ব্লগ (blog) শব্দটির সাথে আমারা সবাই কম বেশি পরিচিত। আর আমারা এটাও জানি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে টাকা আয় করা যায়। আপনি যদি এমন কেউ হন জিনি ব্লগ মানে কী? বা ব্লগ ওয়েবসাইট কী এটা জানতে চান তাহলে বাংলা কোর্সের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য।
এই আর্টিকেলটিতে আমি চেষ্টা করেছি - ব্লগ, ব্লগিং ও একটি ব্লগ ওয়েবসাইট বানিয়ে এর থেকে অনলাইনে টাকা ইনকামের ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করতে। আশাকরি আপনার সকল প্রশ্নের উত্তর এই আর্টিকেলে দিতে পারব।
চলুন শুরু কারা যাক।
ব্লগ একটি ইংরেজি শব্দ। এর অর্থ ব্যক্তিগত অনলাইন দিনলিপি। Blog শব্দটি weblog (web log) শব্দের সংক্ষিপ্ত রূপ। আক্ষরিক অর্থে, একটি নিয়মিত আপডেট করা ওয়েবসাইট বা ওয়েব পৃষ্ঠা, সাধারণত একটি ব্যক্তি বা ছোট গোষ্ঠী দ্বারা পরিচালিত, যা একটি অনানুষ্ঠানিক বা কথোপকথন শৈলীতে লেখা হয়।
বর্তমানে ২০২২ সালে ব্লগ বলতে এমন সব ওয়েবসাইট বুঝায়- যেখানে ব্লগ ওনার তার জ্ঞান ও এক্সপ্রিয়েন্স লিখে পাবলিশ করেন। যা সবার জন্য উন্মুক্ত থাকে। ইন্টারনেটে 600 মিলিয়ন সক্রিয় ব্লগ রয়েছে, যা প্রকাশিত সমস্ত ওয়েবসাইটের এক-তৃতীয়াংশ।
ব্লগ ওয়েবসাইট কী? একটি ব্লগ একটি নির্দিষ্ট ধরনের ওয়েবসাইট। কীন্তু ব্লগগুলি নিয়মিতভাবে একেবারে নতুন বিষয়বস্তুর সাথে আপডেট করা হয়, যখনে ওয়েবসাইট সাধারণত স্থির থাকে এবং খুব ঘন ঘন আপডেট হয় না।
যিনি ব্লগ লেখেন তাকে ব্লগার (blogger) বলে। কোনো একটি নির্দিষ্ট ওয়েবসাইটে নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে লেখালেখি করাকে ব্লগ বলে। একজন ব্লগার তার অনুভুতি, জ্ঞান, চিন্তা ও দর্শন অন্যদের মাঝে শেয়ার করেন। আর blogger দের এই প্ররিস্রমের পিছে দুটি প্রধান উদ্দেশ্য কাজ করে ১. মানুষকে সাহায্য করা, আনন্দ দেওয়া ২. টাকা আয় করা।
ব্লগ পোস্ট মানে কী? একটি ব্লগ পোস্ট হল যে কোন নিবন্ধ, সংবাদ অংশ বা নির্দেশিকা যা একটি ওয়েবসাইটের ব্লগ বিভাগে প্রকাশিত হয়। একটি ব্লগ পোস্ট সাধারণত একটি নির্দিষ্ট বিষয় বা ক্যোয়ারী কভার করে। এটি শিক্ষামূলক প্রকৃতির, 600 থেকে 2,000+ শব্দের পরিসর, এবং অন্যান্য মিডিয়া প্রকার যেমন ছবি, ভিডিও, ইনফোগ্রাফিক্স এবং ইন্টারেক্টিভ চার্ট ধারণ করে।
ব্লগ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হতে পারে। যেমনঃ সাহিত্য, ভ্রমণকাহিনী, রাজনীতি, অর্থনীতি, জীবনকাহিনী, তথ্যপ্রযুক্তি ইত্যাদি।অনেকে ব্লগ এবং ওয়েবসাইটকে এক মনে করেন।
এখানে বলে রাখা ভালো ওয়েবসাইটের এবং ব্লগের মূল পার্থক্য হলো ওয়েবসাইটের লেখা আপডেট করা হয় অনিয়মিতভাবে কীন্তু ব্লগের লেখা আপডেট করা হয় নিয়মিতভাবে। এমনকী এমন কিছু ব্লগ থাকে যার লেখা প্রতি মিনিটে আপডেট করা হয়।
এখন আমরা জানবো ব্লগ থেকে কী ধরনের আয় হয়। চলুন তাহলে দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
