ফ্রীল্যান্সিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কোনো ব্যাক্তি বা কোনো কোম্পনি তাদের কোনো নিদির্ষ্ট কাজ করানোর উদ্দেশ্যে অন্য কোনো ব্যাক্তি বা কোম্পানির সাথে চুক্তি করে।এতে যে ব্যাক্তি বা কোম্পানি কাজ করে তারা কাজের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে থাকে।
মানুষ ক্যারিয়ার গড়ার জন্য চাকরি বা ব্যাবসা করে কিন্তু বর্তমানে চাকরি বা ব্যাবসা করা ছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং এ ও ক্যারিয়ার গড়তে পারে। কোনো ব্যাক্তি ফ্রিল্যান্সিং এর কাজ ঘরে বসে করে থাকে এবং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম করে থাকে।
অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মার্কেটপ্লেসে এই কাজের চাহিদা পচুর। এ কাজ করার আগে কাজের চুক্তি করা হয় যে এই কাজ টি কতো টাকার বিনিময়ে করা হবে। অনলাইন এবং অফলাইন উভয় মার্কেটপ্লেসে এসব কাজ পাওয়া যায়।
ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে অনেক ধরনের কাজ রয়েছে। এসব ক্যাটাগরির কাজ থেকে বায়ার তার নির্দিষ্ট কাজটি ফ্রিল্যান্সারদের থেকে করিয়ে নেয়। এসব ক্যাটাগরির কাজের মধ্যে বেশির ভাগ কাজ কাজ ইসলামের দৃষ্টি ভঙ্গি থেকে হালাল।
আপনি যে কাজ করছেন সেটি যদি হালাল হয়, যেমন - ওয়েবসাইট ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, এসইও ইত্যাদি, করে যদি ইসলামে বৈধ কোন কাজ করেন সেটা থেকে টাকা আয় হালাল। কিন্তু যদি আপনি অশ্লীল, মদ, জুয়া ইত্যাদির জন্য ওয়েবসাইট , বা সফটঅয়্যার বা সাইটের এসইও করেন সেটা হারাম।
নিজের শ্রম দিয়ে টাকা ইনকামের করাকে ইসলাম সমার্থন করে। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের নীতি এবং শর্ত অনেক স্মার্ট কারণ এ কাজে সেলার এবং বায়ার কেউই কাউকে ঠকাতে পারবে না।
ইসলাম ব্যাবসার এমন কোনে নিয়মকে নিষেধ করে নেই যে ব্যবসায় ক্রেতা এবং বিক্রেতার মাঝে কোনো বিষয় নিয়ে দ্বন্ধ বা লোকসান হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে সেই সম্ভাবনা থাকে না। ইসলামি আইন অনুযায়ী ফ্রীল্যান্সিং বৈধ হওয়ার কোনে বাধা নেই।
ইসলামি আইনের একটি মৌখিক বিষয় হলো কোনো পণ্য বা সেবার বা কাজের মূল্য সুনির্দিষ্ট থাকা। ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসের কাজ গুলোর শুরুতে কোনো কাজের পারিশ্রমিক নির্দিষ্ট করা থাকে। তাই এ দিক থেকে ও কাজ টি অবৈধ বলার সুযোগ নেই।এই ধরনের কাজে বায়ার এবং সেলারের ব্যাংক একাউন্ট থাকে।
সেলার কোনো কাজ শেষ করার পর তার একাউন্টে টাকা পাঠায় বায়ার আর এই টাকা লোকাল ব্যাংকে ট্রান্সফার করার ও কোনো জটিলতা নেই।
ফ্রিল্যান্সিং কাজ অনলাইনে হয়ে থাকে তবে মূল কথা হলো যে কাজ ই করেন না কেনো কাজটি হালালে উপায়ে করে টাকা ইনকাম করলে সেই টাকা ও হালাল হবে।এমন কোনো কাজ করে টাকা ইনকাম করা যাবে যে কাজ ব্যাক্তি, সমাজ, দেশের জন্য ক্ষতিকর এবং যে কাজ ইসলামের দৃষ্টিতে হারাম। সুতরাং বলা যায় ফ্রিল্যান্সিং হালাল কাজ।
যে কাজ গুলো করতে ইসলামে বাধা নেই সেটা হালাল। ঘণ্টা চুক্তিতে বা প্রজেক্ট বেসিস কোন কাজে ইসলামে বাধা নেই। যতক্ষণ প্রজন্ত আপনি হালাল জিনিস নিয়ে কাজ করেন।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন
‘‘অবশ্যই হালাল স্পষ্ট এবং হারামও স্পষ্ট। আর এ দুটির মাঝখানে রয়েছে কিছু সন্দেহপূর্ণ বস্তু; যা অনেক লোকেই জানে না। অতএব যে ব্যক্তি এই সন্দেহপূর্ণ বিষয় সমূহ হতে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও মর্যাদা রক্ষা করবে এবং যে সন্দেহপূর্ণ বিষয়ে পতিত হবে সে হারামে পতিত হবে।”
(সহীহুল বুখারী ৫২, ২০৫১, মুসলিম ১৫৯৯)
আপনি যে কাজ করছেন তার উপর নির্ভর করে অর্থ উপার্জন করা কখনো হালাল আবার কখনো হারাম। প্রোগ্রামিং , সফটওয়্যার ডেভেলপ করা ইত্যাদি হালাল কাজ গুলোর মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয়।
উপরে উল্লেখিত বর্ণনায় ফ্রীল্যান্সিং হালাল না হারাম সে সম্পর্কে বর্ণনা করা হয়েছে। আশাকরি বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন।
যদি এই বিষয়ে আপনার কোন প্রশ্ন থাকে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন,