিটিং এর কাজ করে থাকে , সেগুলো তুলনা মূলক ভাবে অনেব সহজ হয়ে থাকে।
তারা মনে করে এ সম্পর্কে তারা অনেক পারোদোর্ষী তাদের আর জানার দরকার নেই। কীন্তু এ ধারণা সম্পূর্ন ভূল।
কেননা, ভিডিও এডিটিং হলো বিরাট একটি সেক্টর। আর আপনার এখানে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই এ বিষয়ে ধারণা রাখতে হবে। আপনি যখন প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটর হবেন তখন আপনাকে Adobe Premiere Pro কীংবা After Effect এর মতো বড় সফটওয়্যর দিয়ে কাজ করতে হবে।
আপনি চাইলেই এই ভিডিও এডিটর সফটওয়্যারগুলোর সাথে খুব সহজে পরিচিত হতে পারবেন না।
প্রফেশনাল মানের একজন এডিটর হতে হলে আপনাকে প্যাকটিস করতে হবে। কথায় আছে,Practice Make A Man Perfect.
তবে প্রশ্ন হলো কীভাবে আপনি ভিডিও এডিটিং শিখবেন?আর কোন উপায়ে আপনি অন্য দের থেকে তুরনা মূলক অনেক দ্রুততার সাথে ভিডিও এডিটিং শিখতে পারবেন?
চলুন বিষয়টা সম্পর্কে কিছু ধারণা নেওয়া যাক।
যদিও আজকের দিনে শেখার জন্য অনেক মাধ্যম রয়েছে।আপনি যদি প্রফেশানাল ভাবে ভিডিও এডিটিং শিখতে চান তাহলে আপনি বিভিন্ন অভিজ্ঞ ব্যাক্তি কীংবা ভালো কেনো আইটি সেন্টার কোর্স করার মাধ্যমেও শিখে নিতে পারেন।এখানে আপনি বুঝে শুনে হাতে কলমে কাজ গুলো
শিখে নিতে পারেবেনে।আপনা এ কোর্স করতে বেশ ভালো পরিমান টাকা ব্যায় হবে।এমন টাকা খরজ হওয়ার কারণে অনেকে কোর্স করতে চায় না।
সেক্ষেত্রে আপনি অনলাাইন এ মাধ্যমে কোর্স শিখে নিতে পারেন। আপনি আপনার জন্য ইউটিউব বা গুগল অনেক বেশি সহায়ক হতে পারে আপনর জন্য।
বর্তমানে ভিডিওকে আরো বেশি আকর্ষনীয় করতে নেট দুনিয়ায় অনেক জনপ্রিয় সফটওয়্যর রয়েছে।আবার দিন দিন নতুন অনেক নাম জানা অজনা এডিটিং সফটওয়্যার তৈরিও হচ্ছে। আমার আগের আর্টিকেলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার এ বিস্তারিত সম্পর্কে জানতে পারতেন।
তারপরেও এখানে চেষ্টা করবো বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ভাগ করে সেরা কিছু ভিডিও এডিটর টুলস এর লিষ্ট করার চেষ্টা করবো।
আপনারা আপনাদের মোবাইলে ও কম্পিউটারে ভিডিও এডিটিং করার জন্য যে সব সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারবেন তা বিস্তারিত তুলে ধরার চেষ্টা করবো।চলুন জেনে নিই সফটওয়্যারগুলো সম্পর্কে।
ইউটিউবার বা ইউটিউব ভিডিও এডিট করার সেরা কিছু সফটওয়্যার
নতুনদের জন্য সেরা ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার লিস্ট
ম্যাকবুকের জন্য সেরা কিছু ভিডিও এডিট করার সফটওয়ার
পিসির জন্য কিছু এডিটিং সফটওয়্যার
ওয়াটর মার্ক বা ক্রেডিটবিহীন সেরা ও ফ্রি ভিডিও এডিট করার সফটওয়্যার
মোবাইলফোনের এডিটিং সফটওয়্যার