সাধারন অর্থে অনলাইনে লেখালেখি করাকে ব্লগিং বলে। অনেকে নিজের ভালোলাগার জন্য ব্লগিং করে আবার অনেকে অনলাইনের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্লগিং করে থাকে। বিদেশে অনেক তরুণ-তরুনি ব্লগিংকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে।
ব্লগকে ২০+ টাইপে ভাগ করা যায়, তবে সবকিছু বিচারে ব্লগ প্রধান ব্লগ টাইপ হল -
আজকে আমরা জানবো ব্লগিং করে টাকা উপার্জনের কয়েকটি ধরন সম্পর্কে। চলুন দেরি না করে জেনে নেওয়া যাক।
ব্লগিং করে আয় এবং বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে আয় একে অপরের সাথে ওতপ্রোত ভাবে জড়িত। ব্লগে আয় করার সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি হলো বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আয় করা। ব্লগে বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্কের অনুমতি পেলেই আপনার আয় শুরু হয়ে যাবে। তখন আপনার আর কিছু করতে হবে না। বিজ্ঞাপন কোম্পানি আপনার ব্লগে বিজ্ঞাপন দেখিয়ে আপনার আ্যকাউন্টে টাকা পাঠাতে শুরু করবে।
জনপ্রিয় বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক হলোঃ
তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হচ্ছে এডসেন্স। অনেক ব্লগার ব্লগিং শুরু করেন শুধুমাত্র এডসেন্স থেকে ইনকাম করার জন্য। এতে ইনকামের জন্য এডসেন্সের অনুমতি প্রয়োজন। আপনার ব্লগটি এডসেন্সের নিয়মনীতি মেনে করা হলে এডসেন্স খুব সহজে আপনাকে অনুমতি দেবে।
বাংলায় ব্লগিং করলে Media.net এর অনুমতি পাবেন না কীন্তু Ezoic.com এর অনুমতি পাবেন। তবে এডসেন্স এর থেকে Media.net এবং Ezoic.com এর ইনকাম বেশি হয়। এছাড়াও ব্লগে ইনকামের জন্য এডসেন্সের বিকল্প রয়েছে। বাংলাদেশের বিজ্ঞাপন কোম্পানি BDADVERISE এক্ষেত্রে অন্যতম।
বর্তমান যুগ প্রযুক্তির যুগ। প্রযুক্তির এই যুগে ডিজিটাল প্রোডাক্ট অহরহ বিদ্যমান। তাই আপনি চাইলে ডিজিটাল প্রোডাক্ট বিক্রি করে আপনার ব্লগ থেকে খুব ভালো টাকা ইনকাম করে নিতে পারেন। কয়েকটি জনপ্রিয় ডিজিটাল প্রোডাক্টের নাম হলোঃ
বর্তমানে প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজারে টিকে থাকতে হলে আপনার যে জিনিসটি সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সেটি হচ্ছে আপনার দক্ষতা। ক্যারিয়ারে উন্নতি করতে হলে আপনার দক্ষতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই।
মনে করেন আপনার কোনো প্রয়োজনীয় বিষয়ে দক্ষতা আছে। তাহলে আপনি তা মানুষের সাথে শেয়ার করার জন্য বেছে নিতে পারেন এই ব্লগ প্লাটফরমকে। আপনি আপনার দক্ষতার ওপর একটি কোর্স তৈরি করে সেটি মানুষের কাছে বিক্রি করে টাকা ইনকাম করে নিতে পারেন।
যেমন ধরুন আপনার কোর্সের মূল্য ১৫০০ টাকা।
