২০২৩ সালে ফ্রীল্যান্সিং ক্যারিয়ার স্টার্ট করার জন্য কেমন হবে? কীভাবে ফ্রীলান্সিং শিখবেন? কি শিখবেন? এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে পড়তে থাকুন।
ফ্রীল্যান্সিং একটি ইংরেজি শব্দ যার অর্থ মুক্ত পেশা। অফলাইন বা অনলাইনে কোনো কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি ভিত্তিক কাজ করে টাকা উপার্জন করাকে ফ্রীল্যান্সিং বলে।
ফ্রীল্যান্সিং এ কোনো নির্দিষ্ট সময় বা নির্দিষ্ট কোনো বেতন নেই। যেকোনো সময় এই কাজ করা যায় আর টাকা ও নির্ধারণ হয় কাজের উপরে। বর্তমান সময়ে আপনি ফ্রীল্যান্সিং করে ঘরে বসেই স্বাধীনভাবে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। এটি একটি স্বাধীন পেশা হওয়ায় অনেকে এ পেশার সাথে নিজেকে সম্পৃক্ত করছে।
ফ্রীল্যান্সিং শেখার আগে আপনার জানা উচিত ফ্রীল্যান্সিং এ আপনি মূলত কী কী কাজ করা যায় এবং এই কাজ কোথায় পাবেন এবং ফ্রীল্যান্সিং করে আপনি মাসে কত টাকা ইনকাম করতে পারবেন। চলুন আগে সেগুলো জানার চেষ্টা করি।
What is Freelancing? ফ্রিল্যান্সিং হল একটি চুক্তিভিত্তিক পেশা যেখানে কোনো প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ পাওয়ার পরিবর্তে, ব্যক্তি তার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করে বেশ কিছু ক্লায়েন্টকে সেবা প্রদান করেন।
ফ্রিলান্সিং কোনো স্কিল না, এটা কাজ করার একটি উপায়। চাকরি ও ফ্রীল্যান্সিং দুটোতেই স্কিল, মেধা, সময়ের বিনিময়ে টাকা আয় করতে পারেন। পার্থক্য হলো, ফ্রীল্যান্সিং কাজগুলো চুক্তিভিত্তিক হয়।
বাংলা কোর্স
সহজ কথায়, যখন আপনি একাধিক ক্লায়েন্টের সাথে কাজ করার জন্য আপনার দক্ষতা, শিক্ষা এবং অভিজ্ঞতা ব্যবহার করেন এবং একক নিয়োগকর্তার কাছে প্রতিশ্রুতি না দিয়ে বিভিন্ন অ্যাসাইনমেন্ট গ্রহণ করাকে ফ্রিলান্সিং বলে।
একজন ফ্রিল্যান্সার হলেন একজন ব্যক্তি যিনি প্রতি-কাজ বা প্রতি-টাস্ক ভিত্তিতে অর্থ উপার্জন করেন, স্বাধীন ও স্বল্পমেয়াদী কাজের জন্য। ফ্রিল্যান্সারদের পার্ট টাইম বা স্বল্পমেয়াদী ভিত্তিতে নিয়োগ করা হয়।
উদাহরণস্বরূপ, যদি আমি নতুন কন্টেন্ট লেখার জন্য একজন রাইটার নিয়োগ করি। আমি সেই লেখার জন্য একজন ফ্রিল্যান্সারকে নিয়োগ দেই, তাহলে আমি তাকে শুধু ওই লেখার জন্য অর্থ প্রদান করতে পারি।
ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাধারণত ঘরে বসে কাজ করার সুবিধা দেয়। তবে, কাজের ধরন এবং ক্লায়েন্টের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে আপনাকে আপনার ক্লায়েন্টের অফিসেও কাজ করতে হতে পারে। বাড়ির কাজের একটি কাজ এবং একজন একক নিয়োগকর্তার মধ্যে একটি চুক্তি জড়িত যে আপনাকে বেতন দেয় তখন সেটা ফ্রিল্যান্সিং না।
