Bangla courses
August 16, 2022

১ লাখ টাকায় ব্যবসা: বর্তমানে ১০টি সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা

কিছু ব্যবসা শুরু করতে খুব বেশি অর্থের প্রয়োজন নেই। আজ আমারা জানবো ১ লাখ টাকায় কী কী ব্যবসা করা যেতে পারে ? আর থাকছে ১০টি business idea যা আপনি এক লাক্ষ টাকা বা তার কমেও শুরু করতে পারবেন।

“ব্যবসা হলো সেই কার্যকলাপ যার মাধ্যমে একজন বা একাধিক ব্যাক্তি জীবিকা নির্বাহের খুঁজে নপেতে পারে এবং দেশের অর্থনীতির সচল রাখতে সহয়তা করে।”
আপনি যদি ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকেন তাহলে এই আটিকেলটা আপনার সহায়ক হবে বলে আমি মোনে করি।

২০২২ সালে আমারা ডিজিটাল বাংলাদেশে বসবাস করি, তাই অনলাইন ভিত্তিক ব্যবসা শুরু করা বেশ সহজ ও অনেক কম পুজিতে শুরু করা সম্ভব। আসলে ইন্টারনেট আবিস্কারের পর থেকেই ইকমার্স ব্যবসার প্রসার হচ্ছে।

1 লক্ষ টাকার ব্যবসায় আপনি যখন ব্যবসায় ইন্ভেস্ট করবেন তখন আপনাকে জানতে হবে কোন কোন খাতে টাকা দিলে আপনি লাভবান হতে পারবেন। এই আরটিকেল আপনাকে সেই সিন্ধান্ত নিতে সাহাজ্য করবে।

ব্যবসা করতে কী কী দরকার হয় আর কভিাবে সফরতার শিকরে পৈছাতে পারবেন তার সটিক ধারনা পেয়ে জাবেন।

১ লাখ টাকায় কী কী ব্যবসা করা যেতে পারে?

একটি ব্যবসা সফলভাবে চালানোর জন্য, আপনার অত্যন্ত দৃঢ় সংকল্প এবং আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন এবং আপনি একটি উদ্যোক্তা অঙ্গনে অবতরণ করার আগে আপনাকে ব্যবসার পরিকল্পনা সম্পর্কে খুব স্পষ্ট হতে হবে। ব্যবসার ধারণা খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। কঠিন জিনিস শুরু হয়। আপনি যদি গুগলে সার্চ করেন তবে আপনি প্রচুর ব্যবসায়িক আইডিয়া পাবেন কীন্তু আইডিয়া বাস্তবায়ন না করে আপনি হাজার হাজার ব্যবসায়িক আইডিয়া থেকে একটি পয়সাও উপার্জন করতে পারবেন না।

আপনার ডিসিশন সহজ করার জন্য, এখানে কিছু ব্যবসায়িক ধারণা রয়েছে যা ১00% সাফল্যের হার আছে ও 1 লাখের কম বিনিয়োগে শুরু করা যেতে পারে।

  • হাতে তৈরি মোমবাতি
  • আচার
  • ধূপকাঠি (আগরবাতি)
  • বোতাম এবং ডিজাইনার লেস এবং জুতার ফিতা
  • আইসক্রিম
  • হাতে তৈরি চকলেট
  • নুডলস
  • নিষ্পত্তিযোগ্য প্লেট এবং কাপ
  • পাটের ব্যাগ
  • জৈব সাবান
  • নারকেল চুলের তেল
  • স্মার্টফোনের জন্য টেম্পারড গ্লাস
  • ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সার্ভিস
  • হোম টিউটরিং
  • বেকারি
  • অনলাইন বিজ্ঞাপন
  • কাগজের ব্যাগ, কাপড়ের ব্যাগ বা পাটের ব্যাগ তৈরি
  • চকোলেট মেকীং
  • ম্যারেজ ব্যুরো
  • কেতাদোরস্ত প্রসাধনের ত্ত অঙ্গসজ্জার দোকান
  • ব্লগিং
  • পরামর্শ ব্যবসা
  • ওয়েব রক্ষণাবেক্ষণ সার্ভিস
  • YouTuber (ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার উপায় )
  • ফ্রিল্যান্সিং
  • কসমেটিক উৎপাদন
  • জিম ব্যবসা
  • জীবন প্রশিক্ষণ
  • লন্ড্রি সার্ভিস
  • টেলারিং ব্যবসা
  • বেবি সিটিং

