ইন্টারনেট (internet) এবং ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব (WWW) শব্দ দুটি প্রায়ই একে অপরের সাথে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু তারা একে অপরের পরিপূরক তাবে ঠিক একই জিনিস নয়। ইন্টারনেট বলতে হার্ডওয়্যার এবং অবকাঠামো সহ বিশ্বব্যাপী যোগাযোগ ব্যবস্থাকে বোঝায়। ওয়েব হল ইন্টারনেটের মাধ্যমে যোগাযোগ করা সার্ভিসগুলোর মধ্যে একটি।
এই টিউটোরিয়ালে, আমি ইন্টারনেট এবং এটি কীভাবে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে আপনাকে কিছু প্রাথমিক প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার চেষ্টা করব।
আশাকরি এই আর্টিকেলটি পড়ার পরে আপনার- ইন্টারনেট কী ও কীভাবে কাজ করে, কীভাবে ইন্টারনেটের সাথে সংযোগ করতে হয় এবং কীভাবে ওয়েব ব্রাউজ করতে হয় সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা হবে।
ইন্টারনেট হলো বিশ্বজুড়ে ব্যাপ্ত অসংখ্য কম্পিউটার নেট্ওয়ার্কের (network) সমন্বয়ে গঠিত একটি বৃহৎ নেটওয়ার্ক ব্যাবস্থা। ইন্টানেটকে নেটওয়ার্কের নেটওয়ার্ক বা ইন্টার-নেটওয়ার্ক ও বলা হয়।
ইন্টারনেট একটি অবকাঠামো। যা তারের মাধ্যমে একটি কম্পিউটারকে অন্য একটি কম্পিউটারের সাথে সংযুক্ত করে। ফলে একটি থেকে অন্য একটিতে ডাটা (টেক্সট, ছবি, ভিডিও ইত্যাদি) পাঠানো সম্ভব হয়।
এখানে,
ইন্টারনেট সাধারনত দুই বা ততোধিক কম্পিউটারের মধ্যে অন্তঃসংযোগ (Inter connection) ব্যাবস্থা। ফলে সহজেই কম্পিউটার সমুহ সহজেই একে অপরের সাথে যোগাযোগ ও তথ্য বিনিময় এবং বিসোর্স শেয়ার করতে পারে। কম্পিউটার নেটওয়ার্ক সমগ্র বিশ্বে জালের মতো ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।
আমাদের নিত্য ব্যবহার্য মোবাইলফোন ডিভাইস টি যদি এই কম্পিউটার নেটওয়ার্ক বা ইন্টারনেটের সাথে সংযুক্ত থাকে, তাহলে আইপি বা ইন্টারনেট প্রটোকলের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে সংযুক্ত থাকা অন্য কম্পিউটারের সাথে আমারা ডেটা আদান প্রদান করতে পারি।
এছাড়া ইন্টারনেট বলতে আরো বুঝায় –তথ্যের বিশাল ভান্ডার। ইন্টারনেটে যুক্ত হয়ে কাঙ্খিত তথ্যের নাম লিখে সার্চ করলেই অসংখ্য সার্ভারে থাকা তথ্য প্রদর্শিত হয়।
ইন্টারনেট আবিস্কৃত হয় ১৯৬৯ সালে একটা সময় ইন্টারনেটের নাম ছিল আরপানেট (ARPANET) যা ১৯৬৯ সালের ১৪ই জানুয়ারি ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় লস এঞ্জেলেস এবং স্ট্যানফোর্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর মধ্যে প্রথম নেটওয়ার্ক যোগাযোগ স্থাপিত হয়।