এবার চলুন জেনে নিই ফ্রীল্যান্সিং কীভাবে শিখবেন -
গত কয়েক বছর ধরে ফ্রীল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় পেশা হয়ে উঠেছে। সবাই এতে আগ্রহী হচ্ছে। বাংলাদেশে অনেক তরুণ ফ্রীল্যান্সার আছেন যারা ঘরে বসেই হাজার হাজার টাকা ইনকাম করছে।
তরুণ থেকে বৃদ্ধ সবাই এই পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে।আপনি মোটামুটি ইংরেজি এবং কম্পিউটার চালানো শিখলেই ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন।এজন্য আপনার প্রবল ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে।
ফ্রীল্যান্সিং এ সফল হতে হলে আপনাকে প্রচুর পরিম্রম করে এগিয়ে যেতে হবে। এখন আসি ফ্রীল্যান্সিং শিখতে কী কী দরকার।
আপনি ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার আগে, আপনাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উত্তর জানতে হবে:
এই প্রশ্নের উত্তর আপনার পরবর্তী পদক্ষেপগুলি নির্ধারণ করবে, এই বিবেচনায় যে আপনি হয় আপনার ফুল-টাইম এবং ফ্রিল্যান্স কাজের ভারসাম্য বজায় রাখার লক্ষ্য রাখবেন। অথবা একটি ফুল-টাইম ফ্রিল্যান্স ক্যারিয়ার অনুসরণ করার জন্য বর্তমান চাকরি থেকে বেরিয়ে আসার লক্ষ্য রাখবেন।
যদি এই প্রশ্নের উত্তর হয় দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য। তাহলে, আপনাকে কয়েকটি স্বল্পমেয়াদী লক্ষ্য সেট করতে হবে এবং প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে যেমন:
আপনি যে কাজ করবেন সেটি অবশ্যই আপনার পছন্দের হতে হবে। ফ্রীল্যান্সিং অনেক ধরনের কাজ আছে।যেমনঃ গ্রাফিক্স ডিজাইন, ডিজিটাল মার্কেটিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট ইত্যাদি। এর ভিতরে যে কাজটি আপনার ভালো লাগে বা আপনার পছন্দের সেটি আগে বাছাই করুন।
মনে করুন আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইন করতে ভালো লাগে কীন্তু আপনি যদি ডিজিটাল মার্কেটিং এর কাজ করতে যান তাহলে সেটি হবে আপনার ভুল সিদ্ধান্ত। এক্ষেত্রে আপনাকে গ্রাফিক্স ডিজাইন দিয়ে ফ্রীল্যাসিং এর যাত্রা শুরু করা উচিত।
আপনি যখন ফ্রীল্যান্সিং এর প্রতি আগ্রহী হবেন তখন আপনার উচিত হবে বিভিন্ন ফ্রীল্যান্সিং এর ওয়েবসাইট ঘুরে ঘুরে বিশ্লেষন করা।
ফ্রীল্যান্সিং এর ওয়েবসাইট বলতে যে ওয়েবসাইটগুলোতে ফ্রীল্যান্সাররা কাজ করে তাকে বোঝায়।যেমনঃ ফাইবার, আপওয়ার্ক, গুরু.কম । এসব ওয়েবসাইটে ঘুরে ঘুরে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে আপনি কোন কাজ শিখবেন।এখানে গেলে আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন কোন কাজের চাহিদা কম আর কোন কাজের চাহিদা বেশি।