একটি স্টার্ট আপ বা উদ্যোগ শুরু করার আগে, এর মাপযোগ্যতা সম্পর্কে চিন্তা করুন। স্কেলেবিলিটি মানে আপনি কী এই ব্যবসাকে প্রসারিত করতে পারবেন বা সময়ের সাথে সাথে এই ব্যবসাকে স্কেল করতে পারবেন। যদি একটি ধারণা পরিমাপযোগ্য না হয় তবে এটি বড় ব্যবসায় রূপান্তরিত হবে না। সুতরাং আপনি এর মাপযোগ্যতা সম্পর্কে চিন্তা করা উচিত।

সেরা দশটি ১ লাখ টাকায় ব্যবসা

১ লাখ টাকায় ব্যবসা ১০ লাভজনক ব্যবসা কোনটি আইডিয়া

ছোট ব্যবসা অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব ফেলে। ছোট ব্যবসা শুরু করতে চান? আপনি যদি অর্থোপার্জনের উপায় চান এবং কিছু অনুপ্রেরণার প্রয়োজন হয়, এই ছোট ব্যবসার তালিকাটিতে আপনার বিবেচনা করার জন্য ১০টি ধারণা রয়েছে।

১। ক্যাটারিং সার্ভিস

ক্যাটারিং সার্ভিস

ক্যাটারিং সার্ভিস (Catering service) হলোে একটা জনসেবা মূলক কাজ। ক্যাটারিং হল অফিস, আদালত, দোকানে বা ইভেন্ট ভেন্যুতে খাবার সার্ভিস প্রদানের ব্যবসা।

সাধরনত অনুষ্টান পরিচালোনার জন্য এই সেবা গ্রহন করে থাকী। যেমন বিয়ে,জন্মদিনসহ অনেক সামাজিক অনুষ্ঠান পরিচালোনা করতে এই সেবার প্রয়োজন হযে থাকে।খুব কম খরচে অল্প টাকা মধ্যে আপনি এই সেবা মূলক ব্যবসা করে লভবান হতে পারেন।

এছাড়া, ঢাকার মতো স্থানে যেখানে অনেক ব্যাচেলর থাকে সেখানে ক্যাটারিং সার্ভিস খুব প্রচলিত। কারণ, গ্রাহকের না আছে বাজার, বা রান্নার ঝেমেলা।

ক্যাটারিং সার্ভিসখরচের বিস্তারিত
পুজি (৮০- ১২০ জন মানুষের সংস্থান)– হাড়ি পাতিল, খাবার ডেলিভারি দেবার বক্স, বাবদ ৫০০০-১০,০০০ টাকা
– খাবারের কাচামাল ক্রয় – ৩০,০০০-৫০,০০০ টাকা
– মার্কেটিং ও অন্য খরচ – ২০,০০০-২৫,০০০ টাকা
মোটঃ ৫৫,০০০ – ৮৫,০০০ টাকা

২। খাবারের গাড়ি বা ট্রাক (Food Truck)

খাবারের গাড়ি বা ট্রাক

আপনি যদি একটি অর্থ উপার্জনের ব্যবসার ধারণা খুঁজছেন, একটি খাবারের গাড়ি একটি দুর্দান্ত আইডিয়া। দিন যতো বদলাচ্ছে মনুষ ও বদলচ্ছে তার জীবন পরিচালোনার পদ্ধতি।চলাফেরার পথে, কাজের ফাঁকে মানুষ নিজেকে চাঙ্গা করতে খাবার গ্রহন করে থাকে।এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে যেখানে অনেক লোকের সমাগোম হয় ঐখানে অস্থায়ি ভাবে আপনি খুব সহজে 1 লক্ষ টাকার কম খরচে এই ব্যবসা করে লাভবান হোতে পারবেন। 

একটি কম খরচে, ব্যবহৃত কার্ট বা ট্রেলার দিয়ে শুরু করুন। এরপর, একটি সুন্দর মেনু বানান ও কাচা বাজার, শপিং মলের পাশে, মেলা, বুথ বা পপ-আপে বিক্রি শুরু করুন। তবে, একটি ফুড ট্রাক চালানোর সময় অনেক জিনিস জড়িত থাকে, পারকীং, অনুমতি, ইভেন্টে যোগ দেবার আর্থ , যান্ত্রিক মেরামত এবং কঠোর পরিশ্রমের।

