ভিডিও এডিটিং শিখতে চাচ্ছেন বা ইউটিউব ভিডিও এডিট নিজেই করতে চাচ্ছেন। কীন্তু কোন সফটওয়ার ব্যবহার করলে ভাল হবে?
এই প্রশ্নের উত্তর দেয়া মুশকীল, কেননা এক একটা ভিডিও এডিটিং টুলস এক এক রকম ফিচার ও কাজের জন্য বিখ্যাত। তাই আপনি কী ধরনের ভিডিও এড করতে চান, তার উপরে ভিত্তি করে সেরা সফটওয়্যার বাছাই করা ভাল।
যাইহোক, যে কোন প্রফেশনাল কাজের জন্য "অ্যাডোব প্রিমিয়ার প্রো" সবচেয়ে সেরা। তবে এটা ফ্রি সফটওয়্যার না। আবার "অ্যাপল ফাইনাল কাট প্রো" ব্যবহার করতে অ্যাপল এর ডিভাইস লাগবে।
তাই আমি আপনাদের সুবিধার্থে ১০ টি সেরা ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার যা কম্পিউটার ও ল্যাপটপ নিয়ে ব্যবহার করে পারবেন সেগুলি তুলে ধরেছি। আশাকরি, এই আর্টিকেলে কোন সফটওয়্যার ভাল হবে সে সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা দিতে পারব। চলুন তাহলে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
ভিডিও এডিটিং সফ্টওয়্যার হল কোনো সফ্টওয়্যার প্রোগ্রাম যা একটি ভিডিও বা মুভি ফাইল এডিট, কালর ও সাউন্ড পরিবর্তন ও পরিমার্জন, জেনারেট বা ম্যানিপুলেট করতে সক্ষম। একটি ভিডিও এডিটরের মাধ্যমে, আপনি ভিডিও কাটা, এড করা, কোন অংশ বাদ দিতে পারবেন।
তবে মজার ব্যপার হল, প্রফেশনাল ভিডিও এডিটিং টুলসগুলি এডভান্স ফিচার ও থাকতে পারে, যেমন টেক্সট এডিট, এনিমেশন ইত্যাদি।
প্রযুক্তি আবিষ্কারের ফলে মানুষ বেশি ঘর মুখো হয়ে পড়েছে।আর মুঠোফোনেই তৈরি করে নিয়েছে নিজেদের অন্য এক জগৎ। এই জগৎতের আরো সৌন্দর্য বাড়তে 3D At 4K অর 8K ভিডিও বেশি জনপ্রিয় সবার কাছে। ভিডিও সুন্দর করতে দরকার হয় এডিটিং সফটওয়্যারের।
আপনি যদি একজন ইউটিউবার হয়ে থাকেন, তাহলে মোবাইল বা কম্পিউটারে ভিডিও এডিটিং করতে হলে আপনার একটি ভালো সফটওয়্যার এর অবশ্যই প্রয়োজন। এ জন্য আপনাকে আগে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে ভালো ভাবে জানতে হবে।
আপনি ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে কিছুটা হলেও ধারণা পাবেন।আমি চেষ্টা করবো আপনাকে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানাতে।তবে এবার আপনাকে জেনে নিতে হবে বর্তমানের জনপ্রিয ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার কোনগুলো।
আপনি যদি মোবাইল ফোনে বা পিসিতে ভিডিও এডিটিং করতে চান তাহলে,আপনার জন্য লেখাটা অনেক হেল্পফুল হবে আপনার জন্য।তাহলে কোন কোন সফটওয়্যার দিযে কাজ শুরু করা উচিত তা নিয়ে আমি পর্যায়ক্রমে আলোচনা করব।
চলুন তাহলে ভিডিওি এডিটিং সফটওয়্যর ও এর সাথে অন্তরর্ভুক্ত অ্যাপ গুলোর সাথে পরিচিত হওয়া যাক।
ভিডিও এডির্টিং জন্য প্রথমেই থাকছে Adobe Premiere Pro এডিটরসফটওয়্যারটি।
Adobe Premiere Pro Advance lavel এর প্রফেসনালদের জন্য।আপনাকে এই এডিটিং অ্যপে কাজ করতে হবে সাহসের সাথে ভয় পেলে চলবে না।Adobe Premiere Pro এর মাধ্যমে এডিটের কাজ করা একটু কঠিন।তবে ভিডিও এডিটিং এর অন্যতম সফটওয়্যর হলো Adobe Premiere Pro.এই সফটওয়্যারের এর একটা ভালো দিক হলো এর সম্পর্কে আপনার ভালো ধারোনা থাকলে অন্য অ্যাপে আপনার কাজ করতে সহজ।এটা ম্যাক উইন্ডোজ এবং ইউজাররা ব্যবহার করতে পারবেন। এছাড়া আপনি ওয়েবসাইড থেকে এই ভিডিও সম্পর্কে ধারণা নিতে পারেন।
Adobe Premiere Pro এর কিছু এডিটিং মাধ্যম
আপনার কম্পিউটার যদি ডুয়েল কোরের হয আর আনার যদি ভিডিও এডিটিং এ শখ থাকে তাহলে আপনি Wondershare Femora সফটওয়্যাটি ব্যবহর করতে পারেন।এটার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন ধরনের ট্যাজ্ঞেশন ইফেক্ট ব্যবহর করতে পারবেন।
Wondershare Femora এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে আপনি ১৩০ মেগাবাইটের মধ্যে সুন্দর ভবে সম্পন্ন করতে পারবেন।আমি মনেকরি,সফটওয়্যারটির মাধ্যমে আপনার চাওয়া পাওয়া পূরন করা সম্ভব।এটা ম্যাক উইন্ডোজ এবং ইউজাররা ব্যবহার করতে পারবেন।
