টেলিমেডিসিন (Telemedicine) হল তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ব্যবহার করে সাস্থ্য সেবা গ্রহণ ও প্রদান করার…
ড্রোন ক্যামেরা দাম কত কেনার সময়, খরচ বিবেচনা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ড্রোনগুলো ভিডিওগ্রাফি এবং ফটোগ্রাফির জন্য একটি জনপ্রিয় ডিভাইজ। ড্রোন ক্যামেরার দাম নির্দিষ্ট মডেলের উপর নির্ভর করে।
কারেমকে ইউএভি (ড্রোন) প্রযুক্তির প্রতিষ্ঠাতা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তিনি টেকনিয়ন থেকে অ্যারোনটিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে স্নাতক হন। তিনি ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর জন্য ইয়োম কিপপুর যুদ্ধের সময় তার প্রথম ড্রোন তৈরি করেছিলেন।
ভিডিওগ্রাফার ও ফটোগ্রাফারদের চাহিদা মেটানোর জন্য বিভিন্ন মূল্যর ড্রোন ক্যামেরা রয়েছে।
এই ব্লগ পোস্টে, আমরা জানবো ড্রোন ক্যামেরা দাম কত হয়,এবং কীভাবে আপনার প্রয়োজনের জন্য সঠিক ড্রোন ক্যামেরা সিলেক্ট করতে হয় সে সম্পর্কে কিছু গাইড প্রদান করব৷
ড্রোন হল একটি মনুষ্যবিহীন এরিয়াল ভেহিকেল (UAV) যা সাধারণত একটি ক্যামেরা দিয়ে সজ্জিত থাকে। এটি মূলত রিমোট কন্ট্রোলার এর মাধ্যমে কন্ট্রোল করা যায়৷ আবার ক্যামেরা ছারা বাচ্চাদের খেলনা ড্রোন ও পাওয়া যায়।
এটি এরিয়াল ফটোগ্রাফি থেকে শুরু করে নজরদারি এবং রিকনেসান্স পর্যন্ত বিভিন্ন উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়।
ড্রোন ক্যামেরাগুলো আকাশ থেকে ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে ব্যবহৃত হয়। ড্রোন ক্যামেরা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি হওয়ার কারণে সমমানের ক্যামেরার চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল হয়।
তাই আপনি কেনাকাটা করার আগে আপনার প্রয়োজনীয়তাগুলো নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। ক্যামেরার গুণমান এবং বৈশিষ্ট্যের কারণে এটির দাম কম বা বেশী হয়।
ড্রোন যে প্রক্রিয়াই কাজ করে তার নাম হচ্ছে ইউএভি (UAV)। যার পূর্ণ অর্থ হচ্ছে Unmanned aerial vehicle। যার আছে ২ টি প্রকারভেদ, একটি সাধারণ (UAV) ও অপরটি সামরিক (UAV)।
ড্রোন ক্যামেরা উচ্চ মানের রেডিও-নিয়ন্ত্রিত উরন্ত ডিভাইস যা ছবি এবং ভিডিও তোলার কাজে ব্যবহার হয়। অর্থাৎ, এটি একটি ক্যামেরা যা ড্রোনের সাথে সংযুক্ত থাকে। এবং, এটি উড়ার সময় ছবি বা লাইভ ভিডিও রেকর্ড করতে পারে।
আর এর সাথে একটি রিমোট থাকে বা মোবাইল অ্যাপ থাকে - যা দিয়ে আপনি ড্রোন এর গতিবিধি এবং এর সাথে থাকা ক্যামেরা নিয়ন্ত্রন করতে পারেন।