  • খাবার গাড়ির তৈরি বাবদ ৪০.০০০ – ৭০,০০০ টাকা
  • ও সল্প কিছু টাকা খাবার তৈরির কাচামাল কীনতে।

৩। চা-শিঙ্গাড়ার দোকান

চা-শিঙ্গাড়ার দোকান আমাদের সবার কাছে অনেক বেশী পরিচিত।কাজের ফাঁকে চা-শিঙ্গাড়ার দোকান খায় না এমন লোক খুজে বের করা অনেক কঠিন ব্যাপার।এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে 50 হাজার টাকার মধ্যে খুব সহজে ব্যবসা করে আপনি লাবভান হতে পারবেন।

  • দোকান নেওয়াঃ ১০,০০০ – ২০,০০০ টাকা
  • ডেকোরেশন ও রান্নার হাড়ি পাতিল ২০০০০ – ৫০,০০০
  • বাবুর্চি ও হেল্পার – দিনে ৩০০-১০০০ টাকা

৪। ফলের জুসের স্টল

ফলের জুসের স্টল

দুই ধরনের জুসের দোকান আছে, প্রথমটি হল মোবাইল, যেটি আপনি যেকোনো জায়গায় নিতে পারবেন এবং দ্বিতীয়টি অচল। এই ধরনের প্রতিটিরই ভালো-মন্দ উভয়ই আছে, এবং আপনার ব্যবসার জন্য ভালো হতে পারে বলে মনে করেন এমন একটি নির্বাচন করা সম্পূর্ণরূপে আপনার উপর।

এই গরমে নিজেকে সতেজ ও সবল করতে ফলের জুস পেলে আর কোনো কথা নেই। বজারের যেসব প্রচলিত ফলমুল পাওযা যায় তা সরবারাহ করে আপনি ছোট খাটো ভাবে খুব অল্প টাকা 1 লক্ষ টাকার মধ্যে এই স্টলের মাধ্যমে আপনি লাভবান হতে পারবেন। 

একটি জুসের দোকানের সাফল্য তার অবস্থানের উপর অনেক নির্ভর করে। আপনি যদি এমন একটি স্থান নির্বাচন করেন যেখানে আপনি জুসের প্রতি আগ্রহী অনেক ক্রেতা/ গ্রাহক পান, তাহলে আপনার বিক্রয় স্বয়ংক্রিয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে। আর এটি করতে না পারলে আপনি লসে পরতে পারেন।

খরচের বিবরণ

  • এই সব দোকানের পজিশন ও ডেকোরেশনই প্রধান খরচ, যা ৪০,০০০ থেকে ৮০,০০০ টাকা লাগবে।
  • অন্য পন্য যেমন , ফ্রিজ, ব্লেন্ডার, উন্নত মানের গ্লাস, প্লেট, ট্রে – ৩০,০০০ – ৫০,০০০ টাকা ।

কী প্রয়োজন:

  • একটি ভাল অবস্থান
  • পরিবেশ বান্ধব এবং ভাল ডিজাইন করা কাপ
  • জুস তৈরির জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম

৫। ফাস্ট ফুড বিক্রির দোকান

ফাস্ট ফুড বিক্রির দোকান

ফাস্ট ফুডের দোকান বোলতে আমরা বুঝি মুখোরোচক পূর্ন খাবারকে,তার মধ্যে রয়েছে ফুচকা, চব,সামুচাসহ অনেক কিছু।আপনি বাজারে বা যেখানে লোকসমাগোম বেশি ঐখানে দোকান দিতে পারেন।অল্প পুজির মাধ্যমে আপনি খুব সহজে লভবান হতে পারবেন।   

ফাস্ট ফুড ব্যবসা এতই প্রতিযোগিতামূলক, এটি আপনার গবেষণা করা অত্যাবশ্যক। এমন কারও সাথে কথা বলে শুরু করুন যিনি আগে এটি করেছেন। কী কাজ করে, কী করে না এবং এই উপদেষ্টারা ভিন্নভাবে কী করবেন তা খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। আপনি যদি রেস্তোরাঁগুলি সম্পর্কে সচেতন হন যেগুলি ব্যর্থ হয়েছে, তবে কেন তা চিহ্নিত করার চেষ্টা করুন।