এরপর, আপনার দক্ষতার একটি তালিকা করুন, যা ব্যবহার করে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন। কোন স্কিল না থাকলে আপনাকে স্কিল ডেভেলপ করতে হবে।
যখন আপনার কোন অফিসিয়াল অভিজ্ঞতা নেই, বা কাজ করার জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতারও অভাব রয়েছে, তখন একমাত্র কার্যকর সমাধান হল শেখা, এবং অনুশীলন করা।
যেকোনো কাজ করতে হলে আপনাকে অনেক ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরে কাজ করতে হলেও আপনাকে প্রচুর ধৈর্য ধারণ করতে হবে।সেই সাথে আপনার প্রচন্ড ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে।
আপনি যে সেক্টরে কাজ করতে চান সেই সেই কাজ সম্পর্কে আপনার আগ্রহ থাকতে হবে।সেই সাথে আপনাকে ওই কাজের জন্য দৈনিক ৪-৫ ঘন্টা সময় দিতে হবে।
নতুনদের প্রথম কাজ পাওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জের। কখন কখন প্রথম কাজ পেতে এক বছরের মতো সময় লেগে যায়। ধৈর্য্য হারালে চলবে না। সাকসেস পেতে প্রচুর ধৈর্য্য ও ইচ্ছাশক্তি থাকতে হবে।
যেহেতু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরটি বেশ বৈচিত্র্যময়, এখানে কাজের ধরন এবং দক্ষতার প্রয়োজনীয়তা প্রতিনিয়ত পরিবর্তিত হয়। ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী অনেক নতুনরা একেবারে কোন দক্ষতা ছাড়াই মার্কেটপ্লেসে যোগ দেয়। যার কারণে অনেকেই কাজ না পেয়ে হতাশ হয়ে পড়েন।
ফ্রীল্যান্সিং এ আপনি যে কাজ করতে চান সেটি আপনাকে নিয়মিত প্রাকটিস করতে হবে। প্রাকটিস না করলে আপনি মার্কেটপ্লেসে গিয়ে ঠিকমতো কাজ পারবেন না এমন নয়, কিন্তু আপনি অন্যদের থেকে পিছিয়ে যাবেন।
আবার, অনেক ফ্রিল্যান্সাররা তাদের দক্ষতা উন্নয়নে তেমন গুরুত্ব দেয় না , ফলে তারা পিছিয়ে পড়ে। তাছাড়া দক্ষতার অভাবে এসব ফ্রিল্যান্সারদের আয় ক্রমশ কমতে থাকে। তবে আজকাল অনেকেই যারা ফ্রিল্যান্সিংয়ে যুক্ত হতে চান এবং এই সেক্টরে কাজ শুরু করতে চান, তারা সঠিক দক্ষতা উন্নয়নে আগ্রহী হয়ে উঠছেন। অনেকেই উপলব্ধি করতে পেরেছেন যে সঠিক দক্ষতা ছাড়া এ ক্ষেত্রে সাফল্য অর্জন করা সম্ভব নয়।
পেশাগত বিকাশ যে কোনো ক্যারিয়ারের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শেখার শেষ নেই। আপনি যে বিষয়ে কাজ করতে চাচ্ছেন বা করছেন সেই বিষয়ে নতুন টেকনোলজি আয়ত্ত করুন।
আর আপনাকে বেশি বেশি প্রাকটিস করতে হবে।
আপনাকে ক্লাসিক্যাল সিভি প্রস্তুত করতে হবে না, কারণ বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সিং ওয়েবসাইটগুলির একটি পূর্বনির্ধারিত টেমপ্লেট রয়েছে যা আপনাকে আপনার তথ্য পূরণ করতে হবে।
