গ্রিজার (যা "তেল পরিষ্কারক" হিসাবেও পরিচিত) হলো কর্মী, যার প্রধান কর্ম যন্ত্রপাতির তেল পরিষ্কার করা।
পূর্ববর্তী যুগে বিভিন্ন শিল্পে, যেমন নৌবাহিনী ও বাণিজ্যিক কাজ, রেলপথের পরিষ্কার, ইস্পাত প্রস্তুতি ও খনিজ শিল্পে তেল পরিষ্কারক পদ ছিল।
পূর্বে বিভিন্ন শিল্পে অয়েলার ছিলেন, যেমন- সামুদ্রিক কাজ (নৌবাহিনী এবং বাণিজ্যিক), রেল চালনা, ইস্পাত নির্মাণ, খনি ইত্যাদি। আজকে প্রযুক্তির পরিবর্তনের মাধ্যমে এরকম পদপ্রায় বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছে।
গ্রীজারদের অনেক সময় গীজার বলা হয়। গ্রীজার হল নৌ পরিবহনের চতুর্থ শ্রেনীর একটি পদ।
"গ্রীজার" পদের প্রয়োজনতা মূলত মেশিনের নির্বিচ্ছিন্ন কার্যকারিতা বজায় রাখার জন্য। মেশিনগুলি যখন নিয়মিত তেল পায়, তখন তারা সঠিকভাবে এবং দীর্ঘ সময় পর্যন্ত কাজ করে। এই পদের মাধ্যমে মেশিনের জর্জরিত হওয়া ও মেশিনের মারাত্মক ক্ষতি রোধ করা যায়। তাই, "গ্রীজার" পদটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদ হিসেবে বিবেচিত হয়।
গ্রিজারের (oiler) কাজ হিসাবে নিম্নলিখিত:
বর্তমান সরকারী চাকুরীর স্কেলে বা জাতীয় বেতন স্কেল -২০১৫ গ্রীজার বেতনের পরিসীমা ৯,০০০ থেকে ২১,৮০০ টাকা। তবে বেসরকারিভাবে তা ৫০০০ টাকা থেকে ৩০,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। এটি পদের স্বীকৃতি, কাজের পরিমাণ এবং কাজের দক্ষতা অনুসারে পরিবর্তন পায়।
বিআইডব্লিউটিএ' এর অধস্ত চাকরীর ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা: ৮ম শ্রেণি পাশ আবার কখনো SSC বা সমমান আবার মাধ্যমিক/ সমমানের ডিগ্রি চায়।
বয়সঃ অনূর্ধ্ব ৩০
পূর্বাভিজ্ঞতাঃ অভিজ্ঞতা থাকলে অগ্রাধিকার পাবেন।
আবেদন ফীঃ ২০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত হতে পারে।
আবেদন করার নিয়মঃ আগ্রহীরা অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন।
তবে এই পদগুলিতে নির্বাচিত হওয়ার জন্য, কর্মীদের যন্ত্রপাতিতে বিশেষ দক্ষতা এবং জ্ঞান থাকা আবশ্যক।বিস্তারিত জানতে বিআইডব্লিউটিএ নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখুন।
গ্রিজারের কর্মক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো সেই কাজের কঠিনতা। গ্রিজারের কাজ সাধারণত শারীরিক শ্রম এবং কৌশল কাজের সাথে সম্পর্কিত হয় যেমন - মেশিনের পার্টসমূহ তুলে ধরা, মেশিনের দীর্ঘ সময় কাজ করা ইত্যাদি।
গ্রীজারএকটি টেকনিক্যাল ক্ষেত্র যা সম্ভাব্য একটি উপযুক্ত ক্যারিয়ার পথ হতে পারে। কিন্তু এর বৈশিষ্ট্য ও সীমাবদ্ধতা বোঝা অত্যাবশ্যক। নিম্নে কিছু ক্ষেত্র উল্লেখ করা হল:
১। কাজের ক্ষেত্র: গ্রীজার হিসেবে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা বিভিন্ন ক্ষেত্রে রয়েছে। এতে অন্তর্ভুক্ত হলেন শিল্পক্ষেত্র, সামুদ্রিক অবকাঠামো, রেলওয়ে, অবকাঠামো নির্মাণ, কৃষিক্ষেত্র, বানিজ্যিক ও উদ্যোগ ইঞ্জিনিয়ারিং ইত্যাদি।
২। গঠনতন্ত্র ও শারীরিক প্রয়োজনীয়তা: গ্রীজারের চাকরিটি শারীরিকভাবে চ্যালেঞ্জিং হতে পারে, কারণ এটি অনেকসময় ভারী যন্ত্রপাতি উঠানো ও অন্যান্য শারীরিক কাজ অন্তর্ভুক্ত করে। সুতরাং, এই ক্ষেত্রে চাকরি পেতে হলে শারীরিক সুস্থতা এবং স্বাস্থ্য গুরুত্বপূর্ণ।
৩। প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা: গ্রীজার হিসেবে চাকরি পেতে হলে নির্দিষ্ট প্রশিক্ষণ এবং শিক্ষা প্রয়োজন। এই প্রশিক্ষণ মূলত মেশিনেরি ও তার রক্ষণাবেক্ষণ, তেল ও গ্রিস প্রয়োগ, মেশিনেরি নিরাপত্তা নীতিমালা, এবং বিপরীত পরিস্থিতিতে প্রতিকার করার উপায় নিয়ে হতে পারে।
৪। উন্নয়ন সম্ভাবনা: যদিও গ্রীজার হিসাবে চাকরি করা একটি মূল পদ, তবে এই ক্ষেত্রে আরও উচ্চতর পদে উন্নীত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেমন- সুপারভাইজার, মেকানিকাল ইঞ্জিনিয়ার, ইত্যাদি।
৫। বেতন স্থিতি: গ্রীজার হিসেবে বেতন সাধারণত শ্রমিক শ্রেণীর তুলনায় উচ্চ। তবে এটি নির্ভর করবে কোম্পানির ধরন এবং আপনার অভিজ্ঞতা উপর।
১। প্রয়োজনীয় প্রশিক্ষণ অর্জন করুন: প্রথমত, যেকোনো টেকনিক্যাল কাজের জন্য প্রশিক্ষণ অত্যাবশ্যক। আপনি একটি পেশাদার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন যা মেশিনেরি মেরামত এবং রক্ষণাবেক্ষণে প্রশিক্ষণ প্রদান করে।
২। সংশ্লিষ্ট ক্ষেত্রে অভিজ্ঞতা অর্জন করুন: প্রশিক্ষণ এর পাশাপাশি, মেশিনেরি রক্ষণাবেক্ষণ বা সম্পর্কিত ক্ষেত্রে কাজের অভিজ্ঞতা অর্জন করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি আপনার জীবনযাপন ও কাজের দক্ষতা বাড়াবে।
৩। সেফটি প্রশিক্ষণ নিন: গ্রীজার হিসেবে কাজ করার সময় নিরাপদ কাজ করার জন্য সেফটি প্রশিক্ষণ নিতে হবে। এটি আপনাকে কাজের স্থানে নিরাপদ থাকতে সহায়তা করবে এবং সম্ভাব্য অপকর্ম এড়ানোর ক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে।
৪। কমিউনিকেশন দক্ষতা: গ্রীজার হিসেবে আপনাকে অন্য কর্মীদের সাথে সমন্বয় করা প্রয়োজন। এটি সমস্যার সমাধান করার এবং কাজের পরিস্রমের কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য উপযোগী।
৫। চাকুরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজে পাওয়া: নিয়মিতভাবে চাকরির বিজ্ঞপ্তি খুঁজে বের করা এবং আপনার রেজুমে পাঠিয়ে দিন। এই প্রক্রিয়াটি আপনাকে চাকরি পেতে সাহায্য করবে।
৬। ইন্টারভিউ প্রস্তুতি: চাকুরির জন্য ইন্টারভিউ দেওয়ার আগে ভালোভাবে প্রস্তুত হোন।