আপনি চকচকে মার্বেল কাউন্টার, একটি সুন্দর রান্নাঘর এবং একটি অবস্থানের স্বপ্ন দেখতে পারেন, তবে ছোট থেকে শুরু করা প্রায়শই ফাস্ট ফুড রেস্টুরেন্টের মালিকানার সর্বোত্তম প্রথম পদক্ষেপ হতে পারে। ছোট বার্গার, স্যান্ডউইচের দোকান ন্যূনতম পুজিতে শুরু করতে পারেন। অথবা, ফাস্ট-ফুড ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলি সাথে কথা বলেতে পারেন।

ফাস্টফুড বিজনেস এর খরচের বিবরণঃ

  • দোকানের পজিশন ও ডেকোরেশনঃ ৫০,০০০ টাকা থেকে ৮০,০০০ টাকা
  • সারভিং প্লেট ও রান্নার কাঁচামাল ও সামগ্রিঃ ২০.০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা

যা দরকারঃ সুস্বাদু খাবার ও ভালো পরিবেশ এবং লোকেশন।

৬। খাবার পানি সাপ্লাই এর ব্যবসা

খাবার পানি সাপ্লাই এর ব্যবসা যা এক লাখ টাকার মধ্যে অন্যতম সেরা আইডিয়া

আমাদের প্রত্যাহিক জীবনে চলতে পানির কোনো বিকল্প নেই।পানির অপর নাম জীবন। এটি একটি খুব লাভজনক ব্যবসা, তবে এটি শুরু করার আগে আপনাকে কিছু প্রশিক্ষণ নিতে হতে পারে। এটি 21 শতকের সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসাগুলির মধ্যে একটি।ছোট এবং মাঝারি আকারের water প্লান্টের জন্য গড় মুনাফার মার্জিন 25-30% এর মধ্যে।

আপনি যদি চান তাহলে 50 হাজার টাকার মধ্যে বা তার ও কমে সম্পুর্ন নিজ উদ্দগে নিজের এলাকা সহ আশেপাশের এলাকায় পানি সবারহের মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারেন।  

৭।সার্ভিসিং সেন্টার 

সার্বিসিং সেন্টার ও সেবামূলক কাজের মধ্যে পরে।ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস, মোবাইল ফোন  থেকে শুরু করে যবতীয় যা আছে তা মেরামোত করাকে বুঝায়। আপনি 1 লক্ষ টাকার মধ্যে এই সেন্টার টাকে দার করাতে পারেন।  

উদ্যোক্তারা একটি সার্ভিসিং সেন্টার ব্যবসা বিবেচনা করতে পারে যদি তাদের সঠিক স্কীল থাকে। যদি আপনার এমন একটি দক্ষতা থাকে যা ক্লায়েন্টদের প্রয়োজন, তবে এটি তার ভাল হবে। অনেক নতুন উদ্যোক্তা এই ব্যবসা শুরু করে কারণ ব্যবসার জন্য কম মূলধনের প্রয়োজন হয়।

৮। মুদির দোকান

মুদি দোকানের গড় নিট মুনাফা 2.2 শতাংশ৷ অর্থাৎ প্রতি টাকার বিক্রয়ের জন্য মুদি দোকানে লাভ হয় ২.২ পয়সা। যদি একটি জিনিস সবসময় মানুষের প্রয়োজন হয়, তা হল খাদ্য। এই কারণেই আমাদের প্রতিটি পাড়া মহল্লায় মুদির দোকান আছে।

বর্তমানে হাটবাজারের পরিস্থিতি সম্পর্কে আমরা সবাই কম বেশি ধারনা রাখি।মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অনেক কিছুর প্রয়োজন হয় যা আমরা বাজার থেকে কেনাকাটা করে থাকী। আপনি যদি মুদির দোকান তাহলে 1 লক্ষ টাকার মধ্যে ছোট খাটোর মধ্যে খুব ভালো মানের মুদির দোকান দিতে পারবেন।

আপনার নিজের মুদি দোকান খোলা যে কোনো ধরনের দোকান খোলার অনুরূপ। আপনার সঠিক কাগজপত্র, অবস্থান এবং জিনিসপত্রের প্রয়োজন হবে, কীন্তু সফল মুদি দোকানের মালিকরা মানুষের চাহিদা অনুযায়ী বিনিয়গ করেন।