এখন আপনি ৪০ জন স্টুডেন্ট পেলেও আপনার মাসিক ইনকাম ৬০০০০ টাকা।যদি তারা আপনার কোর্স থেকে উপকার পায় তাহলে তারা আপনার এম্বাসেডর হিসেবে কাজ করবে। তারাই আপনার কাছে নতুন স্টুডেন্ট পাঠাবে। কিছু কিছু ওয়েবসাইট এবং ব্লগ আছে যারা শুধুমাত্র অনলাইন কোর্সে ওপর দাঁড়িয়ে আছে।
কিছু জনপ্রিয় অনলাইন কোর্স হলোঃ
এছাড়ও হাজার হাজার অনলাইন কোর্স রয়েছে। আপনার কী ধরনের দক্ষতা রয়েছে সেটা সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অভিজ্ঞতা না থাকলে কোর্স অফার করে ব্লগ থেকে টাকা ইনকাম করার চিন্তা করবেন না, এতে পরিণতি ভয়ংকর হতে পারে।
ব্লগ থেকে ইকামের পদ্ধতি গুলোর মধ্যে লোকাল বিজ্ঞাপন অন্যতম জনপ্রিয়। বিভিন্ন কোম্পানী এবং প্রতিষ্ঠান তাদের পন্য প্রচারের জন্য লোকাল বিজ্ঞাপন দিয়ে থাকে। এই উপায়ে ব্লগ থেকে অনেক ইনকাম করা সম্ভব। কীন্তু এক্ষেত্রে ব্লগের জনপ্রিয়তার প্রয়োজন।
আপনার ব্লগ যখন জনপ্রিয়তা পাবে তখন কোম্পানিগুলো আপনাকে প্রস্তাব দিবে এবং একটা সময় পর কোম্পানিগুলো নিজেরা আপনাকে অফার করবে।
আপনি নতুন ব্লগারকে স্পনসর করে সহজে টাকা ইনকাম করে নিতে পারবেন। এক্ষেত্রে নতুন ব্লগাররা আপনার ব্লগের জন্য একটি আর্টিকেল লিখবে এবং সেইখানে তারা তাদের সাইটের একটি লিংক যুক্ত করবে।
অর্থাৎ নতুন ব্লগাররা তাদের জনপ্রিয়তা বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন জনপ্রিয় ব্লগ থেকে ব্যাকলিংক নেওয়ার জন্য গেস্ট ব্লগিং করে থাকে।এভাবে গেষ্ট ব্লগিং করে আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনার ব্লগ থেকে পাওয়া লিংকটি তাদের জন্য অনেক মূল্যবান। তাই আপনি এর বিনিময়ে বেশ ভাল এমাউন্ট চার্জ করতে পারবেন।
ব্লগিং এ টাকা ইনকাম করার একটি ভালো উপায় হচ্ছে পণ্যের রিভিউ করে টাকা ইনকাম। ব্লগিং এ যারা জনপ্রিয় তাদের কাছে বিভিন্ন অনলাইন শপ এবং ফেসবুক শপ থেকে প্রোডাক্ট রিভিউ করার জন্য যোগাযোগ করে তাদের প্রোডাক্টগুলো রিভিউ করে ভিজিটরদের সেই রিভিউয়ের্ লিংক পাঠাতে হয়। আর এই লিংকের জন্যই মূলত ব্লগাররা টাকা পায়।
এক্ষেত্রে আপনি একটি বিষয় খেয়াল রাখবেন যে আপনার রিভিউকৃত পন্যটি যেনো সত্যিই ভালো হয়। অর্থাৎ ভিজিটররা যেনো পন্যটি ক্রয় করে প্রতারিত না হয়।
ফ্রিল্যান্সাররা এখন মার্কেটপ্লেসের পাশাপাশি ব্লগ খুলেও টাকা ইনকাম করছে। মনে করেন আপনি একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে তাদের একটি ব্লগ খুলে দিয়েও ইনকাম করতে পারেন।
এছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেস সাইট ডেভেলপমেন্ট, প্রফেশনাল ব্লগার ডিজাইন, অ্যাডসেন্স গাইড প্রভৃতি অনলাইন সেবা প্রদান করেও টাকা ইনকাম করতে পারেন।
আপনিও যদি কোন জনপ্রিয় এবং চাহিদা সম্পন্ন লেখক হয়ে ওঠেন তাহলে আপনি আপনার আর্টিকেল পড়ার জন্য চার্জ করতে পারেন।
মনে করেন আপনি যেকোনো ওয়েবসাইট স্ক্রল করার সময় কিছু আর্টিকেল পাবেন আর কিছু ভিডিও পাবেন যা দেখতে বা পড়তে গেলে মেম্বারশীপ নিতে হয়।
