মসজিদ কমিটির পদ সমূহ হল সভাপতি, সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, সহ-সাধারণ সম্পাদক, কোষাধ্যক্ষ ও সদস্যমন্ডলী।
মসজিদ কমিটির উচিত উত্তম নৈতিকতা, বিনয়, দয়া, ভালবাসা এবং আতিথেয়তা প্রদর্শন করা। তাদের সর্বদা নৈতিকভাবে আচরণ করা উচিত, তারা মসজিদের পরিদর্শক, স্টাফ সদস এবং মসজিদের সার্বিক কাজ পরিচালনা করা এদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
চলুন তাহলে এক নজরে দেখে নিই মসজিদ কমিটির পদ সমূহ কি কি হতে পরে এবং তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য।
সভাপতি সংগঠনের প্রধান। তিনি পদাধিকারবলে সকল সভার সভাপতিত্ব করেন। সংগঠনের গণতন্ত্রের প্রতিটি ধারা যথাযথ প্রয়োগ নিশ্চিত করা তার দায়িত্ব। সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে তিনি ভোট দানের অধিকারি নন। তবে অচলাবস্থা নিরাসনের জন্য তিনি কাস্টিং ভোট দিতে পরেন।
সহ-সভাপতি সভাপতির সকল কাজে সহয়তা করে। সভাপতির অনুপস্থিতিতে সহ-সভাপতি সভাপতির দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারী হন (একাধিক থাকলে ক্রমিক অনুসারে)। এ ছাড়াও তিনি তার উপর অর্পিত অন্যান দায়িত্ব পালন করে থাকে।
সমাধারণ সম্পাদক সংগঠনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা। তিনি সভাপতির পরামর্শক্রমে সংগঠনের সভা আহ্বান করে। তিনি প্রয়োজনবোধে অন্যান কর্মকর্তার ওপর বিভিন্ন দায়িত্ব অর্পন করেন তাদের কাজের মধ্যে সংযোগ ও সমন্বয় সাধন করেন। সংগঠনের দৈনন্দিন কার্যকলাপের জন্য দায়ি থাকেন। প্রতিটি সভায় তিনি সংগঠনের কার্যাবলির রিপোর্ট পেশ করেন।
তিনি সাধারণ সম্পাদকের সকল কাজে সহায়তা করেন। সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিততে তিনি (ক্রমিক অনুসারে) সাধারণ সম্পাদকের সকল দায়িত্ব ও ক্ষমতার অধিকারি হন। এছাড়া তার উপর অর্পিত অন্যান দায়িত্ব পালন করেন।
সংগঠনের যাতবতীয় অর্থ তার মারাফত ব্যাংকে জমা থাকে। তিনি প্রতিষ্ঠনের আয়-ব্যায় হিসাব রক্ষা ও প্রদান করেন। বিভিন্ন বিভাগের আয়-ব্যায়ের সমন্বয় করেন।
সংগঠনের কার্যকারী কমিটিতে একাধিক সদস্য থাকেন। তারা কার্যকারী কমিটি প্রদত্ত দায়িত্ব পালন করেন। একজন সদস্য তার কাজের জন্য কর্যকরী পরিষদের কাছে দায়ি থাকেন।
মসজিদ কমিটি তৈরি হয়ে গেলে এর রেজুলেশন লিখতে হবে। আমাদের এই ওয়েবসাইটে মসজিদ কমিটির রেজুলেশন লেখার নিয়ম ও নমুনা ফরম্যাট সহ পাবলিশ করা হয়েছে।
মসজিদ আল্লাহর ঘর, আর এটিকে রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচর্যা করার দায়িত্ব মুসল্লিদের। সূরা তাওবার ১৮ নং আয়াতের রেফারেন্সে উল্লেখ করা হয়েছে, “শুধুমাত্র তারাই আল্লাহর মসজিদকে সমর্পণ করে যারা আল্লাহ ও শেষ দিনে বিশ্বাস করে, সালাত কায়েম করে, যাকাত দেয় এবং ভয় করে, আল্লাহ একজন”।
সুতরাং, কমিটির সদস্যদের ব্যক্তিগত ভিত্তিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ গুণাবলীর অধিকারী হওয়া আবশ্যক যাতে মসজিদটি কুরআনের নীতি অনুসারে জনবহুল করা যায়।
মসজিদ কমিটির বৈশিষ্ট্য কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন:-
মসজিদ কমিটি হল মসজিদের ব্যবস্থাপনা ও কার্যক্রম তত্ত্বাবধানের জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের একটি দল। মসজিদ কমিটির দায়িত্ব ও কর্তব্য বহুমুখী এবং এর জন্য প্রয়োজন উচ্চ পর্যায়ের প্রতিশ্রুতি, নিষ্ঠা এবং পেশাদারিত্ব।
মসজিদ কমিটির প্রধান ৮টি দায়িত্ব ও কর্তব্যসমূহ হল
মসজিদের জন্য কমিটি নির্বাচন করার সময় সম্প্রদায়ের সর্বদা ইসলামী শিক্ষা এবং মসজিদকে অগ্রাধিকার দেওয়া উচিত।
কেবলমাত্র তাদেরই মসজিদের জন্য বেছে নেওয়া উচিত যারা সর্বশক্তিমান আল্লাহর নির্দেশের সাথে সঙ্গতিপূর্ণ আচরণ করে। আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান রাখে এবং সৎ মুসলমান। তাদের অবশ্যই বিধর্মীদের এড়িয়ে চলতে হবে, আহলে-উস-সুন্নাহর নীতিগুলি বুঝতে হবে এবং মুসলমানদের অনুশীলন করতে হবে।
একইভাবে, একজন মুসলমানের জন্য রমজান মাসে রোজা রাখা ফরজ, কিন্তু আপনি যেহেতু একজন মসজিদের প্রতিনিধি।
তাই এই বাধ্যবাধকতার তাৎপর্য আরও বেড়ে যায় কারণ সাধারণ মানুষ সালাত ও রোজা সংক্রান্ত বিষয়ে মসজিদ কমিটিকে নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করে।
তারা কোনো শিথিলতা লক্ষ্য করলে, তারা তাদের উদ্বেগ প্রকাশ করতে শুরু করে। কেউ কেউ মসজিদের ভেতরেও আপত্তি জানাতে শুরু করে, চিৎকার করে বলে, "এটা কী ধরনের কমিটি" তারা রোজা পালন করে না বা সালাত ইত্যাদি আদায় করে না।
আপনি আপনার এলাকার মসজিদের কমিটি গঠন করার জন্য উপরের বিষয় গুলি পর্যালোচনা করতে পারেন। তাছাড়া আপনি দেশের সনামধন্য মসজিদের নিয়ম কানুন উপলব্ধি করে, আপনার এলাকার মসজিদের কমিটিটি পরিচালনা করতে পরেন।
এ সম্পর্কিত কোন তথ্য জানার থাকলে কমেন্ট বক্সের মাধ্যমে জানাতে পারেন। সাথে থাকর জন্য ধন্যবাদ।