ইন্টারনেট আবিষ্কার কিন্তু একদিনে হয়নি, বা কেউ একক প্রচেষ্টায় তৈরি করে নি। বরং ধাপে ধাপে ও অনেকের এর গবেষণার ফল আজকের ইন্টারনেট টেকনোলজি।
ইন্টারনেট এর সমৃদ্ধির পিছনে গুরুত্বপূর্ণ আবিষ্কার সমুহঃ
এর পর থেকে ইন্টারনেট নির্ভর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তির ব্যাপক প্রসারের ফলে বর্তমানে সমগ্র পৃথিবী গ্লোবাল পরিনত হয়েছে। কানাডিয়ান দার্শনিক ও লেখক হারবার্ট মার্শাল ম্যাকলুহান তিনি হলেন প্রথম ব্যাক্তি যিনি বিশ্বগ্রাম বা গ্লোবাল ভিলেজ শব্দটিকে সকলের সামনে তুলে ধরেন।
গ্লোবাল ভিলেজ হল- তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি নির্ভর এমন একটি পরিবেশ যেখানে দুরবর্তি স্থানে অবস্থান করেও পৃথিবীর সকল মানুয় একটি একক পরিবারের সুবিধা গ্রহন করে।আর এই বিশ্বগ্রাম প্রতিষ্ঠায় ইন্টারনেট বা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক প্রধান ভুমিকা পালন করে।
ইন্টারনেটকে আমরা অন্য ভাবে বলতে পারি এটি হচ্ছে ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক। আপনার আশেপাশে থাকা কয়েকটি কম্পিউটারের মধ্যে কোন অন্তঃসংযোগ সৃষ্টি করা হয় তখন তাকে লোকাল এরিয়া নেটওয়ার্ক বা (ল্যান) বলা হয়। আর ওয়াইড এরিয়া নেটওয়ার্ক হচ্ছে কতগুলো ল্যান নেটওয়ার্কের সমষ্টি যা সারা বিশ্বে ফাইবার অপটিক ক্যাবলের মাধ্যমে বিস্তৃত,আর একেই বলা হয় ইন্টারনেট।
সর্বপ্রথম ইন্টারনেট আবিস্কার হয় ১৯৬৯ সালে। বাংলাদেশে সর্বপ্রথম কম্পিউটার ব্যাবহার করা হয় ১৯৬৪ সালে( ওইগ ১৬২০) মেইনফ্রেম কম্পিউটার। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যাবহার শুরু হয় ১৯৯৩ সাল থেকে। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে অন্তঃমহাদেশিয় ফাইবার অপটিক কমিউনিকেশনের সাথে বাংলাদেশ সংযুক্ত হয় ২০০৬ সালের মে মাসে।
১৬ টি দেশ নিয়ে ঝঊঅ-গঊ-ডঊ-ডঊ৪ প্রযেক্টের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ এই সংযোগ পায় এবং বঙ্গপসাগরের নিচ দিয়ে বিস্তৃত এই ক্যাবলের ল্যান্ডিং স্টেশন তৈরি করা হয় কক্সবাজার শহরে। সেখান থেকে সাবমেরিন ক্যাবলের মাধ্যমে প্রাপ্ত হাই স্পিড ইন্টারনেট সারা দেশে ছরিয়ে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