মেম্বারশীপ নিলেই তারা আপনার থেকে টাকা কেটে নেবে। সেইরকমভাবে আপনি জনপ্রিয় লেখক হয়ে গেলেও মানুষ আপনার লেখা টাকা দিয়ে পড়তে চাইবে। সুতরাং এভাবেও আপনি টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
আপনি আপনার নিজ ব্লগের বিষয়বস্তু নিয়ে অনলাইন শপ খুলতে পারেন। যেমন বাংলাদেশে shajgoj নামের একটি বিউটি টিপস ব্লগ আছে। যেখানে মেয়েদের রূপচর্চা এবং বিভিন্ন বিউটি টিপস সংক্রান্ত আর্টিকেল প্রকাশিত হয়।
সেইসাথে রূপচর্চার জন্য বিভিন্ন প্রোডাক্ট সুপারিশ করা হয় এবং এ্সব প্রোডাক্ট এই ব্লগের শপ থেকে কেনার সুযোগ দিতে প্রোডাক্টগুলো আর্টিকেলের ভিতরে ফিচার দেওয়া হয়। আপনিও আপনার নিজস্ব ব্লগের সাথে মিল রেখে সেই অনুযায়ী শপ তৈরি করে ব্লগ থেকে আয় করতে পারবেন।
ব্লগ থেকে সবচেয়ে সহজ উপায়ে টাকা ইনকাম করা যায় বিভিন্ন সাইট রেফার করার মাধ্যমে। যেমনঃ বিকাশ অ্যাপ, ফ্রিল্যান্সিং সাইট, স্টক ফটো সাইট ইত্যাদি রেফার করে আপনি খুব সহজেই টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ব্লগ থেকে আয় হতে একটু সময়ের প্রয়োজন। বিশেষ করে বাংলা ব্লগে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করতে চাইলে একমাসের মধ্যেই অ্যাডসেন্সের অনুমতি পাওয়া যায়।
গুগল এডসেন্স ১০০ ডলার না হলে পেমেন্ট দেয়না। তাই প্রথমবার টাকা হাতে পেতে ৩ মাস বা তারও বেশি সময় লাগে। যখন প্রতিমাসে আপনার ব্লগে ৩০ হাজার বা তার বেশি ভিজিটরস থাকবে, তখন প্রতিমাসেই আপনার ব্যাংক একাউন্টে টাকা চলে আসবে।
ইংরেজি ব্লগে টাকা ইনকাম করতে এতো সময় অপেক্ষা করতে হয়না, যদি আপনার মোটামোটি জনপ্রিয়তা হয়। সবথেকে ভালো হয় আপনি যদি আমেরিকা, কানাডা, অস্ট্রেলিয়ার ভিজিটরস পান তাহলে হয়তো শুরুর দিকেও প্রতিমাসে ২০ থেকে ৩০ হাজার টাকা ব্লগ থেকে ইনকাম করতে পারবেন।
শুধুমাত্র বিজ্ঞাপন নেটওয়ার্ক থেকে যদি বাংলায় একটি প্রথম শ্রেনীর ব্লগ দিয়ে মাসে ৫০০০ ডলার আয় করে তাহলে একই ধরনের একটি ইংরেজি ব্লগ দিয়ে প্রতিমাসে কমপক্ষে ৪০০০০ ডলার আয় করতে পারে । ইংরেজির তুলনায় বাংলায় এডসেন্সের ইনকাম খুব কম।
ইংরেজি ব্লগের ক্ষেত্রে, একটি ব্লগার হিসাবে একটি সম্পূর্ণ আয় উপার্জন আপনি ভাবতে পারেন তার চেয়ে বেশি। ফাইন্যান্স ব্লগ মিলেনিয়াল মানি রিপোর্ট করে যে মাত্র 2 বছর ট্রাফিক এবং গ্রাহক তৈরি করার পরে, ব্লগাররা বার্ষিক $100,000 এর উপরে উপার্জন করতে পারে। এমনকী প্রথম বছরের মধ্যেই, ব্লগাররা সহজেই প্রতি মাসে অতিরিক্ত $500-$2,000 উপার্জন করতে পারে।
কীন্তু বাংলা ব্লগের ক্ষেত্রে এটি খুব নগন্য, কারণ আমারা শুধু মাত্র অ্যাড নেটওয়ার্ক থেকে টাকা আয় করি। আমি উপরে যে ব্লগ থেকে টাকা আয় করার উপায় বলেছি তার অধিকাংশ ব্যবহার করা হয় না। সেক্ষেত্রে একজন মোটামুটি মানের বাংলা ব্লগার মাসে ৪ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১ লক্ষ টাকা আয় করেন।
এখন প্রশ্নহল আয়ের তারতম্য কেন হয়?