যখন ড্রোনের কথা আসে, বাংলাদেশে ড্রোনের দাম ড্রোনের ধরন এবং এটি যে বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করে তার উপর নির্ভর করে উল্লেখযোগ্যভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।
বাংলাদেশে পাওয়া যায় এমন কিছু ড্রোনের নাম বা মডেল ও দাম
| মডেল | দাম |
|---|---|
| Baoniu Aerobat Four-Axis HC 702 Mini Aircraft Drone | ২১০০৳ থেকে ২৪০০৳ |
| Baoniu Aerobat Four-Axis HC 702 Mini Aircraft Drone | ৩১০০৳ থেকে ৩৪৫০৳ |
| HDRC D2 6-Axis 2.4G RC Quadcopter | ৪৫০০৳ থেকে ৪৭০০৳ |
| Micro Foldable Wide Angle HD | ৪২০০৳ থেকে ৪৫০০৳ |
| DJ1 Wi-Fi FPV Camera Portable Drone | ৪৫০০৳ থেকে ৪৬০০৳ |
| DJ2 WIFI FPV Dual Camera Drone | ৫৫০০৳ থেকে ৭৫০০৳ |
| E99 K3 Pro Dual Camera | ৫৫০০৳ থেকে ৬০০০৳ |
| T27 Dual Camera Drone | ৬০০০৳ থেকে ৭০০০৳ |
| Traveller 3 Drone with 4k Camera | ৬০০০৳ থেকে ৭০০০৳ |
| Air Musha X9TW Foldable Drone | ১৪,০০০৳ থেকে ১্৬,০০০৳ |
| DJI Mini 2 Standard | ৫০,০০০৳ |
| DJI Mavic Mini Standard | ৪৯,০০০৳ |
| SJRC F7s Pro 4K Drone | --- |
| Xiaomi Fimi X8 SE 4K Drone | ৫১,৫০০৳ |
| DJI FPV Combo First-Person 4K View UAV Quadcopter | ১,৪৫,০০০৳ থেকে ১,৫০,০০০৳ |
আপনি যদি বাজেটে একটি ড্রোন ক্যামেরা খুঁজছেন তবে সেখানে কিছু দুর্দান্ত বিকল্প রয়েছে। সস্তার ড্রোনগুলি আরও ব্যয়বহুল মডেলগুলির মতো একই বৈশিষ্ট্যগুলি অফার করে না, তবে তারা এখনও শালীন ছবি এবং ভিডিও ক্যাপচার করতে পারে।
Ryze Tello, DJI Spark, এবং Hubsan X4 এর মত ড্রোন ২০,০০০৳ নিচে কেনা যাবে।
আপনি যখন উচ্চতা ধরে রাখা এবং বাধা এড়ানোর মতো বৈশিষ্ট্যগুলিকে ত্যাগ করতে পারেন, এই ড্রোনগুলির মধ্যে অনেকগুলি HD ক্যামেরা, ওয়ান-টাচ টেকঅফ এবং ল্যান্ডিং সহ সজ্জিত এবং এমনকি আমাকে মোড অনুসরণ করে, নতুনদের জন্য এগুলিকে দুর্দান্ত করে তোলে৷
বাচ্চাদের খেলনা ড্রোনগুলি শিশুদের প্রযুক্তির সাথে খেলার এবং তাদের চারপাশের বিশ্ব সম্পর্কে তাদের বোঝার বিকাশের একটি মজার উপায় হিসাবে ক্রমশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
ড্রোনের ধরন, অন্তর্ভুক্ত বৈশিষ্ট্য এবং ব্র্যান্ডের উপর নির্ভর করে এই ড্রোনগুলির দাম ব্যাপকভাবে পরিবর্তিত হতে পারে।
সাধারণত, খেলনা ড্রোনগুলির দাম ২০০০৳ থেকে ২৫০০০৳ পর্যন্ত হতে পারে, যে ড্রোনগুলির ক্যামেরার ক্ষমতা সাধারণত সেই দামের সীমার মাঝামাঝি সীমার মধ্যে পড়ে৷ উপরন্তু, আরও ব্যয়বহুল মডেলগুলি সাধারণত দীর্ঘ ব্যাটারি লাইফ, GPS নেভিগেশন এবং আরও ভাল পরিসরের মতো আরও ভাল বৈশিষ্ট্যগুলির সাথে আসে।