মুদির দোকানস এর খরচের বিবরণঃ

  • দোকান ও ডেকোরেশনঃ ২০,০০০ টাকা থেকে ৫০,০০০ টাকা
  • পন্য কীনতেঃ ৫০,০০০ টাকা থেকে ৮০,০০০ টাকা

৯। বুটিকের দোকান বা জামা কাপড়ের ব্যবসা

বুটিকের দোকান বা জামা কাপড়ের ব্যবসা

বুটিকের দোকান বলতে আমরা বুঝি পোষাকের দোকনকে।বুটিক শিল্পে রয়েছে বাংলাদেশে উজ্জল ভবিষৎত।বড় বড় পোষাক ডিলারএর সাথে যোগাযোগ করে আপনি এই ব্যবসার উদ্দোগ গ্রহন করতে পারেন।খুব কম খরচে আপনি বুটিকশিল্পে লাভবান হতে পারবেন। 

একটি বুটিক shop খোলা অনেক মহিলার জন্য একটি স্বপ্ন , যারা তাদের নিজের পায়ে দাঁড়াতে চান এবং একটি ব্যবসার মালিক হওয়ার সাথে স্বাধীনতা এবং আনন্দ অনুভব করতে চান।

তবে প্রাথমিক পর্যায়ে আপনার উচিৎ হবে, প্রস্তুতকারক বা পরিবেশকদের কাছ থেকে পাইকারি মূল্যে পণ্য কেনা এবং গ্রাহকদের কাছে করে বিক্রি করা। তবে আপনি যদি বুটিকের কাজ করতে পারেন তবে আপনি পোশাক তৈরিতে মনোযোগ দিতে পারেন।

কিছু মৌলিক বাজার বিশ্লেষণ করা ভাল। উদাহরণস্বরূপ:

  • আপনার টার্গেট মার্কেটকে সংজ্ঞায়িত করুন – তারা কারা, তারা কীভাবে চিন্তা করে, তারা কী চায়, তারা কী অপছন্দ করে ইত্যাদি।
  • আপনার প্রধান প্রতিযোগীদের সনাক্ত করুন এবং তাদের শক্তি এবং দুর্বলতা মূল্যায়ন করুন।
  • আপনি যে বাজারের চাহিদা টার্গেট করছেন এবং আপনার বুটিক যে সমাধান দিচ্ছেন তা সংজ্ঞায়িত করুন।
  • আপনি কীভাবে আপনার বুটিককে প্রতিযোগীদের থেকে আলাদা করবেন তা স্পষ্ট করুন।

দক্ষতা:

  • ডিজাইন দক্ষতা
  • ফেসবুক পেজের সাথে সংযোগ করার ক্ষমতা।

বিনিয়োগ: 1 লক্ষ টাকা শুরু করার জন্য যথেষ্ট।

১০। ফার্মেসি ব্যবসা

ফার্মেসি ব্যবসা

পৃথিবিতে মানুষ যতো দিন থাকবে রোগবালাই ও ততো দিন থাকবে।ঔষধ হলো সেই রোগ দূর করার মূল বাহক।ফার্মেসি যদি করতে চান তাহোলে 1 লক্ষ টাকার মধ্যে ছোট খাটো করে দিতে পারেন।বিভিন্ন ঔষধ কম্পানির সাথে যোগাযোগ করে আপনি একাজ শুরু করতে পরেন।

একটি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে, একটি ড্রাগ লাইসেন্স প্রয়োজন। বাংলাদেশে একজন ফার্মাসিস্ট হিসেবে ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনাকে প্রথমে বাংলাদেশ ফার্মাসি কাউন্সিল থেকে শোনোড (অনুমতি) নিতে হবে। আপনি বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল থেকে 6 মাসের কোর্স শেষ করার পরে অনুমতি পেতে পারেন।

ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর (DGDA) থেকে ফর্ম 7 সংগ্রহ করুন। ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার জন্য ফর্ম 7 পূরণ করুন এবং এটি ডিজিডিএ-তে পাঠান। ফর্ম 7 এর সাথে, আবেদনকারীকে অবশ্যই জমা দিতে হবে-

