অধিক জনসংখ্যার কারণে উন্নয়ন ও জীবনমান ব্যাহত হয়, আর এর সাথে বাড়ে বেকারত্ব । ফ্রিল্যান্সিং বর্তমানে তরুন সমাজের জন্য আর্শিবাদ হয়ে এসেছে।
কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তিতে অভিজ্ঞ ব্যক্তিগণ এখন অনলাইন মার্কেটপ্লেসে নিজের পছন্দ অনুযায়ি কাজ গুলো খুজে নিচ্ছে।
বর্তমানে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিকাশের ফলে নতুন নতুন ধরনের পেশা ও সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষ করে আউটসোসিং এর মাধ্যমে অনেক শিক্ষিত তরুনের কর্মসংস্থান হচ্ছে।
বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক ফ্রিল্যান্সিং কোর্স রয়েছে। এসব কোর্স করার জন্য সরকারি ও বে-সরকারি অনেক প্রতিষ্ঠান ও রয়েছে। তবে তৃণমূল বেকার মানুষদের এই মুক্ত পেশায় উৎসাহিত করতে বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন্য কর্মকাণ্ডের মধ্যে বিনামুল্যে ফ্রিলান্সিং ট্রেনিংগুলি অন্যতম।
অনেকে বিভিন্ন ট্রেইনিং সেন্টার থেকে কোর্স করেন। তবে এই কন্টেটে বাংলাদেশের সেরা সরকারি আইটি ট্রেইনিং সেন্টার সর্ম্পকে আলোচনা করব যেখানে সরকারি ভাবে ট্রেইনিং করানো হয় এবং ফ্রি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। কিছু ট্রেইনিং সেন্টারে টাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে অর্থাৎ বৃত্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে ।
বর্তমানে Govt. বাংলাদেশের আইসিটি সেক্টরে প্রচুর বিনিয়োগ করা হচ্ছে তাই এখন কোনো খরচ ছাড়াই আনুষ্ঠানিকভাবে ফ্রিল্যান্সিং শেখার অনেক বিনামূল্যের সুযোগ রয়েছে। স্কীল ফর এমপ্লয়মেন্ট ইনভেস্টমেন্ট প্রোগ্রাম (SEIP) অর্থ মন্ত্রণালয়ের ফাইন্যান্স ডিভিশনের প্রকল্পটি একটি প্রকল্পে সূচনা করেছে যার লক্ষ্য একটি প্রতিক্রিয়াশীল দক্ষতা বৃদ্ধি করা।
2022 সালের বর্তমান সরকারের বিনামূল্যের প্রশিক্ষণ কোর্সের মধ্যে রয়েছে এসইও মার্কেটিং, গ্রাফিক্স ডিজাইন, ইমেল মার্কেটিং, ওয়েবসাইট ডিজাইন, ওয়ার্ডপ্রেস ডিজাইন ও ডেভেলপমেন্ট এবং আরও কিছু কোর্স।
তবে, জনপ্রিয়তার দিক থেকে চিন্তা করলে -
এছাড়াও প্রতিটি কোর্সে ফিলান্সিং মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে বিস্তারিত ধারনা দেয়া হয়। মার্কেটপ্লেস যেমনঃ fiverr.com, upwork.com, freelancer.com এবং peoplesperhour.com ইত্যাদি।
এর মধ্যে সেরা যেকোন একটি কোর্সে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারলেই আপনি আপনার ক্যারিয়ার গড়তে পারবেন। তাই প্রথমে সিদ্ধান্ত নিন কোন সরকারী ফ্রিল্যান্সিং কোর্সটি নেবেন, আপনি কোথায় আগ্রহী এবং কোনটি ভালো করতে চান তা ঠিক করুন।
সরকারের চলমান উপরোক্ত কোর্সগুলি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে নিতে পারেন এবং কোর্সের পরে 10,000/- বা এরকম কিছু বৃত্তির সুযোগ রয়েছে।
উদ্দীপন একটি এ সি আই পি এর একটি প্রজেক্ট। উদ্দীপনে ট্রেইনিং করার পরে উক্ত কোর্স এর সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় বাংলাদেশ ব্যাংক এর অধিনে। এখানে সম্পূর্ন ফ্রিতে সরকারী খরচে শিক্ষার্থিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে। উদ্দীপনে বিভিন্ন সেক্টরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে ।
তার মধ্যে এখানে যেসব আই টি কোর্স গুলো করানো হয়ঃ
উদ্দীপন এ সি আই পি এর আন্ডারে কাজ করে। এটি খুবই ভালো একটি প্রজেক্ট। এখানে খুবই দক্ষ প্রশিক্ষকদের দ্বারা প্রশিক্ষণ
দেওয়া হয় এবং আপনার কোর্স শেষে একটি সরকারী সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এখানে তিন মাস ও ছয় মাস মেয়াদের