একটি প্রোফাইল তৈরি করতে সময় নিন যা সম্ভাব্য ক্লায়েন্টদের আপনার শিক্ষা, দক্ষতা, দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা সম্পর্কে অবহিত করবে। আপনাকে উপন্যাস লিখতে হবে না - এটি ছোট এবং সুন্দর রাখুন। আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, বিশেষ অর্জনের তালিকা করুন এবং ব্যাখ্যা করুন কেন আপনি কাজের জন্য সেরা ব্যক্তি।
আপনার প্রোফাইলে বলা হতে পারে যে "আপনি একজন মহাকাশচারী", কিন্তু আপনি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন থেকে আপনার সেলফি আপলোড না করলে, সম্ভাব্য ক্লায়েন্টরা আপনাকে বিশ্বাস করবে না। সুতরাং, আপনি যখন একটি প্রোফাইল তৈরি করেন, তখন আপনার দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতার চিত্র তুলে ধরে এমন একটি পোর্টফোলিও প্রদান করতে ভুলবেন না।
আপনি যদি আপনার নির্বাচিত ক্ষেত্রে একজন শিক্ষানবিস হন, তাহলে নমুনা কাজ সহ একটি পোর্টফোলিও তৈরি করতে সময় নিন, অথবা অভিজ্ঞতার বিনিময়ে ছাড়ের হারে বেশ কয়েকটি চাকরি গ্রহণ করুন।
আপনি যদি প্রজেক্ট এবং ক্লায়েন্টদের সন্ধান করেন, তাহলে আপনাকে সাহায্য করার জন্য এখানে কয়েকটি টিপস রয়েছে৷
প্রথমত, শুধুমাত্র সেই কাজের জন্য আবেদন করুন যেগুলি আপনি করতে পারবেন বলে আত্মবিশ্বাসী। আপনি সন্তোষজনক ফলাফলের সাথে সময়মতো সম্পূর্ণ করতে পারবেন না এমন কাজের জন্য আবেদন করার কোন মানে নেই।
আপনি যখন কাজের জন্য আবেদন করেন, নিশ্চিত করুন যে আপনি একটি প্রাসঙ্গিক কভার লেটার তৈরি করেছেন যা ব্যাখ্যা করে যে কেন আপনি সেই নির্দিষ্ট চাকরি বা প্রকল্পের জন্য সেরা। প্রয়োজনীয়তার সাথে প্রাসঙ্গিক দক্ষতা এবং অভিজ্ঞতা হাইলাইট করুন।
সময়ের সাথে সাথে, ফ্রিল্যান্সিং প্ল্যাটফর্মগুলি শীর্ষ-রেটেড ফ্রিল্যান্সারদের ব্যাজ, কম ফি এবং বিশেষভাবে উপযোগী কাজের অফারগুলিতে অ্যাক্সেস দিয়ে পুরস্কৃত করে, তাই ক্লায়েন্টদের খুশি রাখা উচিত।
যারা ফ্রীল্যান্সিং করে অর্থ উপার্জন করে তাদের ফ্রীল্যান্সার বলে। একজন ফ্রিল্যান্সার সৃজনশীল, দক্ষ, বা সার্ভিস খাতে যেমন ফিল্ম, শিল্প, নকশা, সম্পাদনা, কপিরাইটিং, প্রুফরিডিং, মিডিয়া, বিপণন, সঙ্গীত, অভিনয়, সাংবাদিকতা, ভিডিও সম্পাদনা এবং উত্পাদন, চিত্রণ, পর্যটন, পরামর্শ, ওয়েবসাইট ডেভেলপমেন্ট, কম্পিউটার প্রোগ্রামিং, ইভেন্ট প্ল্যানিং, ফটোগ্রাফি, ভাষা অনুবাদ, টিউটরিং, ক্যাটারিং এবং আরও অনেক কিছু।
এছাড়াও আরো অনেক কাজ করা যায়, যেমন, আইডিয়া শেয়ারিং, ভাষা শিক্ষা দেওয়া, ভিডিও শেয়ারিং, ইত্যাদি।
বাংলাদেশের বেশিরভাগ তরুণ এবং ফ্রিল্যান্সিংয়ে আগ্রহী। তারা প্রায়শই দক্ষতা উন্নয়নের ক্ষেত্রে লড়াই করে।বাংলাদেশের পাঠ্যক্রমে দক্ষতা উন্নয়ন সম্পর্কিত কোনো বিষয় নেই। যার কারণে, তাদের বেশিরভাগই নতুন দক্ষতা শেখার জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এবং অনলাইন কোর্স প্রদানকারীর সাহায্য নিতে হয়।
গত দশকের প্রথম দিকে সরকারের ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের কারণে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তোলার জন্য অগণিত দক্ষতা উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে। এই ইনস্টিটিউটগুলির বেশিরভাগই ঢাকাকেন্দ্রিক হওয়ায় যারা দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে নতুন দক্ষতা শিখতে আগ্রহী তাদের ঢাকায় আসতে হয় এবং কোর্সে ভর্তির জন্য প্রচুর অর্থ ব্যয় করতে হয়।
প্রতিটা ক্ষেত্রে প্রতারক চক্র আছে।তেমনি ফ্রীল্যান্সিং সেক্টরেও প্রতারক চক্র বিদ্যমান।তারা আপনাকে ফ্রীল্যান্সিং শিখানোর নাম করে টাকা হাতিয়ে নিতে পারে । তাই এই বিষয়ে সাবধান থাকবেন। তাই চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ফ্রীল্যান্সিং শিখবেন।
আপনি খুব সহজেই ইউটিউব থেকে ফ্রীতে ফ্রীল্যান্সিং শিখতে পারবেন।বাংলাদেশের অনেক ফ্রীল্যান্সার তাদের ফ্রীল্যান্সিং কোর্স তাদের ইউটিউব চ্যানেলে আপলোড করে থাকে।এগুলো দেখে আপনি খুব সহজে ফ্রীল্যান্সিং শিখতে পারবেন।
অনলাইনে অনেক ফ্রী কের্সের ওয়েবসাইট আছে।আপনি সেখান থেকে কোর্স করতে পারবেন।গুগলে সার্চ করে আপনাকে সেগুলো খুঁজে বের করতে হবে।
অনেকে আছে যারা হাতে কলমে শেখা লাগে তাদের জন্য উত্তম হলো আপনার আশেপাশের একটা প্রতিষ্ঠানে কোর্স করে নেওয়া যেখানে ফ্রীল্যান্সিং শেখানো হয়।কোর্স করার আগে সেই প্রতিষ্ঠানের সুনাম সম্পর্কে যাচাই করে নিতে হবে।
অফলাইন কোর্স করতে অনেকের অনেক অসুবিধা হতে পারে।যেমন যাতায়াতের সমস্যা আবার আপনি যদি মেয়ে হন তাহলে তো অফলাইনে কোর্স করতে অনেক ঝামেলা পোহাতে হয়।সেক্ষেত্রে আপনি অনলাইনের পেইড কোর্সগুলো করতে পারেন।বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান অনলাইনে পেইড কোর্স করিয়ে থাকে।
এছাড়াও অনলাইনে আরো অনেক প্রতিষ্ঠান আছে যারা পেইড কোর্স করিয়ে থাকে। আশাকরি আপনি ফ্রীল্যান্সিং কোথায় শিখবো এই উত্তরটি পেয়ে গেছেন।
ফ্রীল্যান্সিং এর কাজ পাওয়ার জন্য আপনাকে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে আ্যকাউন্ট খুলতে হবে।কীভাবে মার্কেটপ্লেসে আ্যকাউন্ট খুলবেন সেই সম্পর্কে ইউটিউবে অনেক ভিডিও পাবেন।এছাড়াও আপনি যেখানে কোর্স করবেন সেখান থেকে আপনাকে শিখিয়ে দেবে।
এবার চলুন কয়েকটি মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে জেনে নিই।
কয়েকটি জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস
এছাড়াও আপনি অনলাইনে আরো অনেক মার্কেটপ্লেস পাবেন।
ফ্রীল্যান্সিং এ কত টাকা ইনকাম করা যায়