  • ব্যাংক এস্টেটমেন্ট
  • লাইসেন্স ফি জমা দেওয়ার ট্রেজারি চালান
  • দোকান ভাড়ার রশিদ বা ভাড়া চুক্তির ফটোকপি। দোকানের মালিক হলে দোকানের মালিকানার দলিল।
  • অন্য লাইসেন্সপ্রাপ্ত ফার্মাসিস্ট দ্বারা একজন আঙ্গিকরপোট্রো।
  • আপনার ট্রেড লাইসেন্সের একটি অনুলিপি – আপনি যদি বাংলাদেশের কোনো পৌর এলাকায় ফার্মেসি স্থাপন করতে চান, তাহলে আপনাকে অবশ্যই ট্রেড লাইসেন্স পেতে হবে। বাংলাদেশে ট্রেড লাইসেন্স কীভাবে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে ধারণা পেতে, অনুগ্রহ করে এখানে “ট্রেড লাইসেন্স প্রক্রিয়া এবং খরচ” বিষয়ক আমাদের নিবন্ধটি দেখুন।
  • বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিল কর্তৃক 6 মাসের কোর্স সমাপ্তির সার্টিফিকেটের কপি।

ড্রাগ লাইসেন্সের জন্য আবেদন করার সময় লাইসেন্স ফি জমা দেওয়ার ট্রেজারি চালান অবশ্যই দেখাতে হবে। বাংলাদেশের কোনো পৌর এলাকায় ফার্মেসি স্থাপন করা হলে ট্রেজারি চালানের মাধ্যমে 3000 টাকা ফি প্রদান করতে হবে। পৌর এলাকার বাইরের ক্ষেত্রে ফি দিতে হবে ১৫০০ টাকা।

প্রতি 2 বছর পর লাইসেন্স নবায়ন করতে হবে। বাংলাদেশের পৌর এলাকার মধ্যে ফার্মাসিস্টদের জন্য নবায়ন ফি 2000 টাকা এবং পৌর এলাকার বাইরে ফার্মাসিস্টদের জন্য, 1000 টাকা।

আবার এই সব ঝেমেলার না গিয়ে অনলাইনে ওষুধ ডেলিভারি দিতে পারেন। ডিজিটালাইজেশনের উত্থানের সাথে অনলাইন মেডিকেল শপ জনপ্রিয়তা পাচ্ছে। অনলাইন মেডিকেল শপের প্রধান সুবিধা হল আপনি একটি ডিসপেনসারির সাথে যোগাযোগ করতে পারেন যখন আপনি একটি অর্ডার পাবেন আপনি তাদের কাছ থেকে এটি বিতরণ করতে পারেন। আপনার ওষুধের স্টোরেজ বা স্টক দরকার নেই।

কীভাবে বিজনেস আইডিয়া পাবেন ও শুরু করবেন?

ব্যবসায়িক ধারনা খুঁজে বের করার সহজ উপায় হল সমস্যা চিহ্নিত করা। প্রতিটি সমস্যার একটি সম্ভাব্য ব্যবসার সুযোগ রয়েছে যদি আপনি সেগুলি ব্যবসার মাধ্যমে সমাধান করতে পারেন। আপনি যদি বাংলাদেশের জন্য ব্যবসায়িক ধারণা পেতে চান, প্রথমে বাংলাদেশের প্রধান সমস্যাগুলি চিহ্নিত করুন এবং ব্যবসায়িক মডেলের মাধ্যমে সেগুলি সমাধান করুন।

আরেকটি বিষয় হল একটি ব্যবসার জন্য দক্ষতা প্রয়োজন। কিছু ব্যবসা দক্ষতা ছাড়া সম্পাদিত হতে পারে, আবার কিছু ব্যবসা দক্ষতা সেট ছাড়া সঞ্চালিত করা যাবে না।

যত কঠিন দক্ষতার প্রয়োজন হবে, প্রতিযোগিতা তত কম হবে। আপনি যদি এমন একটি ব্যবসা শুরু করেন যার জন্য দক্ষতার প্রয়োজন হয়, আপনি কিছু সুবিধা পাবেন। তার মধ্যে একটি হল কম প্রতিযোগিতা। আপনি দ্রুত বৃদ্ধি করতে পারেন।

আপনি যদি আপনার ব্যবসা দ্রুত স্কেল করতে চান তবে আপনাকে অবশ্যই আপনার ব্যবসার অনলাইন উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। গবেষণায় বলা হয়েছে, অনলাইন ব্যবসা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই কারণেই আপনি অনলাইন এবং আইটি-সম্পর্কীত ব্যবসার বেশিরভাগ বিলিয়নেয়ার দেখতে পাবেন।

শেষ কীন্তু সর্বনিম্ন পয়েন্ট না সততা. সততা যে কোনো ব্যবসার আত্মার মূলধন। সততা ছাড়া, আপনি অবশেষে ব্যর্থ হবে.

