সফট স্কিল হিসেবে পরিচিত ব্যক্তিগত গুণাবলী এবং আচরণ আপনাকে আরও ভালো কর্মী করে তোলে। সফ্ট স্কিল হল মানুষের, সামাজিক এবং যোগাযোগের দক্ষতা, চরিত্রের বৈশিষ্ট্য, মনোভাব এবং মানসিক বৈশিষ্ট্যগুলির সমন্বয়, যা প্রতিটি চাকরির ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ।
চাকরি করার ক্ষেত্রে কিছু কাজ নিয়মিত করা হয়। যার অধীনে চাকরি করতে হয় তার আদেশ মতো কাজ গুলো সম্পন্ন করতে হয়। চাকরি বলতে বোঝায় কোনো ব্যাক্তি কোন পেশার মাধ্যমে আয় রোজগার করে, কিভাবে টাকা ইনকাম করে থাকে এবং তার জীবন ধারণের স্টাইল কেমন।
চাকরি হলো কারো অধীনে তার নির্দেশিত কাজ করে অর্থ ইনকাম করা।কিন্তু চাকরি পেতে হলে আপনাকে শিক্ষা অর্জন করা লাগবে এবং বিভিন্ন বিষয়ে দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও অর্জন করা লাগবে। চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সফট স্কিল সম্পর্কে জানার আগে আপনাকে জানতে হবে হার্ড স্কিল ও সফট স্কিলের গুরুত্ব কি। আজকের আর্টিকেলে আপনাদের চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সফট স্কিল সম্পর্কে সাম্যক ধারণা প্রদান করার চেষ্টা করব।
আপনি যখন কোন চাকরির পরিক্ষা বা ইন্টরভিউ দিচ্ছেন অথবা কোন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করছেন তখন দুইটি স্কিল খুবই গুরূত্বপূর্ণ। একটি হচ্ছে হার্ড স্কিল অন্যটি হচ্ছে সফট স্কিল।
হার্ড স্কিল হলো পেশার একটি দক্ষতা যেটা পরিমাপ করা যায়। যেমন আপনি একজন গ্রাফিক্স ডিজাইনার হন তাহলে বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে ডিজাইন করাটা হলো আপনার হার্ড স্কিল।
সফট স্কিল হলো আপনি কাজটা করতে গিয়ে কতটা সৃজনশীল ভাবে করতে পরেছেন, একটি দলে থেকে কিভাবে দলবদ্ধ ভাবে কাজটি করেছেন বা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন, আপনার কাজ সম্পর্কে ক্লায়েন্ট বা বসকে কতোটা বুঝাতে সক্ষম হচ্ছেন ইত্যাদিকে বুঝায়।
বর্তমান সময়ে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানে হার্ড স্কিল থেকে সফট স্কিলে বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক গুরুত্বপূর্ণ কিছু সফট স্কিল সম্পর্কে।
কমিউনিকেশন স্কিল বলেতে যার সাথে কথা বলা হবে তার কথা বলার ধরন বা ভঙ্গিমার সাথে মিলিয়ে নিয়ে কোন কিছু বোঝাতে পারার সক্ষমতাকে বুঝায়।
অর্থাৎ, যেকোন বিষয় যেকোন ব্যাক্তির কাছে সক্ষম ভাবে বুঝাতে পারা।
বিভিন্ন রকমের মানুষের সাথে আমাদের সম্পর্ক গড়তে আমাদের যে মাধ্যমের প্রয়োজন হয় তা হলো নেটওযার্কিং। নেটওয়ার্কিংয়ের মাধ্যমে দক্ষ ও সুফল মানুষদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করা যায়। এছাড়া চাকরি পওয়া, সাহায্য পাওয়া বা প্রদানতিক এ সব কিছু নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কারা যায় খুব সহজে।
আমরা যা মনে মনে ভাবি তা নিজের লেখার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলাটাই হলো রাইটিং স্কিল। লেখনিতে বানান কিংবা ব্যাকরণ সব ঠিক রেখে মনোরভাব সম্পূর্ণরূপে প্রকাশ করাটাই একটা বিশেষ দক্ষতা।
সঠিক উচ্চারণ ভঙ্গিতে শুদ্ধায়ন কথা বলা। কর্মক্ষেত্রে আপনি কথা বলার মাধ্যমে সকলের মন জয় করে নিতে পারবেন।
মনোযোগ দিয়ে শুনতে পারার দক্ষতা থাকলে কাজে অনেক সফলতা আসে। যেমন যে কোন বিষয়ে দ্রুত সারা দেওয়া যায়।এতে করে সকলের সাথে সু-সম্পর্ক বজায়ে রাখতে সহয়তা করবে।
কর্মক্ষেত্রে নিজের দয়িত্ব বাড়িয়ে দেয় তা হলো পেশাদারিত্ব। ব্যাক্তির পেশাদারিত্বের মাধ্যমে তার উপরে আস্থা রাখা যায় আর ঐ আস্থা ক্যারিয়ারে সফলতা নিশ্চিত করে। সময়মতো অফিসে উপস্থিত থাকা, সময়মতো কাজ করা, সঠিক স্থানে সঠিক পোশাক পড়া, নিজের কাজের ভুল নিজেই খুজে বের করা অন্যকে দোষা রোপ না করা এসব পেশাদারিত্বের মধ্যে পড়ে।
দলের সকলের সাথে মিলে মিশে কাজ করার মানসীকতা থাকতে হবে। সবাব কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা, নিজের মতামত ঠিক ভাবে দিতে পারা এবং দলনেতার নির্দেশনা মতো কাজ করা সব কিছু এর অন্তর্ভুক্ত।
অনেক ক্ষেত্রে বয়সসীমা অনুক্রম করার চাপ কিংবা নানা ধরণের প্রতিকূলতা মানিয়ে নেওয়ার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। তাহলেই আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
কঠিন সময়ে চিন্তা করে সহজ সমাধান বের করতে পারাটা অন্যতম দক্ষতা। আপনি আপনার ক্রিয়েটিভ চিন্তার মাধ্যমে কর্মক্ষেত্রে আনেক সফলতা অর্জন করতে পারবেন।
কোন কাজ দ্রুত শিখতে না পারলে কর্মক্ষেত্রে সফল হওয়া সম্ভব না। তাই যে কোন কাজ দ্রুত শিখার দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এতে আপনি আপনার জীবনে উন্নতি বয়ে আনতে পারবেন।
চাকরিতে আপনি সফলতার শিখরে উওীর্ণ হতে হলে উপরের বিষয়ের উপরে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। তবেই আপনি জীবনে উন্নতি করতে পারবেন।এত করে সফট স্কিল সম্পর্কে ধারণা রাখা চাকরি জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ।এত সময়ে সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।“খোদাহাফেজ”।