আমরা এতখন যে সব এডিটিং সফটওয়্যার নিয়ে আলোচনা করেছি তা পিসিতে ব্যবহার হয়ে থাকে। ফোনের জন্যও অনেক ভিডিও এডিটিং অ্যাপ রয়েছে। যেমন:
ভিডিও এডিট এর কাজ করতে করতে আপনাকে একটা ব্যাপারে ভাবাতে পারে তাহলো ফ্রি নাকী পেইড সফটওয়্যারের মাধ্যমে এডিটের কাজ ভালো করা যাবে।
আমরা একটা কথা সবাই জানি,টাকা থাকলে সবই ভালো হয়।এ কথার ভিত্তিতে পেইড সফটওয়্যারের মাধ্যমেই ভালো মানের এডিটের কাজ করা যাবে। তবে এইনা যে ফ্রি তে ভালো এডিট করা যায় না। এর মাধ্যমেও অনেক ভালো এডিটের কাজ করা যবে।
পেইড এর মাধ্যমে ভিডিও তে অনেক বেশি সুন্দর ও আকর্ষনীয় করা যায়, প্রফেশনালদের জন্য যা অনেক গুরুত্বপূর্ন।
এতখন আমরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছি। আর কোন বিষয়ে যদি সঠিক ধারোনা থাকে তাহলে তার থেকে ইনকামের পথ ও খুজেবের করে নিতে হয়। ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে কীভাবে অনলাইন থেকে আয় করা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত জানানোর চেষ্টা করব। চলুন জেনে নিই আয় করার উপায় গুলো সম্পর্কে।
আপনি আনেক ভালো মানের ভিডিও এডিটের কাজ করতে পারেন এখন আপনি এডিটের কাজ করে ইনকাম করতে চান।আপনি অনেক উপায়ে ইনকাম করতে পারবেন এর মধ্যে ব্লোগিং এর মাধ্যমেও ইন কামের কাজ করতে পারেন না।
আপনি ভিডিও এডিটিং কীভাবে শিখছেন? ভিডিও এডিটিং কীভাবে শিখতে হয়,অথবা এডিটিং সম্পর্কে বিস্তারিত গাইড লাইন লিখে আর্টিকেল আকারে তৈরি করে ওয়েবসাইডে প্রকাশ করতে পারেন। আর এ সম্পূর্ন ব্যাপারটিকে বলা হয় ব্লাগিং।
ব্লাগিং সম্পকে বিস্তারিত জানতে হলে আপনি ওয়েব সাইডের বিভিন্ন কোর্সের মাধামে আপনি এটা সম্পন্ন করতে পারেন।
আপনি যদি ভালো এডিটের কাজ শিখে থাকেন তাহলে নিজে নানা ধরনের ভিডিও তৈরি করে ইউটিউবে আপলোড করতে পারেন। তাছাড়া বাংলাদেশ সহ বিভিন্ন দেশে অসংখ্য কনটেন্ট ক্রিয়েটর রয়েছে যারা বিভিন্ন ভিডিও এডিটরদের খুজে করে থাকেন ।
আপনি মূলত এমন কয়েকটি ক্রিয়েটরদের চ্যানেল এর ডেসক্রিপশন চেক করুন, যেখানে আপনি বিজনেসের জন্য একটি মেইল দেখতে পাবেন। আপনার কাজ হলো সেটিকে কপি করা এবং প্রফেশনাল ভাবে এটিকে মেইল করে তাদের জানানো আপনি একজন প্রফেশনাল কনটেন্ট এডিটর।
আপনার মেইল যদি সব ঠিক থাকে তাহলে ২-৩ দিনের মধ্যে আপনি রিপ্লাই পেয়ে যেতে পারেন।এভাবে আপনি ভিডিও এডিটিং এর মাধ্যমে কাজ করে নিজের ক্যারিয়ারকে সুন্দর ভাবে গড়তে পারবেন।
আবার আপনি নিজে ইউটিউব চ্যানেল খুলে খুলতে চান, তাহলে আপনাকে ভিডিও এডিটিং জানতে হবে।