আপনি যদি বাংলাদেশে একটি পেশাদার ড্রোন ক্যামেরা খুঁজছেন, আপনি সম্ভবত দামের বিস্তৃত পরিসর খুঁজে পাবেন। সাধারণভাবে বলতে গেলে, বাংলাদেশে একটি পেশাদার ড্রোন ক্যামেরার দাম একটি মৌলিক ড্রোন ক্যামেরার চেয়ে বেশি।
ঠিক দাম নির্ভর করবে ড্রোন ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য, স্পেসিফিকেশন এবং ব্র্যান্ডের উপর। সাধারণভাবে, আপনি বাংলাদেশে পেশাদার ড্রোন ক্যামেরার জন্য ৭৫,০০০ থেকে ২,০০,০০০ টাকা বা তার বেশি দামে বিক্রয় হচ্ছে।
সাধারণত, আপনি একটি ড্রোন ক্যামেরা মোবাইলের জন্য ১০,০০০ থেকে ১,০০,০০০ এর বেশি টাকা খরচ করা লাগে। অ্যামাজন ইন্দিয়ায় বাজেট মডেলগুলি $100-এর মতো কম দামে পাওয়া যায়, যেখানে উন্নত বৈশিষ্ট্য সহ উচ্চ-সম্পন্ন মডেলগুলির দাম $1000-এর উপরে হতে পারে৷
আপনি যদি সেরা ড্রোন ক্যামেরা মোবাইল চান, তাহলে আপনার একটি স্থিতিশীল জিম্বাল এবং জিপিএস নেভিগেশন সহ একটি HD মডেলের জন্য কমপক্ষে ৪০,০০০-৫০,০০০ টাকা বাজেট রাখতে হবে।
’ড্রোন নিবন্ধন ও উড্ডয়ন নীতিমালা ২০২০’ এর মাধ্যমে ড্রোন ক্যামেরা বা ড্রোনের ব্যবাহার নির্দিষ্ট করেছে বাংলাদেশে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।
বাংলাদেশের অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ ও আজকের ডিলে কিছু ছোট খেলনা ড্রোন পাওয়া যায়। এছাড়া মাল্টিপ্লান, ঢাকার স্টেডিয়াম মার্কেট,সোনারগাঁও রোডে ইস্টার্ন প্লাজা, বসুন্ধরা সিটি ও আইডিবি ভবনে পেশাদার ড্রোন কিনতে পাওয়া যায়।
ড্রোন ক্যামেরাগুলি ব্যয়বহুল হতে পারে এবং বৈশিষ্ট্য এবং ক্ষমতার উপর নির্ভর করে কয়েকশ থেকে কয়েক হাজার ডলার পর্যন্ত হতে পারে। আপনি মূল্যের জন্য কী পাচ্ছেন তা গবেষণা করা এবং বোঝা গুরুত্বপূর্ণ এবং
আপনি যদি নিজের ড্রোন ক্যামেরা কেনার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ না হন তবে ভাড়ার বিকল্পগুলি বিবেচনা করুন। শেষ পর্যন্ত, উচ্চ মানের এবং অনন্য দৃষ্টিভঙ্গি ক্যাপচার করার জন্য একটি ড্রোন ক্যামেরার মূল্য মূল্যবান যা আপনি অন্যথায় পেতে সক্ষম হবেন না।
ফটোগ্রাফি এবং ভিডিওগ্রাফি: ড্রোন আপনাকে এমন দৃষ্টিকোণ থেকে ফটো এবং ভিডিও তুলতে দেয় যা আপনি অন্যথায় অর্জন করতে পারবেন না। তাদের প্রায়শই "আকাশের ফটোগ্রাফার" বলা হয় কারণ তারা আপনাকে বিশ্বকে একটি নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখতে দেয়। আপনি যদি একজন ফটোগ্রাফার বা ভিডিওগ্রাফার হন তবে ড্রোন একটি দুর্দান্ত হাতিয়ার হতে পারে আপনার দক্ষতা আপগ্রেড করতে।
বিনোদন: ড্রোন দিয়ে উড়তে অনেক মজা। আপনি তাদের রেস করতে, অ্যাক্রোব্যাটিক্স করতে বা এমনকি গেম খেলতেও ব্যবহার করতে পারেন।
