মাস্টারকার্ড (MasterCard) কি বা কাকে বলে এর বিশিষ্ট সুবিধা ও অসুবিধা এবং কীভাবে করা যায় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ পড়ুন।
মাস্টার কার্ড যুক্তরাষ্ট্রের বহুজাতিক আর্থিক সার্ভিস কর্পোরেশন ।এর মাধ্যমে বিভিন্ন দেশের কারেন্সি ব্যবহার করতে পারবেন। এটি দিয়ে দেশে বসে অন্য দেশের পণ্য ই-কর্মাসের মাধ্যমে ক্রয় করতে পারবেন। পৃথিবীর যে কোনো প্রতিষ্ঠানের পন্য ক্রয় করে পেমেন্ট করতে পারবেন এই ব্যাংক কার্ডের মাধ্যমে।
মাস্টার কার্ড ইন্টারন্যাশনাল কর্পোরেশনের হেডকোয়ার্টার পারচেজ, নিউইয়র্কে এর সদর দপ্তর অবস্থিত।সারা পৃথীবি জুড়ে অসংখ্য মানুষ মাস্টার কার্ড ব্রান্ডের ক্রেডিট,ডেবিট এবং প্রিপেইড কার্ড ব্যবহার করে বিশ্বের যে কোনো প্রতিষ্ঠানের পণ্য ক্রয় করে পেমেন্ট করে। ২০০৬ সাল থেকে বিশ্ব জুড়ে মাস্টার কার্ড ওয়ার্ল্ডওয়াইড ব্যবসা করা কোম্পানি।
মাস্টারকার্ড হল দ্বিতীয় বৃহত্তম পেমেন্ট নেটওয়ার্ক, যা বিশ্বব্যাপী অর্থ আদান প্রদান, মানিবুথ থেকে টাকা তোলার কাজে ব্যবহার হয়। মাস্টারকার্ডের মতো পেমেন্ট নেটওয়ার্কের মধ্যে রয়েছে ভিসা, আমেরিকান এক্সপ্রেস, এবং ডিসকভার।
মাস্টারকার্ড-ব্র্যান্ডেড নেটওয়ার্ক পেমেন্ট কার্ড, যা সারা বিশ্বের সদস্য প্রতিষ্ঠানগুলির অংশীদার। অর্থাৎ, বিভিন্ন্য ব্যাংক যে মাস্টারকার্ড প্রদান করে সেটি মুলত Mastercard Inc এর মাধ্যমে করে থাকে।
মাস্টারকার্ড নিজেই একটি আর্থিক সেবামূলক ব্যবসা যা প্রাথমিকভাবে গ্রস ডলার ভলিউম ফি থেকে অর্থ আয় করে। লোগো সহ মাস্টারকার্ড সদস্য ব্যাংকগুলি জারি করে এবং ওপেন লুপ হিসাবে চিহ্নিত করা হয়। এর মানে হল যে কার্ডটি মাস্টারকার্ড ব্র্যান্ড গৃহীত যে কোনও জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
বাংলাদেশে দুই প্রকার মাস্টার কার্ড রয়েছে। যথা-বিভিন্ন ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড এবং ব্যাংকের মাস্টার কার্ড।
বাংলাদেশের প্রায় প্রত্যেকটি ব্যাংক আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড দেয়।ব্যাংকের মাধ্যমে মাস্টার কার্ড পেতে চাইলে কিছু শর্ত মেনে নিতে হবে।
যেমন-মাসিক ৫০ হাজার টাকার বেশি লেনদেন থাকতে হবে ব্যাংকের সাথে,আপনার অ্যাকাউন্টের বয়স ৬ মাস বা তার বেশি থাকতে হবে। অ্যাকাউন্টে অনেক বেশি টাকা জমা থাকতে হবে।
এসব সত্য পূরণ করে ব্যাংকের যে শাখায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলেছেন সেই শাখায় মাস্টার কার্ডের জন্য আবেদন করবেন।
আবেদন করার সময় টাকার পাশাপাশি অন্য কোন দেশের কারেন্সি ব্যবহার করতে চান তা উল্লেখ করতে হবে।আপনার আবেদন যদি গ্রহন হয় তাহলে কয়েকদিনের মধ্যেই আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড পাবেন।
এছাড়াও অনলাইনে সহজেই ভার্চুয়াল মাস্টার কার্ড পাওয়া যায়।অনলাইনে আন্তর্জাতিক মাস্টার কার্ড পেতে যা করনীয় তা হলো- বাসায় বসে কম সময়ে ইন্টারন্যাশনাল মাস্টার কার্ড অনলাইনে অর্ডার দিতে পারবেন।
এই প্রক্রিয়া টি ব্যাংকের মতো জটিল না । অনলাইনে আবেদন করার কিছু দিনের মধ্যে কার্ডের ভার্চুয়াল নাম্বার পাবেন।তবে অনলাইন মাস্টার কার্ডের হার্ড কপি বা প্লাস্টিক কপি পেতে কয়েকদিন সময় লাগে।
বাংলাদেশের প্রায় সব ব্যাংক মাস্টারকার্ডের সুবিধা দেয়। তবে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল, স্বাধীন মাস্টারকার্ড। এর মাধ্যমে আপনি ফেসবুক অ্যাড, গুগল অ্যাড ও অনলাইন থেকে কেনাকাটা করতে পারবেন।
এছাড়াওইসলামি ব্যাংক ডুয়েল কারেন্সির মাস্টারকার্ড, ডাচ বাংলা ব্যাংক মাস্টারকার্ড আন্তর্জাতিক ডেবিট কার্ড ইস্যু করেছে।
বিদেশি যে ব্যাংক গুলিতে আপনি মাস্টারকার্ড করতে পারবেন।
উপরে উল্লেখিত বর্ণনায় মাস্টার কার্ড কী ,কীভাবে পাবো ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এত সময়ে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।