ফ্রীল্যান্সিং এ নির্দিষ্ট কোনো ইনকাম নেই। আপনি কোনো মাসে ১ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন আবার কোনো মাসে ২০০০০ টাকা।আবার কোনো মাসে ২ থেকে ৩ লক্ষ টাকাও ইনকাম করতে পারবেন।এটি নির্ভর করে আপনার কাজ ও দক্ষতার ওপরে।
ফ্রীল্যান্সিং কোথায় এবং কীভাবে শিখবো এগুলো জানার পর সাধারণত আপনার মনে প্রশ্ন আসতে পারে ফ্রীল্যান্সিং এর কাজ করতে কী কী লাগে? চলুন এ বিষয়ে জেনে নেওয়া যাক।আগেই বলেছি ফ্রীল্যান্সিং এর কাজ আপনি ঘরে বসে করতে পারবেন।এক্ষেত্রে আপনার দরকার হবেঃ
আপাতত এই ৪ টি জিনিস থাকলেই আপনি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারবেন।এছাড়া আপনার ইচ্ছাশক্তি,ধৈর্য্য, বুদ্ধিমত্তা থাকতে হবে।সেই সাথে আপনাকে ানেক পরিশ্রম করতে হবে।তাহলেই আপনি ফ্রীল্যান্সিং এ সফল হতে পারবেন।
ফ্রীল্যাসিং করে কত টাকা আয় করা যায় নির্ভর করে, আপনি একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে কী করেন তার উপর। আপনি কী ওয়েবসাইট ডিজাইন করছেন বা কোড লিখছেন? আপনি প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছেন বা ডেটা এন্ট্রি করছেন?
ব্যক্তিগতভাবে, আমি কয়েকজন ফ্রিল্যান্সারকে চিনি যারা ওয়ার্ডপ্রেস ডেভস হিসাবে কাজ করে এবং তারা ছয় অঙ্কের টাকা উপার্জন করে। অবশ্য এই অবস্থানে পৌঁছতে তাদের অনেক বছর লেগেছে। আপনি যখন শুরু করছেন তখন শেষ পর্যন্ত সংগ্রাম করার আশা করছেন, তবে আপনি আপনার ক্লায়েন্টদের সাথে খ্যাতি অর্জন করার সাথে সাথে আপনি আরও ভাল গিগ পাবেন এবং আরও বেশি উপার্জন করবেন।
যেহেতু এটি অভিজ্ঞতা এবং আগ্রহের ক্ষেত্র উভয়ের উপর নির্ভর করে, সেখানে সমস্ত ফ্রিল্যান্সারদের জন্য উপার্জন একই নয়। যারা তাদের প্রাথমিক কাজগুলি পরিচালনায় নিজেকে দক্ষ হিসাবে দেখায় তারা একই সময়ে একাধিক ক্লায়েন্ট পরিচালনা করে।
তখনই যখন ফ্রিল্যান্সাররা তাদের অবসর সময়কে কাজে রুপান্তর করতে পারেন তাহলে আপনি সর্বাধিক আয় করতে পারবেন।
দিনদিন ফ্রীল্যান্সিং পেশা এগিয়ে যাচ্ছে।আগামীতে ফ্রীল্যান্সিং পেশা অনেক প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে এই কথা বলাই যায়।তাই ঘরে বসে না থেকে নিজের দক্ষতাকে বাড়ান।আর ফ্রীল্যান্সিং পেশায় নিজেকে নিয়োজিত করুন। ফ্রীল্যান্সিং কী এবং কীভাবে শিখবেন এই বিষয়ে আপনি পুরোপুরি ধারণা পেয়ে গেছেন আশাকরি।
এখন আপনি কোন কাজটা শিখবেন সেইটা নির্ভর করে সম্পূর্ণ আপনার ওপরে। আর্টিকেলটি পড়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।আমি আশা করি ফ্রীল্যান্সিং কী , কীভাবে শিখবেন কেথায় শিখবেন এই বিষয়ে আপনাকে পুরোপুরি ধারণা দিতে পেরেছি।আপনার সুস্বাস্থ্য ও মঙ্গল কামনা করে শেষ করছি।