ব্লগিং করে ইনকামের তারতম্যের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি ফ্যাক্টর কাজ করে, নিচে আমি এই বিষয়ে বুজিয়ে বলছি।
ভিজিতর বা ট্রাফিকঃ যার ভিজিটর যত বেশি তিনি তত আয় করবেন এটা স্বাভাবিক। যদিও ভিসিটরের উপরে মুলধারার অ্যাড নেটওয়ার্কসমূহ টাকা দেয় না, বিজ্ঞাপনের ক্লিকের উপরে দেয়। ভাষা ও ট্রাফিকের লোকেশন ও এক্ষেত্রে বেশ গুরুত্ব রাখে। যেমনঃ আমেরিকার ১০০০ ট্রাফিক থেকে আপনি যা আয় করতে পারবেন সেটা বাংলাদেশে ১০,০০০ বা এর থেকে বেশি ভিজিতরেও হবে না।
অ্যাড প্রদানকারী কম্পানির অভাবঃ বাংলাদেশের কথা বিবেচনায় নিলে খুব কম কম্পানি গুগলে অ্যাড দেয়, এবং তার ফলে তাদের কম খরচ হয়। যেহেতু গুগল অ্যাডসেন্স প্রতিক্লিকের ৭১% ব্লগারদের দেয়, ফলে আয় কম হয়।
ব্লগ সাইট মনিটাইজেশন এর ঘারতিঃ মনিতাইজেসনে খুব একটা পারদর্শী না, প্লাস ব্লগিং করে আয়ের অনেক মাধ্যম আমাদের জানা থাকে না। ফলাফল ইনকামে তারতম্য।
আপনি যদি একটি ব্লগ তৈরি করতে চান তাহলে আপনাকে এর কোর বা চালিকা শক্তি হিসেবে একটি মাধ্যম ব্যবহার করতে হবে। এই মাধ্যমগুলি CMS বা কন্টেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম বলে পরিচিত। এগুলি আপনাকে আপনার ব্লগ পোস্ট পাবলিশ করা, এডিট করা, মিডিয়া ফাইল যোগ করার অনেক মতো সুবিধা দেয়।
ফ্রি ব্লগ তৈরি করার জন্য ও এর থেকে আয় করার জন্য Blogger.com হোল সবচেয়ে ভাল মাধ্যম।
একটি ফ্রি ব্লগার ওয়েবসাইট তৈরি করতে নিচের ধাপগুলি অনুসরণ করুন।
এই বিষয়ে আরও জানতে ভিজিট করুন এই লিংকে।
বর্তমানের ডিজিটাল এই যুগে অনেকে ব্লগিংকে নিজের ক্যারিয়ার হিসেবে বেছে নিয়েছে। ব্লগিং এর মাধ্যমে অনেকে ঘরে বসে টাকা ইনকাম করছে। আপনি ব্লগিং এ সময়, শ্রম , মেধা দিয়ে ব্লগিং করুন।
আশা করা যায় আপনি ব্লগিং এর মাধ্যমে একটি সফল ক্যারিয়ার দাঁড় করাতে পারবেন। তাই ঘরে বসে না থেকে ব্লগিংকে নিজের পেশা হিসেবে বেছে নিতে পারেন। আশাকরি আজকের লেখাটি পড়ে আপনি ‘ব্লগ কী? ব্লগে কী ধরণের আয় হয়?’ সেই বিষয়ে সম্যক ধারণা পেয়েছেন।