২০০৮ সালের সাবমেরিন ক্যাবল প্রজেক্টের বাংলাদেশের অংশের দায়িত্ব অর্পিত হয় বাংলাদেশ সাবমেরিন ক্যাবল কম্পানি লিমিটেড-এর উপর। সহকারী টেলিকমিউনিকেশন বোর্ডের অধিন এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে অপটিক ফাইবারের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ইন্টারনেট গেটওয়ের দ্বারা বাংলাদেশের ইন্টারনেটের সকল তথ্য বন্টন এবং ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথকে নিয়ন্ত্রন করে থাকে।
বাংলাদেশের সংযুক্ত এই সাবমেরিন ক্যাবল কানেকশন সাবমেরিন ক্যাবল ১ নামে পরিচিত। বর্তমানে বাংলাদেশের জন্য আর্ন্তজাতিক ব্যান্ডউথ সীমা ২৪ গিগাবাইট।
আমাদের সকলের ধারনা- ইন্টারনেট হয় তো মহাকাশে থাকা স্যাটেলাইটের সাহায্যে আমারা ইন্টারটে সেবা পেয়ে থাকি। কিন্তু ইন্টারনেটের কর্যক্রম ৯৯ শতাংশ হয়ে থাকে ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে হয়ে থাকে আর স্যাটেলাইট সামান্য পরিমানেই ইন্টারনেট স্বেবা দিয়ে থাকে।
হয়তো আপনি ভাবতে পারেন আমি যে স্মার্টফোন থেকে ইন্টারনেট ব্রাউজ করি সেটাতো তারের সংযোগ ছাড়াই। তবে আপনার মোবাইলের সিম কার্ডের যে নেটওয়ার্ক অপারেট করে থাকে সেই বেজ স্টেশন বা টাওয়ার থেকে শুরু করে আপনি যে ওয়েব সাইটে ভিজিট করছেন তার সার্ভার পর্যন্ত অপটিক্যাল ফাইবার ব্যাবহার করা হয়।
সার্ভার হল একটি কম্পিউটার প্রগ্রাম যা চলছে অন্যান্য প্রোগ্রামের (ভোক্তা,ক্লায়েন্ট,ব্যবাহারকারী) কর্তৃক অনুরোধ সেবা দেওয়ার জন্য। তাই সার্ভার ভোক্তার হয়ে কিছু কাজ করে। এটি ভোক্তাকে ডাটা, তথ্য,সফটওয়্যার বা হার্ডওয়্যারের সম্পদ ভাগাভাগি করার সুবিধা দিয়ে থাকে।
বিশ্বের বিভিন্ন কম্পানি অপটিক ফাইবার ক্যাবল গুলো নিয়ে আসে। এর পরে ঐ দেশের বিভিন্ন সিমকার্ড কম্পানি গুলো যেমন- গ্রামীনফোন, বাংলালিংক ,রবি ইত্যাদি সিম কম্পানি গুলো এই সাবমেরিন কম্পানির কাছ থেকে ইন্টারনেট সংযোগ নিয়ে থাকে।
এই ক্যাবলগুলো সরু কাচ তন্তুর দ্বারা তৈরী যার দ্বারা ডিজিটাল সিগল্যালকে আলোক সংকেতে রুপান্তরিত করে দ্রুতগতিতে ডেটা আদান প্রদান করতে পারে।
বিভিন্ন দেশে নানা কম্পানি রয়েছে যারা এক দেশ হতে অন্য দেশে ক্যাবল বিছিয়ে সমগ্র বিশ্বকে সংযুক্ত করেছে। বাংলাদেশে ইন্টারনেটের ব্যাবহার শুরু হয় ১৯৯৩ সালে।
যেখানে ফাইবার ক্যাবলের মাধ্যমে ইন্টারনেটের ব্যাবহার সম্ভব নয় সেখানে স্যাটেলাইট ট্রান্সমিশন ব্যাবহার করা হয়। এ ক্ষেত্রে পৃথিবী থেকে ভিস্যাটের মাধ্যমে স্যাটেলাইটে সিগন্যাল পাঠানো হয়। স্যাটেলাইট সিগনালকে রিসিভ করে সেটিকে আবার নতুন করে পৃথিবীর নিদৃষ্ট গন্তব্যে পাঠিয়ে দেয়।
নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কর্ড: নেটওয়ার্ক ইন্টারফেস কার্ড/ল্যান কার্ড/নেটওয়ার্ক এডাপ্টার হল একটি প্লাগইন কার্ড যা কম্পিউটারকে নেটওয়ার্কভুক্ত করে। নেটওয়ার্ক এর সাথে যুক্ত এক ডিভাইস থেকে অন্য ডিভাইসে ডেটা পাঠানোর জন্য ল্যানকার্ডেও প্রয়োজন হয়।
বর্তমানে বাজারে পাওয়া যায় এমন সব কম্পিউটারে বা ল্যাপটপ বা আইসিটি যন্ত্রের মাদারবোর্ডের সাথেই নিক বা ল্যানকার্ড সংযুক্ত অবস্থায় থাকে। প্রযুক্তির উন্নয়নে বর্তমানে তারবিহীন ল্যানকার্ড পাওয়া যায়।
নেটওয়ার্কীং এ তথ্যবলি আদান প্রদানের ক্ষেত্রে মডেম গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করে থাকে। যখন কম্পিউটার থেকে ইনফরমেশন মডেমে যায় তখন এটি ইনফরমেশনকে ডিজিটাল বিট হতে এনালগ সিগন্যালে রুপান্তরিত করে।
আর যখন রুপান্তরিত এনালগ সিগন্যাল অপর প্রান্তে যুক্ত মডেমে পৌছায় তখন তা কম্পিউটারের বোধগম্য ডিজিটাল বিটে রুপান্তরিত করে। এভাবে দুটি কম্পিউটারের মধ্যে মডেমের মাধ্যমে কমিউনিকেশন বা যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। মডেম আবার দুই প্রকার। যথা-
ইন্টারনাল মডেম মুলত একটি কার্ড বিশেষ। এই কার্ড পিসির মাদারবোর্ডে এক্সপানশান ¯øটে লাগানো থাকে।
এক্সটারনাল মডেম:যে মডেম তারের সাহায্যে অথবা তারবীহিনভাবে কম্পিটারের বাইওে থেকে কাজ করে তাকে এক্সটারনাল মডেম বলে।
মডেম, টেলিফোন লাইন,কোএক্সিয়াল ক্যাবল,ফাইবার অপটিক ইত্যাদির মাধ্যমে ডেটা আদানপ্রদান করে।কোন কম্পিউটার হতে আগত তথ্যকে মডেম ডিজিটাল বিট হতে অ্যানালগ সিগনালে রুপান্তরিত করে। এই প্রক্রিয়াকে মডুলেশন বলে। আবার অ্যানালগ সিগনালকে ডিজিটাল সিগন্যালে রুপান্তর করার কাজকে ডিমুলেশন বলে। সিগন্যালকে মডুলেশন ও ডিমুলেশন করাই মডেমের কাজ। প্রক্রিয়াটি নিচে চিত্রের সাহায্যে বুঝানো হল:
হাব হল নেটওয়ার্কের ডিভাইসসমুহের জন্য একটি সাধারন কানেকশন পয়েন্ট। ল্যানের সেগমেন্টগুলো কানেক্ট করার জন্য সাধারনভাবে হাব ব্যবহার করা হয়। হাবের মধ্যে অনেকগুলো পয়েন্ট থাকে। ডেটা প্যাকেট একটি পোর্টে আসলে এটি অন্য পোর্টে কপি হয়। যাতে ল্যানের সব সেগমেন্ট এর প্যাকেটসমুহ দেখতে পারে।
একধরনের নেটওয়ার্ক কানেক্টেভিটি ডিভাইস যা মিডিয়া সেগমেন্টগুলোকে একটি কেন্দ্রীয় অবস্থানে এনে একত্রিত করে। হাবের সাথে সুইচের পাথর্ক্য হল সুইচ প্রেরক প্রান্ত থেকে প্রাপ্ত ডেটা প্রাপক কম্পিউটারের সুনির্দষ্ট পোর্টটিতে পাঠিয়ে দেয়।
এটি একটি বুদ্ধিমান ইন্টারনেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি ডিভাইস যা লজিক্যাল ও ফিজিক্যাল অ্যাড্রেস ব্যবহার করে দুই বা ততোধিক নেটওয়ার্ক সেগমেন্টের মধ্যে ডেটা আদান প্রদানের ব্যবাস্থা করে।
গেটওয়ে একটি নেটওয়ার্ককে আরেকটি নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত করে। এটি একটি নেটওয়ার্ক কানেক্টেভিটি ডিভাইস যা বিভিন্ন কমিউনিকেশন প্রোটোকল ট্রান্সলেট করে। অর্থৎ এক প্রোটকলকে অন্য আরেক ধরনের প্রোটকলের সাথে সংযুক্ত করে।
কম্পিউটার নেটওয়ার্কে ক্যাবলের মাধ্যমে যুক্ত কম্পিউটারটি যদি দুরে থাকে তাহলে এর মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত ডেটাসিগন্যাল দুর্বল হয়ে পরে। এই দুর্বল সংকেত কে আবার সবল করতে এবং গন্তব্য স্থানে প্রেরনের জন্য রিপিটার ব্যবহার করা হয়।
ইন্টারনেট ব্যাবহার বা ইন্টারনেট ব্র্রাউজ করতে আমাদের সাধারনত চরটি উপাদান ব্যাবহার করা হয়।
১. হার্ডওয়্যার: বিভিন্ন ইলেকট্রনিক ডিভাইস,যেমন-কম্পিউটার,স্মার্টফোন,ইত্যাদি।
২. সফওয়্যার: আমরা ইন্টারনেটের মধ্যে দিয়ে নিদৃষ্ট তথ্যকে খুজে বের করার জন্য তথ্যের নাম লিখে সার্চ কারার প্রয়োজন হয়। আর এই সার্চ মেশিনকেই ব্রাউজিং সফওয়্যার বলা হয়।
কয়েকটি জনপ্রিয় ব্রাউজিং সফটওয়্যার হচ্ছে - গুগলক্রোমি,মর্জিলা ফায়ারবক্স,অপেরা মিনি,ইত্যাদি। এসব যেকোন ব্রাউজিং সফওয়্যার ব্যাবহার করে নিদৃষ্ট তথ্য ওয়েব থেকে সংগ্রহ করা যায়।
৩. ইন্টারনেট সংযুক্ততা বা কানেকটিভিটি: ইন্টারনেট ব্যাবহারের পূর্বশর্ত হল রিসোর্স শেয়ার করার ইন্টারনেট সংযুক্ততাব বা কানেকটিভিটি যার মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও উপাত্ত ব্যাবহার করার নিকট পৌছে। তাই তথ্য সংগ্রহ করার জন্য ইন্টারনেট কানেকশন দেওয়া খুবই জরুরি।
৪.ডেটা: ডেটা হচ্ছে ফ্যাক্ট বা আইটেম যা এলোমেলোভাবে ছরিয়ে ছিটিয়ে থাকে। ইন্টারনেটে বিভিন্ন তথ্য যা ডেটা থেকে কম্পিউটারের মাধ্যমে প্রক্রিয়াকরন করা যায়। ইন্টানেটে ডেটা বা তথ্যকে মানুষ তার প্রয়োজনে একে অপরের সাথে বিনামুল্যে বা অর্থের বিনিময়ে শেয়ার করতে পারে।
পরিশেষে, বর্তমান বিশ্ব তথ্য প্রযুক্তিনির্ভর এক আধুনিক বিশ্বে পরিনত হয়েছে। উন্নত দেশের সমাজ ব্যাবস্থায় তথ্যপ্রযুক্তি ও ইন্টারনেটের ব্যাবহার এক অভাবনীয় পরিবর্তন এনেছে। কার্য সম্পাদনের দ্রুততা,বিশ্বস্ততা,তথ্য সংরক্ষন ক্ষমতা ও সর্বপরি নির্ভরযোগ্যতার মতো গুরুত্বপূর্ন বৈশিষ্টের কারণে ইন্টারনেটের প্রয়োগক্ষেত্র ক্রমশ বিস্তৃত হচ্ছে।