ব্যবসায়িক ধারণার জন্য বিনিয়োগের প্রয়োজনীয়তা

আমি এখানে তালিকাভুক্ত ধারণাগুলির জন্য নিম্ন থেকে মাঝারি স্তরের বিনিয়োগ প্রয়োজন৷ কিছু ধারণা খুব ন্যূনতম বিনিয়োগের সাথে কার্যকর করা যেতে পারে, আবার কিছু ধারণার জন্য উল্লেখযোগ্য বিনিয়োগ প্রয়োজন। এটা ধারনা উপর নির্ভর করে. আপনি যখন পুরো নিবন্ধটি অন্বেষণ করবেন, তখন আপনি এটি আরও ভালভাবে বুঝতে পারবেন।

যে ধারণাগুলির জন্য দক্ষতা প্রয়োজন সেগুলি কম বিনিয়োগে কার্যকর করা যেতে পারে এবং যে ব্যবসায় দক্ষতার প্রয়োজন হয় না সেগুলির জন্য একটি ভাল বিনিয়োগের প্রয়োজন৷

জটিল ধারণার জন্য কম বিনিয়োগের প্রয়োজন, এখানে বিনিয়োগ আপনার মস্তিষ্ক বা দক্ষতা। বুদ্ধিবৃত্তিক বিনিয়োগের মাধ্যমে আপনি কিছু ব্যবসায় ভালো করতে পারেন।

সাধারণত আমি ঐতিহ্যবাহী ব্যবসার তালিকাভুক্ত করিনি যার জন্য বিশাল বিনিয়োগের প্রয়োজন। আমি সেই ধারণাগুলি তালিকাভুক্ত করার চেষ্টা করেছি যেগুলির জন্য নিম্ন থেকে মাঝারি স্তরের বিনিয়োগ প্রয়োজন৷

শেষ কথা

ব্যবসা ব্যাপার টা হলো ইচ্ছা স্বাধীন পক্রিয়া।আপনি যদি নিজের উপর আত্মবিশ্বাসী হয়ে থাকেন আর ব্যবসা করার ইচ্ছা পেশন করে থাকেন তাহলে এই আরটিকেলটা আপনার সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি।

এই আর্টিকেলে আমি ১০টি সহজ ও লাভজনক উপায় তুলে ধরেছি, এছাড়াও ১ লাখ টাকায় আপনি অনেক ব্যবসা করতে পারেন। তবে যেকোনো ব্যবসার জন্য দরকার স্কীল, ধৈর্য ও কোঠর পরিস্রম। এছাড়াও মার্কেটিং এর দক্ষতা থাকা বাঞ্ছনীয় না হলেও খুব প্রয়োজনীয়।

কখনো হালছেড়না (Never give up) এই বিশ্বাস মনে রেখে কাজ করলে আর আল্লার উপর ভরসা রেখে কাজ করলে আপনি সফলতার শিকরে পৈছাতে পারবেন। এতখন সঙ্গে থাকার জন্য ধন্যবাদ।

আরও পড়ুন

May 22, 2023
কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা
আমাদের জীবিকা যোগাতে আমাদের অর্থের প্রয়োজন হয়। আমরা অর্থ আয়ের উৎস হিসেবে অনেক পেশা নির্বাচন…
May 12, 2023
৩৫০+ মুদি দোকানের সুন্দর নামের তালিকা
এই আর্টিকেলে মুদি দোকানের সুন্দর নামের তালিকা বা মুদি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য সুন্দর ও ইউনিক…
April 5, 2023
ইসলামিক সংগঠনের নাম (50+নামের তালিকা)
এই ব্লগ পোস্টে, আমরা বিশ্বজুড়ে ইসলামিক সংগঠনের সবচেয়ে সুন্দর নামের একটি তালিকা সংকলন করেছি। ইসলামী…

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

linkedin facebook pinterest youtube rss twitter instagram facebook-blank rss-blank linkedin-blank pinterest youtube twitter instagram
Share via
Copy link