ব্যবসা: বিভিন্ন ধরণের ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, রিয়েল এস্টেট এজেন্ট সম্ভাব্য ক্রেতাদের দেখানোর জন্য তাদের সম্পত্তির আকাশের ছবি তোলার জন্য ড্রোন ব্যবহার করতে পারেন। কৃষকরা তাদের ফসল পরিদর্শন করতে এবং সমস্যাগুলি সনাক্ত করতে ড্রোন ব্যবহার করতে পারেন। এবং পরিদর্শনকারীরা কাঠামোগত ক্ষতির জন্য সেতু এবং টাওয়ারগুলি পরিদর্শন করতে ড্রোন ব্যবহার করতে পারেন।
পরিদর্শন: দুর্গম এলাকাগুলির পরিদর্শন করার জন্য একটি দুর্দান্ত উপায় হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সেগুলি বিদ্যুৎ লাইন, পাইপলাইন এবং সেতু পরিদর্শন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি সম্ভাব্য সমস্যাগুলি সনাক্ত করতে এবং ব্যয়বহুল মেরামতের প্রয়োজনীয়তা এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
ডেলিভারি: পণ্য সরবরাহ করার জন্য একটি নতুন এবং উদ্ভাবনী উপায় হতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, সেগুলি দূরবর্তী এলাকায় ওষুধ বা অন্যান্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র সরবরাহ করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এগুলি দ্রুত এবং দক্ষতার সাথে পণ্য সরবরাহ করতেও ব্যবহার করা যেতে পারে, বিশেষ করে যানজট বা অন্যান্য বাধার ক্ষেত্রে।
ব্যবহারের উদ্দেশ্য:
বাজেট:
নিয়মকানুন:
কারিগরি বিষয়াবলী:
ব্র্যান্ড এবং রিভিউ:
বিক্রেতা:
FAQ
উত্তর: আকাশে সিনেমাটোগ্রাফির জন্য ড্রোন ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
উত্তর: সহজ এবং দ্রুত বাস্তবায়ন : মাত্র কয়েক মিনিট সময় লাগবে উড্ডয়নের জন্য। বিবর্তনের গতি প্রায় ৫০ কিলোমিটার/ঘন্টা।
উত্তর: যতটা সম্ভব, আপনার ড্রোন ফ্লাইটগুলিকে জনসাধারণের স্থান বা আপনার নিজস্ব সম্পত্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখুন। আপনার প্রতিবেশীদের জমির উপর দিয়ে উড়ে যাওয়ার আগে তাদের কাছ থেকে অনুমতি নিন
উত্তর: ড্রোন ফটোগ্রাফির মাধ্যমে এমন ছবি এবং অডিও/ভিডিও ধারণ করা সম্ভব যা অন্যথায় মানব ফটোগ্রাফার এবং ভিডিওগ্রাফারদের পক্ষে সম্ভব নাও হতে পারে ।
উপসংহার
ড্রোন ক্যামেরা এখন শুধু ফটোগ্রাফি বা ভিডিওগ্রাফির একটি টুল নয়—এটি হয়ে উঠেছে প্রযুক্তি, বিনোদন এবং পেশাদার ব্যবহারের এক অনন্য সমন্বয়। আপনার প্রয়োজন, বাজেট এবং দক্ষতা অনুযায়ী সঠিক ড্রোন ক্যামেরা বেছে নেওয়াটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বাজারে রয়েছে বিভিন্ন রেঞ্জের ড্রোন, তাই সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে একটু গবেষণা করা এবং নিয়মনীতি জানা খুবই জরুরি।