ফিলমোরা বিনামূল্যের ট্রায়াল ডাউনলোড অফার করে, যা আপনাকে শুধুমাত্র 10 বার ফুটেজ সেভ করতে দেয়।
Camtasia এমন একটি সফটওয়্যর যা আপনার ভিডিও এডিটিং এর মাত্রাকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে যাবে।আপনি যদি এর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান তাহলে আপনি খুব সুন্দর ভাবে Camtasia এর মাধ্যমে ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করতে পারেন।Camtasia এর মাধ্যমে সুন্দর ভাবে ভিডিও এডিট করতে পারবেন।এটা ম্যাক উইন্ডোজ এবং ইউজাররা ব্যবহার করতে পারবেন।
এটি সব জনপ্রিয় মিডিয়া ফরম্যাটে সমর্থন করে এবং ব্যবহার করা সহজ। TechSmith (Camtasia-এর নির্মাতা) এমনকী Android এবং iOS-এর জন্য একটি বিনামূল্যের মোবাইল অ্যাপ রয়েছে যা Camtasia-তে ব্যবহারের জন্য আপনার ডিভাইস থেকে মিডিয়া স্থানান্তর করা সহজ করে তোলে। এ
কবার আপনি সম্পাদনা শেষ করলে, আপনি প্রোগ্রামের মধ্যে থেকে আপনার ভিডিও ফাইলগুলিকে Youtube, Vimeo, Google Drive, এবং Screencast.com-এ রেন্ডার এবং শেয়ার করতে পারেন।
Sony Vegas এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে সুন্দর ভাবে ভিডিও এডিটিং এর সব কাজ করতে পারবেন।৪০০ মেগাবাইটের বিশেষ গুণ রয়ছে এই Sony Vegas সফটওয়্যারে।এর মাধ্যমে খুব সহজে ইউটিউবে ইন্টো তৈরি করতে পারবেন।
মনে করেন একটি গাছের মধ্যে আপনার ছবি ঝুলতেছে, পানির মধ্যে আপনার ছবি ভাসতেছে এমন সুন্দর ইফেক্ট দিয়ে আপনি Sony Vegas এর মাধ্যমে কাজ করতে পারেন।এটা ম্যাক উইন্ডোজ এবং ইউজাররা ব্যবহার করতে পারবেন।
ভিডিও এডিটিং
Openshot ভিডিও এডিটর দিয়ে আপনি খুব সহজে ভিডিও এডিটের কাজ করতে পারবেন। এটি মূলত প্রথম পর্যায়ে কাজ করার জন্য একটি সফটওয়্যার। একটু প্রফেশনালি কাজ করতে হলে আরো ভালো সফটওয়্যার রয়েছে সেগুলো ব্যবহার করতে হবে।
সাধারনোত ক্যাপচার করা ভিডিও গুলোর অপ্রয়োজনীয় অংশ ফেলে দেওয়া , ভিডিও ক্লিপ গুলো জোড় লাগানো, স্বল্প পরিসরে টেক্সট ব্যবহার করা, ভিডিওর নিচে মিউজিক বা অন্য সাউন্ড বসানো এই জন্যই কেবল এই সফটওয়্যার ব্যবহার করা উচিত।এটা ম্যাক উইন্ডোজ এবং ইউজাররা ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনারা লক্ষ করে দেখেন বিয়ে বাড়িতে যে ভিডিও আছে জন্মদিনের ভিডিও রয়েছে। বিশেষ করে বিযে বাড়ির ভিডিওর এই Edius সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা হয়। বিয়ে বাড়িতে আপনি দেখবেন বর কনেকে বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন স্টাইলে দেখানো হয়ে থাকে,Edius অ্যাপ এর মাধ্যমে খুব সুন্দর করে এই ভিডিও তৈরি করা হয়ে থাকে। আর বিয়ে বাড়িতে Edius ভিডিও এডিটর এর বেশি ব্যবহার হয়ে থাকে।এটা ম্যাক উইন্ডোজ এবং ইউজাররা ব্যবহার করতে পারবেন।
Edius সম্পর্কে,
Shotcut একটি ওপেন সোর্স ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার। এর সফটওয়্যার ফিছার গুলো অসাধারন। আপনি যদি অন্য একটা সফটওয়্যারের সাথে তুলনা করেন তাহলে এই সফটওয়্যারটি ফ্রি হওয়ার সত্তেও এর ভিতরের সব গুলো ফিচার পেয়ে যাবেন।
আপনি আপনার ভিডিওর কোয়ালিটি ভালো করতে চাইলে, কলার গ্রেডিং করবেন সে সব গুলো কাজই এই সফটওয়ারের মাধ্যমে করতে পারেন। এই সফটওয়্যারটি ফ্রি হলেও এর ফিচার অনেক বেশী।এটা ম্যাক উইন্ডোজ এবং ইউজাররা ব্যবহার করতে পারবেন।
আপনি যদি ভিডিও এডিটির কাজকে নিজের প্রফেশনাল কাজ হিসাবে নিতে চান তাহলে,সবার আগে আপনাকে ভিডিও এডিটিং সফটওয়্যার সম্পর্কে ধারণা রাখতে হবে।
বর্তমানে ভিডিও এডিটিং কাজের রয়েছে ব্যাপক চাহিদা। আশাকরি,আমার এ আর্টিকেলটা আপনাকে ভিডিও এডিটিং সম্পর্কে জানতে কিছুটা হলেও সহয়তা করবে। সাথে থাকার জন্য ধন্যবাদ।