কোর্স করানো হয়। এখানে দুইটি শিফটে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় তা হল সকাল দশ টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত এবং দুপুর দুইটা
থেকে বিকাল পাঁচটা পর্যন্ত।
এখানে প্রতি ব্যাচে ৫০ জন করে নেওয়া হয় ও জুলাই মাসে ও মার্চ মাসে সার্কুলার দেওয়া হয়। উদ্দীপনের কিছু কিছু ক্ষেত্রে
ফ্রিল্যান্সিং কীভাবে অ্যাকাউন্ট করবেণন কীভাবে আউটসোর্সিং করবেন এগুলো সম্পুর্ন শিখানো হয়। এছাড়া এখানে যারা
কোর্স করবে তাদের লোন নেওয়ার ব্যাবস্থা আছে।
এখানে বিদেশে যারা প্রবাশি তাদের জন্য একটি বিশেষ সেন্টার। এখানে মেয়েদের ঘরের কাজ শেখানো হয় এছাড়া ইলেক্ট্রনিক, ওয়েল্ডিং, ফার্নিচার মেকীং, হউজ কীপিং এছাড়া আই টি সেক্টরে কিছু কাজ শিখানো হয়।
শেখ কামাল আই টি ট্রেইনিং সেন্টার বালাদেশের একটি সনামধন্য প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশে প্রতিবছর ১০ হাজার এর বেশি ফ্রিল্যান্সার বা আউটসোর্সার তৈরিতে গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করছে। তবে এখানে শিক্ষার্থিকে কোন টাকা প্রদান করা হয়না।
এখানে সম্পুর্ন সরকারি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় এবং এখানে ৩ মাস ও ৬ মাসের কোর্স রয়েছে।
এটি অবস্থিত বিডিবিএল ভবন, ৩য় তলা পূর্বপাশে, ১২ কাওরান বাজার, ঢকা-১২১৫, যেগাযেগ: +৮৮ ০৯৬১২৩৪২৪৮৬।
যেসব কোর্স শিখানো হয়:
এ সকল কোর্স সম্পুর্ন ফ্রিতে করনো হয় এবং সরকারি সার্টিফিকেট প্রদান করা হয় তা ও বিনা খরচে।
এল ই ডি পি এর উদ্যোগে একদম সম্পুর্ন ফ্রিতে বাংলাদেশ সরকারের সহায়তায় ফ্রিল্যান্সিং বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়ে আপনিও
দক্ষ ফ্রিল্যান্সার হয়ে সরাসরি বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন অনলাইন মার্কেট প্লেস গুলোতে কাজ করে প্রচুর ইনকাম করতে
পারেন। তবে এল ই ডি পির অধিনে প্রশিক্ষন নেওয়ার জন্য প্রথমে আপনাকে এল ই ডি পির ওয়েব সাইটে গিয়ে আপনার
রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
এখানে আইটি সেক্টরে বর্তমানে যে তিনটি কোর্স শিখানো হয় এবং তার সবগুলোই অনলাইনের মাধ্যমে করতে হবে।
সেরা সরকার প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল (বিসিসি), সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের (জিওবি) অধীনস্থ একটি সংবিধিবদ্ধ সংস্থা। প্রধান কর্মকান্ড হল (এতে সীমাবদ্ধ নয়) ICT সংক্রান্ত কর্মকান্ডের জন্য উৎসাহ প্রদান ও সহায়তা প্রদান, জাতীয় ICT কৌশল ও নীতি প্রণয়ন, সরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয়তা অনুযায়ী ICT টুলের মান ও স্পেসিফিকেশন তৈরি করা, ICT সেক্টরে মানব সম্পদ উন্নয়নে কাজ করা।
আমাদের তরুন সমাজে যারা ফ্রিল্যান্সিং করে প্রচুর ইনকাম করতে চাই তবে উপরিউক্ত স্কীলগুলো তাদের জন্য খুবই সহায়ক।বর্তমান তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির বিশ্বে এখন সবকিছুই ডিজিটালাইজ। আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন এই কোভিড-19 এর সময়ে যখন হাজার হাজার কম্পানি থেকে লক্ষ লক্ষ কর্মী বসে রয়েছে তখন কোন ফ্রিল্যান্সারকে কীন্তু বসে থাকতে হয়নি। প্রথম এক দুমাস কম ইনকাম হলেও পরবর্তিতে তা ব্যাপকহারে বেড়ে গিয়েছে।
ফ্রিল্যান্সিং একটি মুক্ত পেশা। আমাদের তরুন সমাজে অনেকেই আছে যারা কিছু করতে চায় এবং অনেকেই এই ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে চায় কীন্তু সঠিক দিক নির্দেশনার অভাবে এই সেক্টরে এসে হতাশায় ভোগে এবং হাল ছেড়ে দেয়।ফ্রিল্যান্সিং সেক্টরে আসতে হলে উপরে আলোচনার যে কোন একটি বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তাই ঘরে অলস সময় না কাটিয়ে সময়কে সঠিকভাবে ব্যাবহার করুন।