আপনি নিশ্চই একটা বা দুইটা হলেও অনলাইন মার্কেটপ্লেসের নাম শুনেছেন।যে মার্কেটপ্লেসগুলোর মাধ্যমে অনলাইনে কাজ আদান প্রদান করা যায়। এটা অনেকটা চাকরির মত।নতুন দের জন্য অনলাইনে মার্কেট পেলেসের মধ্যে অন্যতম হলো ফাইভার। এটা একটি ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইড। যেখানে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সার রয়েছে।
ভিডিওি এডিটের কাজ করতে হলে বা নিযুক্ত হতে হলে আপনাকে প্রথমে একটি আইডি বা অ্যাকাউন্ট বানিয়ে নিতে হবে।এর পরে এখান থেকে আপনাকে ক্লায়েন্ট পেতে হবে।ক্লায়েন্ট পাওযার জন্য প্রথমে আপনাকে কম দামের প্রফাইল সাজিয়ে নিতে হবে। এতে করে আপনাকে কম টাকার বিনিময়ে কাজ করতে হবে।
কারণ শুরুতে যখন আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যোগ দিবেন তখনস কাজ পেতে আপনার একটু কষ্ট হবে।ভিডিওি এডিটিং এর মাধ্যমে আপনি সর্বনিম্ন ৫ ডলার থেকে ১০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারেন। কাজ ভালো করলে এসব ক্লায়েন্ট আপনার জন্য পার্মানেন্ট হয়ে যাবে। তাই নিজের কাজের উপরে জোর দিন আর নিজে একটা সুন্দর প্রফাইল তৈরি করুন।দেখবে আপনি আস্তে আস্তে একসময়ে প্রচুর টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াগওলো প্রচুর সক্রিয় হচ্ছে মানুষের কাছে। অনেক সোশ্যাল মিডিয়া রয়েছে এর মধ্যে কিছু জনপ্রিয় সাইডগুলো হলো যেমন: ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম,টুইটার ইত্যাদি। এর মধ্যে ফেসবুক অন্যতম।ফেসবুককে কাজে লাগিয়ে আমরা মূলত ক্লায়েন্ট খুজবো। ক্লাযেন্ট বলতে এখানে বুঝানো হয়েছে আপনার ভিডিও এডিটের মাধ্যমে যেভাবে আয় করাবেন।
ক্লায়েন্ট খুজার আগে আপনাকে একটি আইডি বা কার্ড বানিয়ে নিতে হবে। এর মাধ্যমে ক্লায়েন্টকে প্রতিদ্বন্দীদের থেকে এগিয়ে রাখতে পারেন।
এখানে আপনি ভিডিও এডিটিং বিষয়ে বিভিন্ন পক্রিয়া ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত করতে পারেন। এছাড়া আপনি নিজে ও একটা আইডিতে পেজ বানিয়ে সেখানে পোস্ট করতে পারেন। যেখানে আপনার কজের স্যাম্পেল পোস্ট করতে পারেন,যা ক্লায়েন্ট এর আস্থা অর্জন করতে অনেক কার্যকারী। এভাবে আপনি সোস্যাল মিডিয়া থেকে সহজে ক্লায়েন্ট পেযে তাদের ভিডিও এডিটে কাজ করে আয় করতে পারবেন। আস্তে আস্তে আপনি আপনার কাজের মাধ্যমে নিজের ইনকাম কে আরো প্রসারিত করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং এর কাজ যদি আপনি অনেক ভালো করে জেনে থাকেন তাহলে আপনি বসে না থেকে আপনার ক্যারিয়ার গঠনে পথে এগিয়ে যেতে পারেন।
আমি আশাকরি, আমরা এ আর্টিকেলটি আপনাকে কিছুটা হলেও ধারনা প্রদান করবে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে। এতখন সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।